১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে ৬৫২ কোটি টাকার প্রকল্প

সমকালের একটি শিরোনাম “জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: ফাওজুল কবির”

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ওপর নজর রাখা হচ্ছে জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

মঙ্গলবার ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে লাফার্জহোলসিম এবং জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি সই করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী জালালাবাদ লাফার্জহোলসিমকে আগামী দশ বছরে দৈনিক ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে, যা আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। বিইআরসি ঘোষিত নতুন দর ৪০ টাকা (শিল্প) এবং ৪২ টাকা (ক্যাপটিভ) ঘনমিটার হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। লাফার্জের সঙ্গে ২০০৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ২০ বছর মেয়াদি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, যুদ্ধের মধ্যে একটি তেলের জাহাজ বন্দরে এসেছে, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মজুদ হাতে রয়েছে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে সরবরাহকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তেল আনেন। মূল উৎস মধ্যপ্রাচ্য হলেও অনেক সরবরাহকারী সিঙ্গাপুর থেকে, মালয়েশিয়ার মার্কেট থেকে তেল আনেন। সে কারণে তেলের সরবরাহ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবুও আমরা যুদ্ধের ওপর নজর রাখছি।

ভর্তুকিও বাড়াবে না আবার দাম বাড়াবে না বলা হচ্ছে। তাহলে ঘাটতি সমন্বয় হবে কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কিছু কৌশল রয়েছে। বিপিসির কাছে কিছু অর্থ রয়েছে, প্রয়োজন হলে সেখান থেকে সমন্বয় করা হবে। তিনি আরও বলেন, গ্যাস খাতে অনেক ভর্তুকি রয়েছে। আমরা আর ভর্তুকি বাড়াতে পারবো না। লাফার্জহোলসিমের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, এখানে একটি সুবিধা রয়েছে, অন্য সব কোম্পানি ঢাকায়, যেখানে গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। আর লাফার্জের অবস্থান হচ্ছে সিলেট অঞ্চলে।যেখানে গ্যাসের অভাব নেই।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “বিদেশি ঋণ পরিশোধে রেকর্ড”

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে দেশীয় অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে সরকার প্রতিবছর বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নিচ্ছে। প্রতি মাসে এসব ঋণের একটি অংশ সুদ-আসলসহ পরিশোধও করা হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অস্থিরতায় ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় এই পরিশোধ এখন সরকারের জন্য একধরনের বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অবস্থায় একদিকে যেমন নতুন বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে, অন্যদিকে পুরোনো প্রতিশ্রুত ঋণছাড়ের গতি নিয়েও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি অনুযায়ী ঋণ পাওয়ার প্রবাহ যেমন দুর্বল, তেমনি আগের চুক্তিভিত্তিক ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিশোধের দায়ও বাড়ছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) একটি হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশের অনুকূলে বিদেশি ঋণের যে পরিমাণ ছাড় হচ্ছে, তার একটি বড় অংশ পুরোনো ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। কার্যত প্রতিশ্রুত ঋণ যতটুকু আসছে, তার ‘ষোলো আনার বারো আনাই’ চলে যাচ্ছে আগের ঋণ শোধে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈদেশিক ঋণ এবং এর সুদ বেড়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বাড়ছে; আর এই চাপ ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তিনি বলেন, একদিকে উন্নয়ন প্রকল্পে নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে, অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেগুলোর কিস্তি পরিশোধের সময় এসেছে। সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে সরকারের ওপর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে এবং এই প্রবণতা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বাংলাদেশ যে পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে, তার ৬৭ শতাংশই খরচ হয়েছে আগের ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ তথ্যমতে, এই সময় বাংলাদেশ ৫৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করেছে। তবে সেখান থেকে ফেরত দিতে হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ৬৭৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ভবিষ্যতে মবের ঘটনা যাতে না ঘটে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার”

