১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

সংক্রমণ বাড়লেও টিকা নিচ্ছে না মানুষ, মৃত্যু আরও ৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সংক্রমণ বাড়লেও টিকা নিচ্ছে না মানুষ, মৃত্যু আরও ৫”

করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এই ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেওয়ায় আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের। এতে সরকারের মজুতকৃত প্রায় ৩২ লাখ ডোজ টিকা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ফাইজারের প্রায় ১৭ লাখ ডোজের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকাগুলো পুরোনো হলেও কার্যকর আছে। তবে জনসচেতনতা ও টিকাদান কার্যক্রমের গতি না বাড়ালে এই বিপুল পরিমাণ টিকা অপচয়ের মুখে পড়তে পারে।

এদিকে গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যা আড়াই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর ছয়জনের মৃত্যু হয়।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬২১ জনের। সেই হিসাবে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা, তিনজন চট্টগ্রাম ও একজন রাজশাহী বিভাগের। গত জানুয়ারি থেকে ২২ জুন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১৬ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ধরা পড়ে এবং প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি টিকাদান শুরু হয়। এরপর থেকে দৈনিক টিকা গ্রহীতার তথ্য জানিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সুরক্ষা অ্যাপ সচল না থাকায় গত ৮ মার্চের পর এ তথ্য দেওয়া বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক দিনে মোট টিকা নিয়েছেন ৪৩ জন। সারাদেশে মাত্র তিন কেন্দ্রে এই টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। জুনের শুরুতে সংক্রমণ বাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক”

চট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব।

জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় আপাতত নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই টার্মিনাল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে টার্মিনাল বুঝে নেওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৭ জুলাই থেকে এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনা করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করা সাইফ পাওয়ারটেকের বিদায়ঘণ্টা বাজছে।

বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, এনসিটির বিষয়ে ১৮ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে টার্মিনালটি বন্দর কর্তৃক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু নতুন করে দরপত্রের মাধ্যমে এনসিটি পরিচালনার জন্য বেসরকারি অপারেটর নিয়োগ একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমদানি-রপ্তানি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ পারসোনেল অফিসার ও মুখপাত্র নাসির উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তের পর টার্মিনাল পরিচালনা করতে ব্যয় নির্বাহের অনুমতির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক অনুমতি পেলে চূড়ান্ত কাজ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে বন্দরের মেকানিক্যাল এবং ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা সাইফ পাওয়ারটেক থেকে কাজ বুঝে নেওয়া শুরু করেছেন।

এর আগে এনসিটি বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন পক্ষ সরব হয়। তবে তাদের দাবির আড়ালে সাইফ পাওয়ারটেককে রক্ষা করতেই এই আন্দোলন চালিয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে পৃথক সচিবালয়ের বিকল্প নেই”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে পৃথক সচিবালয়ের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গতকাল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই বিপ্লব নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং ইউএনডিপি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মহোদয়, আইনজীবীবৃন্দ। সেমিনারে বিভিন্ন জেলার কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মরতবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

প্রথম সেশনে ‘ডিসকাসন অন জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি শুরু হয় দুপুরে। সেশনে রিফর্ম ফর জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড প্রসিকিউটরিয়াল অটোনমি; জুডিশিয়াল ইফিসিয়েন্সি, ডিজিটালাইজেশন অ্যান্ড স্পেশালাইজেশন’ শীর্ষক দুটি প্যানেল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, আপিল বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি জাফর আহমেদ, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক রুশদ হক ও মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক মি. লুইস জি ফ্রান্সেস্কি, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, বিচারব্যবস্থা সংক্রান্ত ইউএনডিপি এক্সপার্ট ক্রিস্টোফার ডেকার, ইইউ’র রাষ্ট্রদূৎ এইচ ই মাইকেল মিলার এবং সুইডেনের চার্জ দ্যা এফেয়ার্স মারিয়া স্ট্রিড্‌সম্যান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অর্থ উপদেষ্টা স্বীকার করলেন বাজেট হয়েছে চিরাচরিতভাবেই”

গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এবারের বাজেটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও শুল্কের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রফতানিতে প্রণোদনা কমানোর ঘোষণা এসেছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। সংসদ না থাকায় ২ জুন রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রস্তাবিত এ বাজেট নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৯ জুন পর্যন্ত নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হয়। এরপর কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে বাজেটের খসড়া চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করার পর আগামী ১ জুলাই এ বাজেট কার্যকর হবে।

আগামী অর্থবছরের জন্য ২ জুন ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল সেটি অপরিবর্তিত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় আগামী বাজেটের আকার ৭ হাজার কোটি টাকা কম। যদিও চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এ বাজেটের আকার ৪৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এ বাজেটের মাধ্যমে আগামী অর্থবছরে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য অন্তর্বর্তী সরকারের। এতে পরিচালন ও অন্যান্য খাতে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে দেশী উৎস থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি ও বিদেশী উৎস থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাজেট অনুমোদন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান. মো. আবদুর রহমান খানসহ অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংক্রমণ বাড়লেও টিকা নিচ্ছে না মানুষ, মৃত্যু আরও ৫

