সমকালের একটি শিরোনাম “পরীক্ষার খাতা দেখতে অনীহা শিক্ষকদের”
সম্মানী কম এবং তা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় পাবলিক পরীক্ষার খাতা দেখতে চান না শিক্ষক-পরীক্ষকরা। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়েও তাদের আগ্রহ কম। এবার শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে অনেকটা জোর করে খাতা দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।
তবে প্রাইভেট পড়ানো ও কোচিংয়ে যুক্ত থাকলে আয় বেশি হওয়ার কারণেও শিক্ষকরা দিন দিন খাতা দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। অনেক শিক্ষক নিজেরা খাতা দেখেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্বজনকে দিয়ে খাতা দেখানোয় অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়। এর প্রভাব পড়ে ফলে। দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে এ বছর এ নিয়ে শিক্ষকদের চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে। শিক্ষকরা সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন না করায় পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পুনর্মূল্যায়নে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী আগের তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তদন্তেও পরীক্ষকদের ভুলের বিষয়টি উঠে এসেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকের অনেকেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার খাতা দেখায় অনীহা প্রকাশ করেন। এতে এবার ফল মূল্যায়নে জটিলতাও তৈরি হয়। গত মে মাসের মাঝামাঝি পরীক্ষা শেষ হলেও পরীক্ষকরা বোর্ড থেকে মূল্যায়নের জন্য খাতা নিতে যাচ্ছিলেন না। এ পরিস্থিতিতে গত ১৩ মে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের খাতা নিয়ে যাওয়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়। খাতা না দেখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার সমকালকে বলেন, আবেদন করে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক হলেও শিক্ষকদের অনেকেই খাতা মূল্যায়নে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাদের নির্ধারিত বিষয়ের খাতা বোর্ডে পড়ে থাকে, তারা তা নিতে চান না।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ রয়েছে। গত ৫ মে পরীক্ষকদের সতর্ক করে চিঠি দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষার খাতা অন্যকে দিয়ে দেখালে পরীক্ষকের জেল-জরিমানা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “মেট্রোর কিউআর কোড টিকিট নিয়ে ঠেলাঠেলি”
মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের সংকট কাটাতে কিউআর কোডভিত্তিক টিকিট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ধারণাটি সামনে আনার পর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলকে এটি চালুর পরামর্শও দিয়েছে। কিন্তু ডিএমটিসিএল এ নিয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে নিজেরা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি অর্থ ব্যয় করে একটা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার পর ডিএমটিসিএলের বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
মেট্রোরেলের লাইন ৬ চালু হওয়ার সময় ৩ লাখ ২০ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল। পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই টিকিটগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টিকিট হারিয়ে গেছে। অর্থাৎ যাত্রীরা যাত্রা শেষে বের হওয়ার সময় গেটের যন্ত্রে জমা দেননি।
একক যাত্রার টিকিটের অভাবে মেট্রোর যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, টিকিটের অভাবে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, যা যাতায়াতের সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যস্ত সময়ে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। কুখ্যাত যানজটের শহরে মেট্রোরেল দ্রুতগতির নির্বিঘ্ন সফরের যে সুবিধা বয়ে এনেছে, তা কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে টিকিটের এই সমস্যার কারণে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বৃটেনে থাকা সম্পত্তি জব্দ”
পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বৃটেনে থাকা সম্পত্তি জব্দ করেছে দেশটির জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনএসএ)। এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী দল (আই-ইউনিট)। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার (১১ জুন) ‘ইউকে ক্রাইম এজেন্সি ফ্রিজেস অ্যাসেটস অব ডিসগ্রেস শেখ হাসিনাস অ্যালাই’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত ও (সাময়িক) নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশ।
গত রাতে আই-ইউনিটকে দেয়া এক বিবৃতিতে এনএসএ-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা নিশ্চিত করে বলছি- চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে সাইফুজ্জামানের একাধিক সম্পদ জব্দের নির্দেশ পেয়েছে এনএসএ। সম্পদ জব্দের অর্থ হচ্ছে চৌধুরী এখন আর এগুলো বিক্রি করতে পারবেন না।
এমন এক সময় তার সম্পত্তি জব্দের খবর এলো যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরে আছেন।
গত বছর ৫৬ বছর বয়সী সাইফুজ্জামানের বৃটেনের সম্পদের খবর প্রথম প্রকাশ করে আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি জানায় সেখানে সাবেক ওই মন্ত্রীর ৩৫০টির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। তবে এসব সম্পত্তির ঠিক কতটি জব্দ করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি বৃটেনের জাতীয় অপরাধ সংস্থা। তবে আল জাজিরার আই-ইউনিট জানিয়েছে, লন্ডনের সেন্ট জন’স উড এলাকায় ১১ মিলিয়ন পাউন্ড ( ১৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের একটি বিলাসবহুল বাড়ি এই জব্দের আওতায় আছে। এই বাড়িতেই আল জাজিরার অনুসন্ধানী দল চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এখানেই তিনি দামি স্যুট ও কুমিরের বাচ্চার চামড়ার তৈরি জুতার প্রতি তার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। সেসময় শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি তো ওনার ছেলের মতো। এছাড়া চৌধুরীর যে লন্ডনে ব্যবসা আছে সে বিষয়টিও জানতেন শেখ হাসিনা।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “নির্বাচনের জন্য আগামী এপ্রিলই সঠিক সময়”
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিলে আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঘোষিত এ সময়টি নির্বাচনের জন্য সঠিক সময় বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লন্ডনে চ্যাথাম হাউজের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক আলাপচারিতায় গতকাল মূল বক্তা হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
চ্যাথাম হাউজের পরিচালক ব্রনওয়ে ম্যাডক্সের সঞ্চালনায় আলাপচারিতায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের প্রধানত তিনটি দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল—সংস্কার, জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং নির্বাচন আয়োজন।
নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বাংলাদেশে যে বিতর্ক চলছে, সে বিষয়টি সামনে এনে সঞ্চালক বলেন, সব মিলিয়ে অনেকে বলছেন—নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এটা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। সময় (এপ্রিল) ঠিক আছে, জনগণও প্রস্তুত। ১৭ বছর পর আপনি একটি সত্যিকারের নির্বাচন পাচ্ছেন। দেশের মানুষের মনে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে যে তারা সত্যিই ভোট দিতে যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচন একটি নতুন সরকার নির্বাচনের রুটিন ভোট হবে না, এটা হবে নতুন বাংলাদেশের জন্য ভোট। আমরা পুরনো বাংলাদেশকে বিদায় বলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই।