১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকায় সবজি–প্রোটিনে আগুন-দাম: নিম্ন আয়ের মানুষের টিকে থাকার লড়াই চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ৫ সশস্ত্র বাহিনী দিবস শুক্রবার পালিত হবে ডাকসু নেত্রীর বাড়িতে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ স্টক মার্কেট সপ্তাহ শেষ করল নিম্নমুখী লেনদেনে বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশ আরও চারজনের মৃত্যুতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক কোনো বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সুযোগ দেব না: সিএসসি-কে ঢাকার বার্তা স্কুলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের নিয়ম: শিক্ষার্থীদের জানা উচিত করণীয় ও বর্জনীয় অনুপ কুমার বিশ্বাস, নবমিতা সরকার ও কাজী আরিফুর রহমান–এই তিন সহকারী কমিশনারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে

ট্যাংকলরি মালিকদের ৪ ঘণ্টার ধর্মঘট খুলনায়; চলবে এক সপ্তাহ

খুলনা জেলা ট্যাংকলরি মালিক সমিতির উদ্যোগে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি সহ ছয় দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার চার ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করা হয়েছে। এই কর্মসূচি এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একইভাবে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

ধর্মঘটের সময়সূচি

ধর্মঘট শুরু হয় সকাল ৮টায় এবং শেষ হয় দুপুর ১২টায়।

সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদি এবং ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মীর মোকসেদ আলী জানান, প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে ধর্মঘট চলবে।

দ্বিতীয় সপ্তাহে ধর্মঘটের সময় বাড়িয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হবে।

ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে ট্যাংকলরি মালিকরা

দাবি আদায় না হলে ৫ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করা হবে।

জ্বালানি তোলায় স্থবিরতা

ধর্মঘট চলাকালীন খালিশপুরের কাশিপুর এলাকায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তোলা বন্ধ রাখা হয়।

ট্যাংকলরিগুলো ডিপো গেটের সামনে থামিয়ে রাখা হয়।

এ ছাড়া বিএল কলেজ রোড, বিআইডিসি রোড এবং কাশিপুর ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে লরিগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এর ফলে খুলনাসহ আশপাশের ১৬টি জেলায় জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

মূল দাবিগুলো

ট্যাংকলরি মালিক ও শ্রমিকদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট, ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ

• পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি
• ভ্যাট আদায় সেবা গ্রহণকারী পক্ষের ওপর নিশ্চিত করে সরকারি গেজেট প্রকাশ
• সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তজেলা রুট পারমিট প্রদান
• সড়কে চলার উপযোগী যানবাহনের ‘ফিটনেস’ অনুমোদন নিশ্চিত করা
• ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৩৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি
• ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নির্মিত বা নিবন্ধিত ট্যাংকলরিগুলোকে বৈধভাবে চলাচলের অনুমতি দেওয়া

এই ধর্মঘটের কারণে জ্বালানি সরবরাহে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা পরবর্তী দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় সবজি–প্রোটিনে আগুন-দাম: নিম্ন আয়ের মানুষের টিকে থাকার লড়াই

ট্যাংকলরি মালিকদের ৪ ঘণ্টার ধর্মঘট খুলনায়; চলবে এক সপ্তাহ

০৭:৫২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

খুলনা জেলা ট্যাংকলরি মালিক সমিতির উদ্যোগে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি সহ ছয় দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার চার ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করা হয়েছে। এই কর্মসূচি এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একইভাবে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

ধর্মঘটের সময়সূচি

ধর্মঘট শুরু হয় সকাল ৮টায় এবং শেষ হয় দুপুর ১২টায়।

সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদি এবং ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মীর মোকসেদ আলী জানান, প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে ধর্মঘট চলবে।

দ্বিতীয় সপ্তাহে ধর্মঘটের সময় বাড়িয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হবে।

ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে ট্যাংকলরি মালিকরা

দাবি আদায় না হলে ৫ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করা হবে।

জ্বালানি তোলায় স্থবিরতা

ধর্মঘট চলাকালীন খালিশপুরের কাশিপুর এলাকায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তোলা বন্ধ রাখা হয়।

ট্যাংকলরিগুলো ডিপো গেটের সামনে থামিয়ে রাখা হয়।

এ ছাড়া বিএল কলেজ রোড, বিআইডিসি রোড এবং কাশিপুর ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে লরিগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এর ফলে খুলনাসহ আশপাশের ১৬টি জেলায় জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

মূল দাবিগুলো

ট্যাংকলরি মালিক ও শ্রমিকদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট, ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ

• পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি
• ভ্যাট আদায় সেবা গ্রহণকারী পক্ষের ওপর নিশ্চিত করে সরকারি গেজেট প্রকাশ
• সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তজেলা রুট পারমিট প্রদান
• সড়কে চলার উপযোগী যানবাহনের ‘ফিটনেস’ অনুমোদন নিশ্চিত করা
• ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৩৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি
• ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নির্মিত বা নিবন্ধিত ট্যাংকলরিগুলোকে বৈধভাবে চলাচলের অনুমতি দেওয়া

এই ধর্মঘটের কারণে জ্বালানি সরবরাহে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা পরবর্তী দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।