পল্লবী যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজনদের একজন গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছেন। ঘটনার তদন্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
গ্রেপ্তারের পরপরই মৃত্যু
পল্লবী যুবদল নেতা ও সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের এক সন্দেহভাজনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পল্লবী এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে। কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু ঘটে।
মৃত ব্যক্তির নাম মোখতার হোসেন।
মৃত্যুর তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি
ডিএমপি জানায়, অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সারোয়ার আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধান করছে।
ডিএমপি মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঘটনার পটভূমি
গত ১৭ নভেম্বর পল্লবীতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করে। ঘটনাটির ভিডিও দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে কিবরিয়ার স্ত্রী পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও সাত-আটজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি পরে তদন্তের স্বার্থে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ডিবির অভিযান ও একাধিক গ্রেপ্তার
গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডিবি নাজরুল, মাসুম ও জামানকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জানায়, ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি মোখতারের কাছে রয়েছে।
মোখতারকে ধরার অভিযান
এই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পল্লবীর একটি গ্যারেজে মোখতারকে ধরতে অভিযান চালায় ডিবি।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে মারধর করে।
মোখতারের দেওয়া তথ্যে ডিবি পরে একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে পিস্তলের আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা
রাতে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার পর রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন।
পরে তাকে আবার ডিবি কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাকে নাশতা দিতে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখেন তিনি অচেতন। দ্রুত ঢামেকে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