মব ভায়োলেন্স বন্ধ করা যাচ্ছে না, তবে কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মবের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এখন পর্যন্ত মব ভায়োলেন্সে জড়িত কতোজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কতোজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সে সংখ্যা বলতে পারবো না। তবে বড় একটি সংখ্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার বিষয়টি উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই ঘটনায় আমরা সবাই দুঃখিত। এটা মেনে নেয়া যায় না। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা- খুঁজে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারও দুর্বলতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে, বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার বিষয়টি সব বাহিনীর প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেছেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। তবে যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, প্রার্থী হবেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে। তবে প্রার্থী যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে নির্বাচনটি ভালোভাবে শেষ করা সহজ হবে। জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে সহযোগিতা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিগত সময়ে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি, এবার তারা কতোটা পারবে? জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তখন আপনারাও (মিডিয়া) ছিলেন। নির্বাচন নিয়ে আপনারাও কিছু বলেননি। জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, নির্বাচনে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকে না, এর সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার থাকেন। নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব আছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কোনো কার্যক্রম করতে পারেনি। আমরা যতটা আশা করছিলাম, ততটা মিছিল হয়নি। দলটি বড় কিছু করতে পারেনি। তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে ৬৫২ কোটি টাকার প্রকল্প”

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ৬৫২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। গতকাল চলতি অর্থবছরের শেষ একনেক সভায় অন্য ১৬টি প্রকল্পের সঙ্গে অনুমোদন পায় এ প্রকল্পও। অনুমোদিত এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনসমাজের সমন্বিত সেবা ও জীবন-জীবিকা উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটির বড় অংশ ঋণ ও অনুদানের অর্থায়নে কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১১ উপজেলায় বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে। এছাড়া ৩০৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অনুদান এবং ১১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সরকার (জিওবি) জোগান দেবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি বাস্তবায়ন করবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি টেকনাফ-উখিয়ার স্থানীয় জনসমাজের পানি, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিষেবা উন্নয়ন হবে।

প্রকল্পের কার্যক্রমে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারের উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পানি সঞ্চালন লাইন, বিতরণ নেটওয়ার্ক এবং গৃহসংযোগ বাস্তবায়ন হবে ১২৫ কোটি টাকার। কক্সবাজারের নয়টি উপজেলায় ২০টি মিনি পাইপ পানি সরবরাহ সিস্টেম নির্মাণে ১২১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া পানি শোধনাগার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য সেকেন্ডারি লাইন নির্মাণ, বিদ্যমান মিনি পাইপ ওয়াটার স্কিম ও স্যানিটেশন সুবিধা পরিচালন, ভাসানচরে ফিজিক্যাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন এবং সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধার সংস্কার ও পুনর্বাসন করবে প্রকল্পটি। আগামী জুলাই থেকে শুরু হয়ে প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৮ সালের জুনে। এর আগে এ প্রকল্প থেকে অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক ১৫টি খাত বাতিল করে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি)।

উখিয়া, টেকনাফ ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাস থাকলেও কক্সবাজারের বাকি সাত এবং নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে প্রকল্পের আওতায় সব উপজেলাকে সমান গুরুত্ব দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) এহতেশামুল রাসেল খান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘‌প্রকল্পটি উখিয়া, টেকনাফ এবং ভাসানচরের রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য নেয়া। এখানে মূল কাজটি হচ্ছে মিনি ওয়াটার পাইপ সাপ্লাই সিস্টেম উন্নয়ন করা। উখিয়া, টেকনাফের পাশাপাশি কক্সবাজারের অন্যান্য উপজেলার স্থানীয়রাও রোহিঙ্গা সংকটে অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবিত। তাই সেখানে কয়েকটি স্থানে আমরা ওয়াটার পাইপ সিস্টেম চালু করব। এছাড়া নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়ায় মূলত ফিক্যাল স্লেজ সিস্টেমের কাজ করা হবে। সেজন্য বাজেট খুবই সীমিত। প্রকল্পের আরেকটি প্রধান কাজ হচ্ছে উখিয়ায় যে পানির সঞ্চালন লাইন আছে সেখান থেকে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাইনটি সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রকল্পটি মূলত এডিবির অর্থায়নে হচ্ছে। যার কারণে তাদের কিছু নির্দেশনা থাকে, সেটাও অনুসরণ করতে হয়।’

