০২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি

সমকালের একটি শিরোনাম “ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। বিএনপিকে জনগণ যদি ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনে, তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য ড. ইউনূসকে কাজে লাগানো হবে। দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়– এ ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ নেওয়া হবে। এ রকম আরও যারা আছেন তাদের মতামত নিয়ে কাজ করতে চান তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির গতকাল শুক্রবার সমকালকে এ কথা বলেন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার প্রথম পর্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দলের প্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুন কবিরও ছিলেন।

তারেক রহমানের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, তারেক রহমান মনে করেন, জাতীয় স্বার্থে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রয়োজন আছে। যদি জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে, তাহলে তারেক রহমান সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন। তিনি সেটাই উপস্থাপন করেছেন।

এর আগে গত বুধবার লন্ডনে চ্যাথাম হাউসে অনুষ্ঠিত সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের পর গঠিত পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যা নির্বাচন দ্বারা সম্পন্ন হবে।’

গতকালের বৈঠক সূত্র জানায়, আলোচনায় তারেক রহমান বিএনপির পূর্বঘোষণা এবং ৩১ দফা অনুযায়ী সব দলমতের মানুষকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিকে আগামীর রাষ্ট্র বিনির্মাণে পাশে চান তিনি। তাঁর মতো অন্য যোগ্যদেরও দেশ গঠনে সম্পৃক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তারেক রহমান।

নির্বাচনের বাইরে আর কী বিষয়ে আলাপ হয়েছে– জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তিগত আলাপে অনেক কিছু উঠে এসেছে। যেটা জেনেছি, খুবই ফলপ্রসূ ও আন্তরিক আলাপ হয়েছে। দেশ নিয়ে গঠনমূলক চিন্তা বিনিময় হয়েছে। কীভাবে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা একটা জায়গায় আসতে পেরেছি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ভাঙচুরের ‘ঘৃণ্য’ ঘটনার নিন্দা ভারতের”

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ভারত। দেশটি এই ভাঙচুর ‘ঘৃণ্য’ বলে আখ্যা দিয়ে হামলা জড়িত ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, ভারত এ ঘটনায় ‘উগ্রপন্থীদের’ হাত রয়েছে বলে দাবি করলেও বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক নিবাস কাছারিবাড়িতে—যা বর্তমানে জাদুঘর—ভাঙচুর হয়। এক দর্শনার্থী ও জাদুঘরকর্মীর মধ্যে মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের ফি নিয়ে বিবাদের জেরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, বিবাদের সময় ওই দর্শনার্থীকে আটকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরপরই জনতা জাদুঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং অডিটোরিয়ামের ক্ষতি করে।

এ ঘটনায় ভারত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের অসন্তোষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘আমরা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে জনতা কর্তৃক ঘৃণ্য হামলা ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানাই। এই সহিংস কাজ নোবেল বিজয়ীর স্মৃতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শন এবং বাংলাদেশে তিনি যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন, তার প্রতি অবমাননা।’

সম্প্রতি বাংলাদেশে তথাকথিত ‘উগ্রপন্থার উত্থানকে’ এর জন্য দায়ী করে জয়সওয়াল বলেন, ‘এই হামলা বাংলাদেশে সহনশীলতার প্রতীকগুলো মুছে ফেলার এবং সমন্বিত সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংস করার জন্য উগ্রপন্থীদের দ্বারা চালানো সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টারই অংশ।’

অপরাধীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জয়সওয়াল ইউনূস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে, যাতে এমন ঘটনা, যা দুঃখজনকভাবে একটি পুনরাবৃত্ত বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা আর না ঘটে।’

এ ঘটনার পর সাময়িকভাবে জাদুঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং একটি তদন্ত শুরু হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যের কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, স্থানটি এখন দর্শনার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ এবং পুরো চত্বর নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা”

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, এটি দেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। এর ফলে দেশের রাজনীতিতে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা কেটে যাবে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ একটা ক্রসরোডে ছিল নেশন। এই বৈঠকের মাধ্যমে অন্ধকার যেটা ছিল সেটা কেটে যাচ্ছে। যার ফলে যে সময়টা আছে এরমধ্যেই সংস্কার, বিচার, নির্বাচন সবটাই আগাবে।

তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠক। এটা সামনের গতিপথ ঠিক করার জন্য বড় ভূমিকা রাখবে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি কেটে যাবে বলে আমি আশা রাখি। এই বিষয়ে আমি বেগম খালেদা জিয়াকে অনেক বেশি কৃতিত্ব দেবো। তিনি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই। তবে গণহত্যার বিচারের অগ্রগতি করতে হবে। আমি এটাকে মোটামুটি ইতিবাচক বলবো কারণ প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসতে রাজি হয়েছেন। সংস্কার-বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। এখানে দৃশ্যমান করাটা উনারও দায়িত্ব। তবে জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচারের বিষয়ে তিনি ঝামেলা করবেন এটা আমি কষ্ট করে ভাবতে চাই না। আমি মনে করি এটা ভালোর দিকেই যাবে। এপ্রিলের বদলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হচ্ছে তাতে তো কোনো সমস্যা দেখি না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখনো বিদেশে অবস্থান করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। তাদের প্রত্যক্ষ বৈঠক অবশ্যই একটা ইতিবাচক ঘটনা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও সমন্বয় দরকার, এটা আমরা আরও আগে থেকেই বলছি। সেই হিসেবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক সাধারণভাবেই এই সমন্বয়কে আরও বাড়িয়ে তুলবে। নির্বাচনের সময়সীমা নিয়েও আমরা উদ্বেগ জানিয়েছিলাম যে, রমজানের আগেই নির্বাচন হওয়াটা বাস্তবসম্মত। সেই উদ্বেগটা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও জানিয়েছেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিচার এবং সংস্কারে অগ্রগতি হলে রমজানের আগেও নির্বাচন হওয়া সম্ভব। সেটা নির্বাচন প্রশ্নে আস্থাপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে। আমরা আগে থেকেই বলছিলাম, নির্বাচনের বিষয়টি আগে থেকেই ফয়সালা হয়ে গেলে সংস্কারে আমরা অধিকতর মনোযোগ দিতে পারি। কেননা, সংস্কার যেভাবে গুরত্বের সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার সেই জায়গাটা পাচ্ছে না, নির্বাচন নিয়ে কথা হওয়ার কারণে।

তিনি বলেন, এখন সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে গুরত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যেসব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাবো সমঝোতার মধ্যদিয়ে সেগুলো জাতীয় সনদ বা জুলাই সনদ হবে। যেগুলো দ্বিমত থেকে যাবে সেগুলো নির্বাচনের মধ্যদিয়ে মীমাংসা করবো। বিচার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, এটা ইতিবাচক। তবে আরও অধিকতর দৃশ্যমান হবে সেটা মানুষ প্রত্যাশা করে। রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সমন্বয় বৃদ্ধি করা দরকার। তাদের কাজ মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটা জরুরি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীন বলেন, নির্বাচন তো হতেই হবে, এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নাই। জুলাই সনদ, ঘোষণাপত্র, বিচারের বিষয়গুলো ছাপিয়ে নির্বাচনটা প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন আন্দোলন হয়, কোনো দলীয় ব্যানারে হয়নি। এই আন্দোলনের কারণে হাসিনা সরকার যখন চলে গেল তখন যে যার ব্যানারে গিয়ে রাজনীতি শুরু করলো। এত মানুষ যে জীবন দিলো তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির যে বিষয়টি এটাতো সরে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি’র নেতাকর্মীরাও কতো অত্যাচারের মধ্যদিয়ে গেছেন। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়েই কিন্তু তাদের চেয়ারপারসন মুক্তি পেয়েছেন। তারা কিন্তু মুক্ত করতে পারেন নাই। যাদের মাধ্যমে মুক্ত হলো তাদের স্বীকৃতি দেয়াতে মনোযোগ নাই।

এনসিপি’র এই নেতা বলেন, নির্বাচন ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবশ্যই হতে হবে তার আগে জুলাই ঘোষণাপত্র, সনদ, বিচার এবং সংস্কারের বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে। কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা মনে করি নির্বাচন ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল; যখনই হোক তার আগে জুলাই সনদ, ঘোষণাপত্র সংস্কারের রোডম্যাপ স্পষ্ট করতে হবে।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু, কভিডে ২”

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের চারজন এবং ঢাকা মহানগরের একজন রয়েছেন। আরো ১৫৯ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে দেশে কভিড আক্রান্ত হয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২৪ জন রোগী বরিশাল বিভাগে ভর্তি রয়েছে। ১৩ জন ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে নয়জন, ঢাকা বিভাগে নয়, খুলনা বিভাগে তিন ও সিলেট বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হয়েছে। আর ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।

অন্যদিকে দেশে কভিড আক্রান্ত হয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মারা যাওয়া ওই দুজন নারী। তাদের একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ আর আরেকজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। তাদের একজন ঢাকা আর আরেকজন চট্টগ্রাম বিভাগের। একজন সরকারি, অন্যজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই দুজনসহ এ বছর করোনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।

অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ১৫ জনের কভিড শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে নয়জন ঢাকার। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার দুজন করে। কক্সবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রয়েছে একজন করে। দেশের বাকি ছয় বিভাগে এ সময় কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

গত ৪ জুন কভিড আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে একজনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি পুরুষ। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে এ বছর এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জনের দেহে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া তিনজনসহ মোট সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জন।

ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি

০৯:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। বিএনপিকে জনগণ যদি ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনে, তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য ড. ইউনূসকে কাজে লাগানো হবে। দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়– এ ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ নেওয়া হবে। এ রকম আরও যারা আছেন তাদের মতামত নিয়ে কাজ করতে চান তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির গতকাল শুক্রবার সমকালকে এ কথা বলেন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার প্রথম পর্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দলের প্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুন কবিরও ছিলেন।

তারেক রহমানের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, তারেক রহমান মনে করেন, জাতীয় স্বার্থে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রয়োজন আছে। যদি জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে, তাহলে তারেক রহমান সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন। তিনি সেটাই উপস্থাপন করেছেন।

এর আগে গত বুধবার লন্ডনে চ্যাথাম হাউসে অনুষ্ঠিত সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের পর গঠিত পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যা নির্বাচন দ্বারা সম্পন্ন হবে।’

গতকালের বৈঠক সূত্র জানায়, আলোচনায় তারেক রহমান বিএনপির পূর্বঘোষণা এবং ৩১ দফা অনুযায়ী সব দলমতের মানুষকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিকে আগামীর রাষ্ট্র বিনির্মাণে পাশে চান তিনি। তাঁর মতো অন্য যোগ্যদেরও দেশ গঠনে সম্পৃক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তারেক রহমান।

নির্বাচনের বাইরে আর কী বিষয়ে আলাপ হয়েছে– জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তিগত আলাপে অনেক কিছু উঠে এসেছে। যেটা জেনেছি, খুবই ফলপ্রসূ ও আন্তরিক আলাপ হয়েছে। দেশ নিয়ে গঠনমূলক চিন্তা বিনিময় হয়েছে। কীভাবে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা একটা জায়গায় আসতে পেরেছি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ভাঙচুরের ‘ঘৃণ্য’ ঘটনার নিন্দা ভারতের”

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ভারত। দেশটি এই ভাঙচুর ‘ঘৃণ্য’ বলে আখ্যা দিয়ে হামলা জড়িত ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, ভারত এ ঘটনায় ‘উগ্রপন্থীদের’ হাত রয়েছে বলে দাবি করলেও বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক নিবাস কাছারিবাড়িতে—যা বর্তমানে জাদুঘর—ভাঙচুর হয়। এক দর্শনার্থী ও জাদুঘরকর্মীর মধ্যে মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের ফি নিয়ে বিবাদের জেরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, বিবাদের সময় ওই দর্শনার্থীকে আটকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরপরই জনতা জাদুঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং অডিটোরিয়ামের ক্ষতি করে।

এ ঘটনায় ভারত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের অসন্তোষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘আমরা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে জনতা কর্তৃক ঘৃণ্য হামলা ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানাই। এই সহিংস কাজ নোবেল বিজয়ীর স্মৃতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শন এবং বাংলাদেশে তিনি যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন, তার প্রতি অবমাননা।’

সম্প্রতি বাংলাদেশে তথাকথিত ‘উগ্রপন্থার উত্থানকে’ এর জন্য দায়ী করে জয়সওয়াল বলেন, ‘এই হামলা বাংলাদেশে সহনশীলতার প্রতীকগুলো মুছে ফেলার এবং সমন্বিত সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংস করার জন্য উগ্রপন্থীদের দ্বারা চালানো সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টারই অংশ।’

অপরাধীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জয়সওয়াল ইউনূস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে, যাতে এমন ঘটনা, যা দুঃখজনকভাবে একটি পুনরাবৃত্ত বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা আর না ঘটে।’

এ ঘটনার পর সাময়িকভাবে জাদুঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং একটি তদন্ত শুরু হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যের কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, স্থানটি এখন দর্শনার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ এবং পুরো চত্বর নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা”

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, এটি দেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। এর ফলে দেশের রাজনীতিতে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা কেটে যাবে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ একটা ক্রসরোডে ছিল নেশন। এই বৈঠকের মাধ্যমে অন্ধকার যেটা ছিল সেটা কেটে যাচ্ছে। যার ফলে যে সময়টা আছে এরমধ্যেই সংস্কার, বিচার, নির্বাচন সবটাই আগাবে।

তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠক। এটা সামনের গতিপথ ঠিক করার জন্য বড় ভূমিকা রাখবে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি কেটে যাবে বলে আমি আশা রাখি। এই বিষয়ে আমি বেগম খালেদা জিয়াকে অনেক বেশি কৃতিত্ব দেবো। তিনি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই। তবে গণহত্যার বিচারের অগ্রগতি করতে হবে। আমি এটাকে মোটামুটি ইতিবাচক বলবো কারণ প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসতে রাজি হয়েছেন। সংস্কার-বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। এখানে দৃশ্যমান করাটা উনারও দায়িত্ব। তবে জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচারের বিষয়ে তিনি ঝামেলা করবেন এটা আমি কষ্ট করে ভাবতে চাই না। আমি মনে করি এটা ভালোর দিকেই যাবে। এপ্রিলের বদলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হচ্ছে তাতে তো কোনো সমস্যা দেখি না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখনো বিদেশে অবস্থান করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। তাদের প্রত্যক্ষ বৈঠক অবশ্যই একটা ইতিবাচক ঘটনা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও সমন্বয় দরকার, এটা আমরা আরও আগে থেকেই বলছি। সেই হিসেবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক সাধারণভাবেই এই সমন্বয়কে আরও বাড়িয়ে তুলবে। নির্বাচনের সময়সীমা নিয়েও আমরা উদ্বেগ জানিয়েছিলাম যে, রমজানের আগেই নির্বাচন হওয়াটা বাস্তবসম্মত। সেই উদ্বেগটা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও জানিয়েছেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিচার এবং সংস্কারে অগ্রগতি হলে রমজানের আগেও নির্বাচন হওয়া সম্ভব। সেটা নির্বাচন প্রশ্নে আস্থাপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে। আমরা আগে থেকেই বলছিলাম, নির্বাচনের বিষয়টি আগে থেকেই ফয়সালা হয়ে গেলে সংস্কারে আমরা অধিকতর মনোযোগ দিতে পারি। কেননা, সংস্কার যেভাবে গুরত্বের সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার সেই জায়গাটা পাচ্ছে না, নির্বাচন নিয়ে কথা হওয়ার কারণে।

তিনি বলেন, এখন সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে গুরত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যেসব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাবো সমঝোতার মধ্যদিয়ে সেগুলো জাতীয় সনদ বা জুলাই সনদ হবে। যেগুলো দ্বিমত থেকে যাবে সেগুলো নির্বাচনের মধ্যদিয়ে মীমাংসা করবো। বিচার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, এটা ইতিবাচক। তবে আরও অধিকতর দৃশ্যমান হবে সেটা মানুষ প্রত্যাশা করে। রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সমন্বয় বৃদ্ধি করা দরকার। তাদের কাজ মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটা জরুরি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মুহাম্মদ মুরসালীন বলেন, নির্বাচন তো হতেই হবে, এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নাই। জুলাই সনদ, ঘোষণাপত্র, বিচারের বিষয়গুলো ছাপিয়ে নির্বাচনটা প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন আন্দোলন হয়, কোনো দলীয় ব্যানারে হয়নি। এই আন্দোলনের কারণে হাসিনা সরকার যখন চলে গেল তখন যে যার ব্যানারে গিয়ে রাজনীতি শুরু করলো। এত মানুষ যে জীবন দিলো তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির যে বিষয়টি এটাতো সরে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি’র নেতাকর্মীরাও কতো অত্যাচারের মধ্যদিয়ে গেছেন। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়েই কিন্তু তাদের চেয়ারপারসন মুক্তি পেয়েছেন। তারা কিন্তু মুক্ত করতে পারেন নাই। যাদের মাধ্যমে মুক্ত হলো তাদের স্বীকৃতি দেয়াতে মনোযোগ নাই।

এনসিপি’র এই নেতা বলেন, নির্বাচন ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবশ্যই হতে হবে তার আগে জুলাই ঘোষণাপত্র, সনদ, বিচার এবং সংস্কারের বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে। কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা মনে করি নির্বাচন ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল; যখনই হোক তার আগে জুলাই সনদ, ঘোষণাপত্র সংস্কারের রোডম্যাপ স্পষ্ট করতে হবে।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু, কভিডে ২”

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের চারজন এবং ঢাকা মহানগরের একজন রয়েছেন। আরো ১৫৯ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে দেশে কভিড আক্রান্ত হয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২৪ জন রোগী বরিশাল বিভাগে ভর্তি রয়েছে। ১৩ জন ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে নয়জন, ঢাকা বিভাগে নয়, খুলনা বিভাগে তিন ও সিলেট বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হয়েছে। আর ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।

অন্যদিকে দেশে কভিড আক্রান্ত হয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মারা যাওয়া ওই দুজন নারী। তাদের একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ আর আরেকজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। তাদের একজন ঢাকা আর আরেকজন চট্টগ্রাম বিভাগের। একজন সরকারি, অন্যজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই দুজনসহ এ বছর করোনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।

অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ১৫ জনের কভিড শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে নয়জন ঢাকার। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার দুজন করে। কক্সবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রয়েছে একজন করে। দেশের বাকি ছয় বিভাগে এ সময় কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

গত ৪ জুন কভিড আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে একজনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি পুরুষ। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে এ বছর এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জনের দেহে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া তিনজনসহ মোট সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জন।