জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেছেন, গত সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় গণআন্দোলনের পর যে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, তার মূল কারণ ছিল দুর্বল ও অদক্ষ শাসনব্যবস্থা। তাঁর মতে, রাষ্ট্র নির্মাণ ও রাষ্ট্রসুরক্ষার কেন্দ্রীয় উপাদান হলো কার্যকর সুশাসন—যা ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়ে।
সারসংক্ষেপ
দোভাল শাসনব্যবস্থাকে রাষ্ট্রগঠনের ‘মৌলিক’ ও ‘নির্ধারক’ উপাদান হিসেবে অভিহিত করে বলেন, রাষ্ট্রের লক্ষ্য, আকাঙ্ক্ষা ও নিরাপত্তা অর্জনে সুশাসনের বিকল্প নেই। প্রতিবেশে সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনগুলোকেও তিনি দুর্বল শাসনের পরিণতি হিসেবে তুলে ধরেন।
প্রেক্ষাপট: বক্তৃতার উপলক্ষ
৩১ অক্টোবর ২০২৫, জাতীয় ঐক্য দিবসে ‘সরদার প্যাটেল স্মারক বক্তৃতা’-তে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দোভাল ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে বলেন, সাম্রাজ্য, রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র বা গণতন্ত্র—যে ব্যবস্থাই হোক, উত্থান–পতনের ইতিহাস আসলে শাসনমানের ইতিহাস।

মূল বক্তব্য
• শাসনব্যবস্থার গুণগত মান রাষ্ট্রগঠনের মৌলিক ও নির্ধারক উপাদান।
• রাষ্ট্রের লক্ষ্য, আকাঙ্ক্ষা ও নিরাপত্তা অর্জনে সুশাসন অপরিহার্য।
• বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালসহ প্রতিবেশে সাম্প্রতিক সময়ে ‘অসংবিধানিক পন্থায়’ যে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, তা দুর্বল শাসনের ফল।
প্রতিবেশ প্রসঙ্গ
দোভালের মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের। দেশটি বর্তমানে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

বিশ্লেষণ: কেন সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ
• জবাবদিহিতা ও দক্ষতা: নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও নজরদারিতে ঘাটতি থাকলে জনঅসন্তোষ বাড়ে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা ক্ষয়ে যায়।
• সংকট ব্যবস্থাপনা: অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট ও দুর্নীতির মতো ইস্যুতে দ্রুত ও স্বচ্ছ সমাধান না এলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়।
• সামাজিক আস্থা: নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন ও জনসেবা বিঘ্নিত হলে উত্তেজনা জমে, যা শেষ পর্যন্ত শাসনব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















