বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়—এমন আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য বব ব্ল্যাকম্যান। তিনি বলেন, দেশের পুনর্গঠনে সব মতের মানুষকে যুক্ত করা উচিত এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার রক্ষা করা।
গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের আহ্বান
ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যান আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন হবে সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
তিনি বলেন, দেশের পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় যেন সব মত ও পথের মানুষ অংশ নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ব্ল্যাকম্যান বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচন যেন মুক্ত, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক হয়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কারণ নির্বাচনই গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং জনগণের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন।”
ইউনূস সরকারের প্রতি প্রত্যাশা
হাউস অব কমন্সের হ্যারো ইস্ট আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ইউনূস সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন তারা আইনের শাসন ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও সাংবিধানিক মূল্যবোধের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখনো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে আমরা আশা করি, বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সব রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।”
সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা
বিবৃতিতে ব্ল্যাকম্যান উল্লেখ করেন, জুলাই আন্দোলনের পর যেসব সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
তিনি বলেন, “তাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
স্বাধীনতার চেতনা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের আহ্বান
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রতি ইঙ্গিত করে ব্রিটিশ এমপি বলেন, “এই দেশের মানুষ ভাষা, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের জন্য লড়াই করেছে। এখন সময় এসেছে তাদের রাজনৈতিক অধিকার পুনঃস্থাপন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার।”
তিনি আরও যোগ করেন, “একটি এমন বাংলাদেশ গড়ে তোলা দরকার, যেখানে প্রতিশোধ নয়, ন্যায় ও সমতার মূল্যবোধ থাকবে প্রাধান্যে।”
#বাংলাদেশ #ববব্ল্যাকম্যান #নির্বাচন #মুহাম্মদইউনূস #গণতন্ত্র
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















