০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ২৬)

  • Sarakhon Report
  • ০২:০০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • 137

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।

 

 

নেতাকে নেগোশিয়েশানে স্মার্ট হতে হবে

আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান বা  পারস্পারিক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর যে যোগ্যতা অর্থাত্‌ নেগোশিয়ানের যোগ্যতা তা নেতাকে অবশ্যই অর্জন করতে হবে।

কোন নেতাই জম্ম থেকে এই কূটনৈতিক বা ডিপলোম্যাটিক যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। তাকে একের পর এক পরিস্থিতি পার হয়ে আসতে হবে। আর প্রতিটি পরিস্থিতিকে তাকে মূল্যায়ন করতে হবে নিজেই। অর্থাত সেলফ এসেসেমেন্টে তাকে মনোযোগী হতে হবে। যে যত বেশি নিজের পূর্ববর্তী আলাপ-আলোচনা বা নেগোশিয়েশান মূল্যায়ন করতে পারবে সে তত বেশি পরবর্তী ধাপ  সফতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারবে।

 

নিজেকে মূল্যায়নের সময় যে বিষয়গুলো দিকে বেশি নজর রাখা দরকার

 

এক, প্রতিপক্ষের থেকে আমি বেশি কথা বলেছি কিনা?

সব সময় চেষ্টা করতে হয় প্রতিপক্ষের থেকে কম কথা বলা।

দুই, প্রতিপক্ষ’র মানসিকতা বুঝতে কতটা সমর্থ হয়েছি। তাদের মুখের কথার সঙ্গে তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কতটা এক ছিলো। দুই, তারা আসলে লাইন বিটুইন কী কী বলেতে চেয়েছিলো।

তিন. তারা তাদের কোন কোন বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলো। এবং আমার কোন কথাগুলো তারা শুধু ভদ্রতার খাতিরে শোনার দরকার সেটাই শুনেছিলো।

ওপরের অন্তত তিনটি বিষয় বার বার বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে বা্স্তবে প্রতিপক্ষের প্রকৃত অবস্থান কোথায়। সম্পূর্ণ বোঝা না গেলেও কাছাকাছি একটা বিন্দুতে পৌঁছানো যাবে।

কাছাকাছি একটা বিন্দুতে পৌঁছাতে পারলে তখন সেখান থেকে পরবর্তী আলাপ-আলোচনা বা নেগোশিয়েশান শুরু করতে পারলে পরবর্তী ধাপে আরো বেশী সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়।

 

নেগোশিয়ানে কখনো অনড় হতে নেই 

 

নেগোশিয়ানের সব থেকে বড় বিষয় হলো নিজেকে খুব নমনীয় রাখা এবং নিজের কাজের জন্যে একাধিক পথ আগের থেকে জেনে রাখা।

যদি আপনি কোন আলাপ আলোচনায় অনড় থাকবেন এমন একটা মানসিকতা আপনার থাকে তাহলে কখনই সে আলাপ-আলোচনায় বসতে নেই।

কখনও কখনও প্রতিপক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে আপানার আলোচনা ভেঙ্গে যাবে। প্রতি পক্ষের সে অবস্থান বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই আলোচনা থেকে নিজেকে উইথড্রো করতে নেই- শুধু মাত্র আলোচনার মোড় বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ঘুরিয়ে দিতে হয়।

সব সময় মনে রাখতে হয়, প্রতিপক্ষ এ মুহূর্তে অনড় আছে বলে আগামী কোন আলোচনায় অনড় থাকবে এমনটি নাও হতে পারে। তাছাড়া প্রতিপক্ষের এই অনড় অবস্থাকে যত কম তাকে বুঝতে দিয়ে আলোচনা থেকে বের হওয়া যাবে ততই ভবিষ্যতের পথ বেশি খোলা থাকে।

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ২৫)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ২৫)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ২৬)

০২:০০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।

সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।

 

 

নেতাকে নেগোশিয়েশানে স্মার্ট হতে হবে

আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান বা  পারস্পারিক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর যে যোগ্যতা অর্থাত্‌ নেগোশিয়ানের যোগ্যতা তা নেতাকে অবশ্যই অর্জন করতে হবে।

কোন নেতাই জম্ম থেকে এই কূটনৈতিক বা ডিপলোম্যাটিক যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। তাকে একের পর এক পরিস্থিতি পার হয়ে আসতে হবে। আর প্রতিটি পরিস্থিতিকে তাকে মূল্যায়ন করতে হবে নিজেই। অর্থাত সেলফ এসেসেমেন্টে তাকে মনোযোগী হতে হবে। যে যত বেশি নিজের পূর্ববর্তী আলাপ-আলোচনা বা নেগোশিয়েশান মূল্যায়ন করতে পারবে সে তত বেশি পরবর্তী ধাপ  সফতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারবে।

 

নিজেকে মূল্যায়নের সময় যে বিষয়গুলো দিকে বেশি নজর রাখা দরকার

 

এক, প্রতিপক্ষের থেকে আমি বেশি কথা বলেছি কিনা?

সব সময় চেষ্টা করতে হয় প্রতিপক্ষের থেকে কম কথা বলা।

দুই, প্রতিপক্ষ’র মানসিকতা বুঝতে কতটা সমর্থ হয়েছি। তাদের মুখের কথার সঙ্গে তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কতটা এক ছিলো। দুই, তারা আসলে লাইন বিটুইন কী কী বলেতে চেয়েছিলো।

তিন. তারা তাদের কোন কোন বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলো। এবং আমার কোন কথাগুলো তারা শুধু ভদ্রতার খাতিরে শোনার দরকার সেটাই শুনেছিলো।

ওপরের অন্তত তিনটি বিষয় বার বার বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে বা্স্তবে প্রতিপক্ষের প্রকৃত অবস্থান কোথায়। সম্পূর্ণ বোঝা না গেলেও কাছাকাছি একটা বিন্দুতে পৌঁছানো যাবে।

কাছাকাছি একটা বিন্দুতে পৌঁছাতে পারলে তখন সেখান থেকে পরবর্তী আলাপ-আলোচনা বা নেগোশিয়েশান শুরু করতে পারলে পরবর্তী ধাপে আরো বেশী সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়।

 

নেগোশিয়ানে কখনো অনড় হতে নেই 

 

নেগোশিয়ানের সব থেকে বড় বিষয় হলো নিজেকে খুব নমনীয় রাখা এবং নিজের কাজের জন্যে একাধিক পথ আগের থেকে জেনে রাখা।

যদি আপনি কোন আলাপ আলোচনায় অনড় থাকবেন এমন একটা মানসিকতা আপনার থাকে তাহলে কখনই সে আলাপ-আলোচনায় বসতে নেই।

কখনও কখনও প্রতিপক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে আপানার আলোচনা ভেঙ্গে যাবে। প্রতি পক্ষের সে অবস্থান বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই আলোচনা থেকে নিজেকে উইথড্রো করতে নেই- শুধু মাত্র আলোচনার মোড় বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ঘুরিয়ে দিতে হয়।

সব সময় মনে রাখতে হয়, প্রতিপক্ষ এ মুহূর্তে অনড় আছে বলে আগামী কোন আলোচনায় অনড় থাকবে এমনটি নাও হতে পারে। তাছাড়া প্রতিপক্ষের এই অনড় অবস্থাকে যত কম তাকে বুঝতে দিয়ে আলোচনা থেকে বের হওয়া যাবে ততই ভবিষ্যতের পথ বেশি খোলা থাকে।

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ২৫)

স্মার্ট নেতা হবেন কীভাবে? (পর্ব ২৫)