আজ থেকে ৫ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ভ্যাটিকানের ‘ডিকাস্টেরি ফর প্রোমোটিং ইন্টিগ্রাল হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট’-এর প্রিফেক্ট কার্ডিনাল মাইকেল ফেলিক্স চেরনি এসজে বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরের সমগ্র থিম—‘আশা জাগাও, যত্নের সংস্কৃতি গড়ে তোলো’—ক্যাথলিক চার্চের ন্যায়, শান্তি ও মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠার মিশনকে সামনে আনে, বিশেষত জলবায়ু–প্রবণ বাস্তুচ্যুত, শরণার্থী ও প্রান্তিক মানুষের জন্য।
ভ্রমণের সময়সূচি ও থিম
এই পাঁচ দিনের সফর ‘আশা জাগানো’ ও ‘যত্নের সংস্কৃতি’ নির্মাণের বার্তায় কেন্দ্রীভূত। এর মাধ্যমে সমাজের দুর্বল ও উপেক্ষিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
যে সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ
কার্ডিনাল চেরনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খোঁজ নেবেন। পাশাপাশি পথশিশু, আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও দেশের ভেতরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সঙ্গে দেখা করে তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজন সরাসরি শুনবেন।
ধর্মীয় ও নাগরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক
তিনি ক্যাথলিক বিশপ সম্মেলন (সিবিসিবি), সিবিসিবি–র জাস্টিস অ্যান্ড পিস কমিশন, খ্রিস্টান বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য ধর্মের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। লক্ষ্য—সহযোগিতা জোরদার, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সংহতি এগিয়ে নেওয়া।

কার্ডিনাল চেরনির পরিচিতি
চেকোস্লোভাকিয়ায় জন্ম নিয়ে কানাডায় বেড়ে ওঠা জেসুইট যাজক কার্ডিনাল চেরনি ২০১০ সাল থেকে ভ্যাটিকানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। তিনি বর্তমানে যে ডিকাস্টেরিটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য ও মানবিক সঙ্কটের মতো বৈশ্বিক ইস্যুতে নীতি ও সেবামূলক উদ্যোগ সমন্বয় করে।
সহযাত্রী দল
এই সফরে তার সঙ্গে থাকবেন সেক্রেটারি ফাদার জোসেফ সাভারীমাথু এবং এশিয়া মূলভূখণ্ডের আঞ্চলিক সমন্বয়ক ফ্রান্সেসকা দোনা।
সফরের লক্ষ্য ও বার্তা
বাংলাদেশে কার্ডিনাল চেরনির উপস্থিতি জলবায়ু ন্যায়বিচার, নৈতিক নেতৃত্ব ও আধ্যাত্মিক আত্মবিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তাকে সামনে আনবে। একই সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সংহতি ও প্রার্থনার বার্তা পৌঁছে দেবে।
এই ঐতিহাসিক সফর বাংলাদেশের জরুরি চ্যালেঞ্জ—জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী সঙ্কট ও দারিদ্র্য—আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও দৃশ্যমান করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক ন্যায়বিচার খাতে চার্চ ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হতে পারে। পাশাপাশি আন্তধর্মীয় সংলাপের পরিসর বাড়বে এবং বহুবর্ণের সম্প্রদায়ের মধ্যে আশা ও সহমর্মিতা জাগ্রত হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