০৯:০০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সংক্রমণ বাড়লেও টিকা নিচ্ছে না মানুষ, মৃত্যু আরও ৫”

করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এই ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেওয়ায় আগ্রহ নেই সাধারণ মানুষের। এতে সরকারের মজুতকৃত প্রায় ৩২ লাখ ডোজ টিকা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ফাইজারের প্রায় ১৭ লাখ ডোজের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকাগুলো পুরোনো হলেও কার্যকর আছে। তবে জনসচেতনতা ও টিকাদান কার্যক্রমের গতি না বাড়ালে এই বিপুল পরিমাণ টিকা অপচয়ের মুখে পড়তে পারে।

এদিকে গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যা আড়াই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর ছয়জনের মৃত্যু হয়।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬২১ জনের। সেই হিসাবে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা, তিনজন চট্টগ্রাম ও একজন রাজশাহী বিভাগের। গত জানুয়ারি থেকে ২২ জুন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১৬ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ধরা পড়ে এবং প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি টিকাদান শুরু হয়। এরপর থেকে দৈনিক টিকা গ্রহীতার তথ্য জানিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সুরক্ষা অ্যাপ সচল না থাকায় গত ৮ মার্চের পর এ তথ্য দেওয়া বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক দিনে মোট টিকা নিয়েছেন ৪৩ জন। সারাদেশে মাত্র তিন কেন্দ্রে এই টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। জুনের শুরুতে সংক্রমণ বাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক”

চট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব।

জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় আপাতত নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই টার্মিনাল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে টার্মিনাল বুঝে নেওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৭ জুলাই থেকে এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনা করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করা সাইফ পাওয়ারটেকের বিদায়ঘণ্টা বাজছে।

বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, এনসিটির বিষয়ে ১৮ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে টার্মিনালটি বন্দর কর্তৃক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু নতুন করে দরপত্রের মাধ্যমে এনসিটি পরিচালনার জন্য বেসরকারি অপারেটর নিয়োগ একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমদানি-রপ্তানি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ পারসোনেল অফিসার ও মুখপাত্র নাসির উদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তের পর টার্মিনাল পরিচালনা করতে ব্যয় নির্বাহের অনুমতির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক অনুমতি পেলে চূড়ান্ত কাজ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে বন্দরের মেকানিক্যাল এবং ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা সাইফ পাওয়ারটেক থেকে কাজ বুঝে নেওয়া শুরু করেছেন।

এর আগে এনসিটি বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন পক্ষ সরব হয়। তবে তাদের দাবির আড়ালে সাইফ পাওয়ারটেককে রক্ষা করতেই এই আন্দোলন চালিয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে পৃথক সচিবালয়ের বিকল্প নেই”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে পৃথক সচিবালয়ের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গতকাল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই বিপ্লব নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং ইউএনডিপি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিফান লিলার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মহোদয়, আইনজীবীবৃন্দ। সেমিনারে বিভিন্ন জেলার কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মরতবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

প্রথম সেশনে ‘ডিসকাসন অন জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি শুরু হয় দুপুরে। সেশনে রিফর্ম ফর জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড প্রসিকিউটরিয়াল অটোনমি; জুডিশিয়াল ইফিসিয়েন্সি, ডিজিটালাইজেশন অ্যান্ড স্পেশালাইজেশন’ শীর্ষক দুটি প্যানেল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, আপিল বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি জাফর আহমেদ, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক রুশদ হক ও মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক মি. লুইস জি ফ্রান্সেস্কি, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, বিচারব্যবস্থা সংক্রান্ত ইউএনডিপি এক্সপার্ট ক্রিস্টোফার ডেকার, ইইউ’র রাষ্ট্রদূৎ এইচ ই মাইকেল মিলার এবং সুইডেনের চার্জ দ্যা এফেয়ার্স মারিয়া স্ট্রিড্‌সম্যান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অর্থ উপদেষ্টা স্বীকার করলেন বাজেট হয়েছে চিরাচরিতভাবেই”

গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এবারের বাজেটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও শুল্কের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রফতানিতে প্রণোদনা কমানোর ঘোষণা এসেছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। সংসদ না থাকায় ২ জুন রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রস্তাবিত এ বাজেট নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৯ জুন পর্যন্ত নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হয়। এরপর কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে বাজেটের খসড়া চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করার পর আগামী ১ জুলাই এ বাজেট কার্যকর হবে।

আগামী অর্থবছরের জন্য ২ জুন ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল সেটি অপরিবর্তিত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় আগামী বাজেটের আকার ৭ হাজার কোটি টাকা কম। যদিও চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এ বাজেটের আকার ৪৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এ বাজেটের মাধ্যমে আগামী অর্থবছরে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য অন্তর্বর্তী সরকারের। এতে পরিচালন ও অন্যান্য খাতে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে দেশী উৎস থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি ও বিদেশী উৎস থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাজেট অনুমোদন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান. মো. আবদুর রহমান খানসহ অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।