অবরোধে দেশি অস্ত্র হাতে নেতাকর্মীদের অবস্থান
কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ঘোষিত ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দলীয় নেতাকর্মীরা দেশি অস্ত্র হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। তারা ভোর থেকেই গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একাধিক স্থানে সড়ক অবরোধ
বুধবার সকাল ৬টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শুয়োদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়—
- ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পুখুরিয়া,
- এক্সপ্রেসওয়ের পুলিয়া,
- এবং আরও কমপক্ষে পাঁচটি স্থানে
সকাল ১০টা পর্যন্ত অবরোধ চলতে থাকে।
লাইভ ভিডিওতে অস্ত্রধারী আন্দোলনকারীরা
জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়নকে সকালে শুয়োদী এলাকা থেকে ফেসবুক লাইভ করতে দেখা যায়। তার ভিডিওতে দেখা যায়—
- শতাধিক নেতাকর্মী মহাসড়কে রামদা, ঢাল-সড়কি নিয়ে অবস্থান করছে,
- রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে,
- টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এ সময় নারী ও শিশুদেরও স্লোগানে অংশ নিতে দেখা যায়।

যানবাহন চলাচল বন্ধ
অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে ঢাকামুখীসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়েছে। এতে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাব
স্থানীয় সূত্র বলছে, ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জগামী এলাকাটি আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। লকডাউন ঘোষণার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীরা এসে সেখানে অবস্থান নেন।
ভোর থেকেই কয়েকজন সড়কে নেমে অবস্থান নেন, পরে আরও নেতাকর্মী যোগ দিয়ে পুরো সড়ক অবরুদ্ধ করেন।
পুলিশ ও প্রশাসনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা
ঘটনা বিষয়ে জানতে ভাঙ্গা থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি কল কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

পুলিশের হস্তক্ষেপ ও অবরোধ তুলে নেওয়া
স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান—
- ভাঙ্গায় পাঁচটি স্থানে অবরোধ করা হয়েছিল,
- পুখুরিয়া ও পুলিয়া এলাকায় ওসির নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা অবরোধ তুলে নেয়,
- শুয়োদী এলাকায়ও পুলিশ রওনা হয়েছে,
- সেনাবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সাংবাদিকরাও পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















