০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহর থমকে গেল —দুর্ভোগে ভাসল রাজধানী উত্তরায় জুলাইযোদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যুঃ ছবি দেখে মনে হয় কেউ ঝুলিয়ে রেখেছে  কাইট বিচে ব্যায়াম, উদ্দীপনা ও সামাজিক সংহতিতে প্রাণবন্ত সূচনা নারীর অধিকার ও সাংস্কৃতিক জাগরণে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান — সাপ্তাহিক ‘পঙক্তি’র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বক্তারা টেনিস তারকা ভাশেরো’র আত্মবিশ্বাস ও ঠান্ডা মাথা বাংলা কবিতা দিবসে নয়নপুরে দিনব্যাপী বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব সুদানের এল-ফাশের থেকে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে: জাতিসংঘ কোভিড ও ফ্লু সংক্রমণে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ার প্রমাণ পেল নতুন গবেষণা হারিকেন মেলিসার তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপে জামাইকা–কিউবা–হাইতি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান

বাংলাদেশে ভূমি অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারে নতুন সহযোগিতা উদ্যোগ

বাংলাদেশে ভূমি অধিকার, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষি সম্প্রসারণে নতুন এক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা, কৃষকদের সুরক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায়
গ্লোবাল গ্রিন গ্রোথ ইনস্টিটিউট (GGGI) এবং সুইডেনের উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (Sida)-এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কৃষি, পরিবেশ ও ভূমি সম্পর্কিত একাধিক মন্ত্রণালয় অংশ নিচ্ছে। চুক্তির আওতায় ভূমি ব্যবহার, কৃষিজ উৎপাদন, এবং প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও নীতি সহায়তা প্রদান করা হবে।

প্রকল্পের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার
এই সহযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় টেকসই নীতি প্রণয়ন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

 অংশীদারদের বক্তব্য
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশের কৃষি খাতকে আরও সক্ষম ও পরিবেশবান্ধব করে তুলবে। গ্লোবাল গ্রিন গ্রোথ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা জানান, উন্নয়ন সহযোগিতার এই মডেল ভবিষ্যতে বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে।

সুইডিশ উন্নয়ন সংস্থা Sida-এর কর্মকর্তারা বলেন, এই চুক্তি কেবল একটি প্রকল্প নয়, বরং এটি বাংলাদেশের মানুষের সাথে টেকসই উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের প্রতীক।

 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা
প্রকল্পের আওতায় কৃষি ও ভূমি খাতে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭০ কোটি টাকা অবকাঠামোগত উন্নয়নে এবং ৪০০ কোটি টাকা কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সহযোগিতার ফলে বাংলাদেশে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও কৃষি ব্যবস্থাপনায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি, নারীদের ভূমিকা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি পদ্ধতি গড়ে উঠবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অবদান
এই উদ্যোগ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) অর্জনে সরাসরি অবদান রাখবে। বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্ত সমাজ গঠন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এর প্রভাব উল্লেখযোগ্য হবে।

বাংলাদেশে ভূমি অধিকার ও কৃষি উন্নয়নের এই নতুন অধ্যায় কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

#বাংলাদেশ #ভূমি_অধিকার #কৃষি_উন্নয়ন #টেকসই_উন্নয়ন #GGGI #Sida #সামাজিক_ন্যায়বিচার #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহর থমকে গেল —দুর্ভোগে ভাসল রাজধানী

বাংলাদেশে ভূমি অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারে নতুন সহযোগিতা উদ্যোগ

০৪:৩৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশে ভূমি অধিকার, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষি সম্প্রসারণে নতুন এক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা, কৃষকদের সুরক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায়
গ্লোবাল গ্রিন গ্রোথ ইনস্টিটিউট (GGGI) এবং সুইডেনের উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (Sida)-এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কৃষি, পরিবেশ ও ভূমি সম্পর্কিত একাধিক মন্ত্রণালয় অংশ নিচ্ছে। চুক্তির আওতায় ভূমি ব্যবহার, কৃষিজ উৎপাদন, এবং প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও নীতি সহায়তা প্রদান করা হবে।

প্রকল্পের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার
এই সহযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় টেকসই নীতি প্রণয়ন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

 অংশীদারদের বক্তব্য
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশের কৃষি খাতকে আরও সক্ষম ও পরিবেশবান্ধব করে তুলবে। গ্লোবাল গ্রিন গ্রোথ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা জানান, উন্নয়ন সহযোগিতার এই মডেল ভবিষ্যতে বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে।

সুইডিশ উন্নয়ন সংস্থা Sida-এর কর্মকর্তারা বলেন, এই চুক্তি কেবল একটি প্রকল্প নয়, বরং এটি বাংলাদেশের মানুষের সাথে টেকসই উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের প্রতীক।

 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা
প্রকল্পের আওতায় কৃষি ও ভূমি খাতে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭০ কোটি টাকা অবকাঠামোগত উন্নয়নে এবং ৪০০ কোটি টাকা কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সহযোগিতার ফলে বাংলাদেশে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও কৃষি ব্যবস্থাপনায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি, নারীদের ভূমিকা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি পদ্ধতি গড়ে উঠবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অবদান
এই উদ্যোগ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) অর্জনে সরাসরি অবদান রাখবে। বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্ত সমাজ গঠন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এর প্রভাব উল্লেখযোগ্য হবে।

বাংলাদেশে ভূমি অধিকার ও কৃষি উন্নয়নের এই নতুন অধ্যায় কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

#বাংলাদেশ #ভূমি_অধিকার #কৃষি_উন্নয়ন #টেকসই_উন্নয়ন #GGGI #Sida #সামাজিক_ন্যায়বিচার #সারাক্ষণ_রিপোর্ট