সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হয়রানির ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় সীমিতভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও নয়জন শিক্ষার্থীকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত অনুমোদন
গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা
অর্থনীতি বিভাগের ২০২০–২২ সেশনের তিন শিক্ষার্থী—নাহিদ হাসান, রিয়াজ মোরশেদ এবং আফসানা পারভিন টিনা—কে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা আগামী দুই সেমিস্টার পর্যন্ত কোনো শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকা, পরীক্ষা দেওয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

সতর্কবার্তা পাওয়া শিক্ষার্থীরা
ঘটনায় আংশিকভাবে জড়িত থাকায় যাদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—সাইফুল ইসলাম, মিল্টন মিয়া, মশিউর রহমান, রাকিব হোসেন, সौरভ দত্ত, মিনহাজুল আবেদিন, সাব্বির হোসেন, সौरভ হোসেন সাজিব এবং ফরিদুল আলম পন্না।
ঘটনার পটভূমি
গত ১২ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিভাগীয় ফুটবল ম্যাচ চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন সাংবাদিক শারীরিকভাবে হামলার শিকার হন।
ঘটনার দুই দিন পর, ১৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে জমা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে সহায়ক হবে। সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধ ও ইসলামী ন্যায়ের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে প্রশাসন জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