 

রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে ৬৫২ কোটি টাকার প্রকল্প

০৯:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: ফাওজুল কবির”

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ওপর নজর রাখা হচ্ছে জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

মঙ্গলবার ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে লাফার্জহোলসিম এবং জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি সই করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী জালালাবাদ লাফার্জহোলসিমকে আগামী দশ বছরে দৈনিক ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে, যা আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। বিইআরসি ঘোষিত নতুন দর ৪০ টাকা (শিল্প) এবং ৪২ টাকা (ক্যাপটিভ) ঘনমিটার হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। লাফার্জের সঙ্গে ২০০৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ২০ বছর মেয়াদি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, যুদ্ধের মধ্যে একটি তেলের জাহাজ বন্দরে এসেছে, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মজুদ হাতে রয়েছে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে সরবরাহকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তেল আনেন। মূল উৎস মধ্যপ্রাচ্য হলেও অনেক সরবরাহকারী সিঙ্গাপুর থেকে, মালয়েশিয়ার মার্কেট থেকে তেল আনেন। সে কারণে তেলের সরবরাহ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবুও আমরা যুদ্ধের ওপর নজর রাখছি।

ভর্তুকিও বাড়াবে না আবার দাম বাড়াবে না বলা হচ্ছে। তাহলে ঘাটতি সমন্বয় হবে কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কিছু কৌশল রয়েছে। বিপিসির কাছে কিছু অর্থ রয়েছে, প্রয়োজন হলে সেখান থেকে সমন্বয় করা হবে। তিনি আরও বলেন, গ্যাস খাতে অনেক ভর্তুকি রয়েছে। আমরা আর ভর্তুকি বাড়াতে পারবো না। লাফার্জহোলসিমের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, এখানে একটি সুবিধা রয়েছে, অন্য সব কোম্পানি ঢাকায়, যেখানে গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। আর লাফার্জের অবস্থান হচ্ছে সিলেট অঞ্চলে।যেখানে গ্যাসের অভাব নেই।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “বিদেশি ঋণ পরিশোধে রেকর্ড”

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে দেশীয় অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে সরকার প্রতিবছর বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নিচ্ছে। প্রতি মাসে এসব ঋণের একটি অংশ সুদ-আসলসহ পরিশোধও করা হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অস্থিরতায় ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় এই পরিশোধ এখন সরকারের জন্য একধরনের বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অবস্থায় একদিকে যেমন নতুন বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে, অন্যদিকে পুরোনো প্রতিশ্রুত ঋণছাড়ের গতি নিয়েও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি অনুযায়ী ঋণ পাওয়ার প্রবাহ যেমন দুর্বল, তেমনি আগের চুক্তিভিত্তিক ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিশোধের দায়ও বাড়ছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) একটি হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশের অনুকূলে বিদেশি ঋণের যে পরিমাণ ছাড় হচ্ছে, তার একটি বড় অংশ পুরোনো ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। কার্যত প্রতিশ্রুত ঋণ যতটুকু আসছে, তার ‘ষোলো আনার বারো আনাই’ চলে যাচ্ছে আগের ঋণ শোধে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈদেশিক ঋণ এবং এর সুদ বেড়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বাড়ছে; আর এই চাপ ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তিনি বলেন, একদিকে উন্নয়ন প্রকল্পে নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে, অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেগুলোর কিস্তি পরিশোধের সময় এসেছে। সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে সরকারের ওপর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে এবং এই প্রবণতা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বাংলাদেশ যে পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে, তার ৬৭ শতাংশই খরচ হয়েছে আগের ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ তথ্যমতে, এই সময় বাংলাদেশ ৫৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করেছে। তবে সেখান থেকে ফেরত দিতে হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার, যার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ৬৭৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ভবিষ্যতে মবের ঘটনা যাতে না ঘটে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার”

