ঘটনার সারসংক্ষেপ
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় বিএনপির পার্টি অফিসে ২১ নভেম্বর দিবাগত রাতে ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় অফিসের বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছবি অক্ষত থাকে—যা স্থানীয়ভাবে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে ওঠে।
হামলার বিবরণ
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে—
- রাত ১টার দিকে ৪–৫টি মোটরসাইকেলে ১৫–২০ জন যুবক এসে হামলা চালায়।
- প্রথমে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
- এরপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।
- হামলাকারীরা অফিসে ঢুকে চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, টিভিসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
- সবকিছুর মধ্যে খালেদা জিয়ার ছবি অক্ষত থাকায় নতুন প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং নাকি বাহিরের হামলা?
স্থানীয় বিএনপির একটি বড় অংশ দাবি করেছে—
- এটি দলের ভেতরের গ্রুপিংয়ের ফল।
- তাদের যুক্তি, বাহিরের কেউ হলে খালেদা জিয়ার ছবি নষ্ট করাই প্রথম লক্ষ্য হতো।
- তাই হামলাটি বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব থেকেই ঘটেছে বলে তারা মনে করেন।
বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব
ফরিদপুর উপজেলা বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরে দুটি গ্রুপের মধ্যে টানাপোড়েন রয়েছে—
- জহুরুল ইসলাম বকুল–আব্দুল হাকিম গ্রুপ
- জিয়াউর রহমান জিয়া গ্রুপ
কমিটি গঠন, সভা-সমাবেশ, কর্মসূচি পালন—সবকিছু নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয়দের ধারণা, এই হামলা সেই চলমান দ্বন্দ্বেরই বহিঃপ্রকাশ।

বকুলের দাবি: এটি বাহিরের হামলা
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে জহুরুল ইসলাম বকুল বলেন—
- এটি পলাতক হাসিনার সমর্থক ও সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলা।
- তারা গুলি ছুড়েছে, ককটেল ফাটিয়েছে এবং অফিস ভাঙচুর করেছে।
- খালেদা জিয়ার ছবি অক্ষত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং বলেন—
“এটা ভেতরের ব্যাপার নয়, এটা বাইরের লোকের কাজ।”
পুলিশের বক্তব্য
ফরিদপুর থানার ওসি সাকিউল আজম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান—
- ককটেল বিস্ফোরণ নিশ্চিত।
- গুলিবর্ষণের বিষয়টি এখনও যাচাই চলছে।
- সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
- এখনো কোনো মামলা হয়নি।
- তদন্ত শেষে হামলাটি অভ্যন্তরীণ নাকি বহিরাগতদের কাজ, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
#tags: #পাবনা #বিএনপি #রাজনীতি #ককটেলহামলা #গুলিবর্ষণ #দলীয়দ্বন্দ্ব
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















