০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

জাবি শিক্ষার্থীর অভিযোগ: ফজিলাতুন্নেসা হলে র‌্যাগিং, অভিযুক্ত নির্বাচিত নেত্রী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেসা হল সংসদের নির্বাচিত দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। চারুকলা অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রান্ত রায় দাবি করেছেন, পরীক্ষা চলাকালে তাকে মানসিক হয়রানি, হুমকি ও অপমান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

ঘটনার বিবরণ

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৭ আগস্ট প্রান্তের ফাইনাল পরীক্ষার সময় সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাকে জোরপূর্বক গ্যালারিতে নিয়ে যায়। সেখানে সহ-সভাপতি (ভিপি) ঐশী সরকার আথি তার শারীরিক অবয়ব নিয়ে কটাক্ষ করেন এবং ৫১তম ব্যাচের সিজান তাকে লাথি মেরে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আরেকজন শিক্ষার্থী নোমান পরীক্ষার হলে উচ্চস্বরে সবাইকে বেরিয়ে যেতে বলেন, ফলে পরীক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এবং প্রান্ত স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারেননি।

অভিযুক্তদের পরিচয়

অভিযোগে নাম এসেছে ফজিলাতুন্নেসা হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ঐশী সরকার আথি ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রমা রাহার। আথি চারুকলার ৪৯তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং প্রমা ৫০তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষে পড়েন।

প্রান্তের বক্তব্য

প্রান্ত সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আসি। এ ধরনের র‌্যাগিং আমাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কার্যকর অ্যান্টি-র‌্যাগিং নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।”

অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া

  • আথি দাবি করেন, “অভিযোগে আমার কথাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা র‌্যাগিং, বুলিং বা বডি-শেমিং ছিল না। সেদিন প্রায় পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল, কিন্তু কেবল কয়েকজনের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।”
  • প্রমা বলেন, “ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক ছিল না। আমরা বিভাগে দুঃখ প্রকাশ করেছি। অভিযোগের কিছু বিষয় পরে প্রান্তের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তবুও অভিযোগে আমার নাম রাখা হয়েছে। আমি ন্যায্য সিদ্ধান্ত আশা করি।”

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীম রেজা জানান, “প্রথমে আমরা বিষয়টি বিভাগীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছি। পরে শিক্ষার্থী প্রক্টরের কাছে যান।”

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রশিদুল আলম বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং কোনোভাবেই সহ্য করা হয় না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি-র‌্যাগিং নীতি কার্যকর আছে এবং তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি শিক্ষার্থীর অভিযোগ: ফজিলাতুন্নেসা হলে র‌্যাগিং, অভিযুক্ত নির্বাচিত নেত্রী

১১:৪৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেসা হল সংসদের নির্বাচিত দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। চারুকলা অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রান্ত রায় দাবি করেছেন, পরীক্ষা চলাকালে তাকে মানসিক হয়রানি, হুমকি ও অপমান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

ঘটনার বিবরণ

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৭ আগস্ট প্রান্তের ফাইনাল পরীক্ষার সময় সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাকে জোরপূর্বক গ্যালারিতে নিয়ে যায়। সেখানে সহ-সভাপতি (ভিপি) ঐশী সরকার আথি তার শারীরিক অবয়ব নিয়ে কটাক্ষ করেন এবং ৫১তম ব্যাচের সিজান তাকে লাথি মেরে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আরেকজন শিক্ষার্থী নোমান পরীক্ষার হলে উচ্চস্বরে সবাইকে বেরিয়ে যেতে বলেন, ফলে পরীক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এবং প্রান্ত স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারেননি।

অভিযুক্তদের পরিচয়

অভিযোগে নাম এসেছে ফজিলাতুন্নেসা হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ঐশী সরকার আথি ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রমা রাহার। আথি চারুকলার ৪৯তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং প্রমা ৫০তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষে পড়েন।

প্রান্তের বক্তব্য

প্রান্ত সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আসি। এ ধরনের র‌্যাগিং আমাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কার্যকর অ্যান্টি-র‌্যাগিং নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।”

অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া

  • আথি দাবি করেন, “অভিযোগে আমার কথাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা র‌্যাগিং, বুলিং বা বডি-শেমিং ছিল না। সেদিন প্রায় পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল, কিন্তু কেবল কয়েকজনের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।”
  • প্রমা বলেন, “ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক ছিল না। আমরা বিভাগে দুঃখ প্রকাশ করেছি। অভিযোগের কিছু বিষয় পরে প্রান্তের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তবুও অভিযোগে আমার নাম রাখা হয়েছে। আমি ন্যায্য সিদ্ধান্ত আশা করি।”

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীম রেজা জানান, “প্রথমে আমরা বিষয়টি বিভাগীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছি। পরে শিক্ষার্থী প্রক্টরের কাছে যান।”

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রশিদুল আলম বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং কোনোভাবেই সহ্য করা হয় না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি-র‌্যাগিং নীতি কার্যকর আছে এবং তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”