মব ভায়োলেন্স বন্ধ করা যাচ্ছে না, তবে কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মবের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এখন পর্যন্ত মব ভায়োলেন্সে জড়িত কতোজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কতোজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সে সংখ্যা বলতে পারবো না। তবে বড় একটি সংখ্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদার বিষয়টি উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই ঘটনায় আমরা সবাই দুঃখিত। এটা মেনে নেয়া যায় না। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা- খুঁজে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারও দুর্বলতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে, বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার বিষয়টি সব বাহিনীর প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেছেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে। তবে যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, প্রার্থী হবেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে। তবে প্রার্থী যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে নির্বাচনটি ভালোভাবে শেষ করা সহজ হবে। জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে সহযোগিতা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিগত সময়ে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি, এবার তারা কতোটা পারবে? জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তখন আপনারাও (মিডিয়া) ছিলেন। নির্বাচন নিয়ে আপনারাও কিছু বলেননি। জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, নির্বাচনে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকে না, এর সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার থাকেন। নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব আছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কোনো কার্যক্রম করতে পারেনি। আমরা যতটা আশা করছিলাম, ততটা মিছিল হয়নি। দলটি বড় কিছু করতে পারেনি। তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে ৬৫২ কোটি টাকার প্রকল্প”

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ৬৫২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। গতকাল চলতি অর্থবছরের শেষ একনেক সভায় অন্য ১৬টি প্রকল্পের সঙ্গে অনুমোদন পায় এ প্রকল্পও। অনুমোদিত এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনসমাজের সমন্বিত সেবা ও জীবন-জীবিকা উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটির বড় অংশ ঋণ ও অনুদানের অর্থায়নে কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১১ উপজেলায় বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে। এছাড়া ৩০৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অনুদান এবং ১১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সরকার (জিওবি) জোগান দেবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি বাস্তবায়ন করবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি টেকনাফ-উখিয়ার স্থানীয় জনসমাজের পানি, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিষেবা উন্নয়ন হবে।

প্রকল্পের কার্যক্রমে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারের উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পানি সঞ্চালন লাইন, বিতরণ নেটওয়ার্ক এবং গৃহসংযোগ বাস্তবায়ন হবে ১২৫ কোটি টাকার। কক্সবাজারের নয়টি উপজেলায় ২০টি মিনি পাইপ পানি সরবরাহ সিস্টেম নির্মাণে ১২১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া পানি শোধনাগার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য সেকেন্ডারি লাইন নির্মাণ, বিদ্যমান মিনি পাইপ ওয়াটার স্কিম ও স্যানিটেশন সুবিধা পরিচালন, ভাসানচরে ফিজিক্যাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন এবং সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধার সংস্কার ও পুনর্বাসন করবে প্রকল্পটি। আগামী জুলাই থেকে শুরু হয়ে প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৮ সালের জুনে। এর আগে এ প্রকল্প থেকে অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক ১৫টি খাত বাতিল করে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি)।

উখিয়া, টেকনাফ ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাস থাকলেও কক্সবাজারের বাকি সাত এবং নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে প্রকল্পের আওতায় সব উপজেলাকে সমান গুরুত্ব দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) এহতেশামুল রাসেল খান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘‌প্রকল্পটি উখিয়া, টেকনাফ এবং ভাসানচরের রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য নেয়া। এখানে মূল কাজটি হচ্ছে মিনি ওয়াটার পাইপ সাপ্লাই সিস্টেম উন্নয়ন করা। উখিয়া, টেকনাফের পাশাপাশি কক্সবাজারের অন্যান্য উপজেলার স্থানীয়রাও রোহিঙ্গা সংকটে অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবিত। তাই সেখানে কয়েকটি স্থানে আমরা ওয়াটার পাইপ সিস্টেম চালু করব। এছাড়া নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়ায় মূলত ফিক্যাল স্লেজ সিস্টেমের কাজ করা হবে। সেজন্য বাজেট খুবই সীমিত। প্রকল্পের আরেকটি প্রধান কাজ হচ্ছে উখিয়ায় যে পানির সঞ্চালন লাইন আছে সেখান থেকে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাইনটি সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রকল্পটি মূলত এডিবির অর্থায়নে হচ্ছে। যার কারণে তাদের কিছু নির্দেশনা থাকে, সেটাও অনুসরণ করতে হয়।’