বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে তার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে চিকিৎসকদের অনুমতির ওপর।
দেশজুড়ে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা
জুমার নামাজের পর বিএনপির উদ্যোগে দেশের সব মসজিদে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শুধু মসজিদ নয়, বিভিন্ন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়েও প্রার্থনার আয়োজন হয়।
নায়াপল্টন জামে মসজিদে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অন্যান্য নেতা।
ফখরুলের বক্তব্য: অবস্থা এখনও গুরুতর
দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মির্জা ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তিনি বলেন, কাতার সরকারের সরবরাহ করা একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শনিবার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। চিকিৎসকরা যদি উড়োজাহাজে ভ্রমণকে নিরাপদ মনে করেন, তবে রোববারই তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে।
উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার কারণ
বিএনপি মহাসচিব জানান, দেশি–বিদেশি অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাদের মূল্যায়নে দেখা গেছে, আরও উন্নত চিকিৎসা জরুরি, যা যুক্তরাজ্যে করা সম্ভব।
অতীতের জটিলতা ও দীর্ঘ ভোগান্তি
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই করা খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন এবং সেখান থেকেই তার অসুস্থতার সূত্রপাত বলে মনে করা হয়।
তিনি জানান, কোভিড মহামারির সময় তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় চার বছর ভোগান্তির পর কিছুটা সুস্থ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ার কারণ
ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফখরুল জানান, কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ে উড়োজাহাজ না আসায় ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ হয়েছিল।
#খালেদা_জিয়া #মির্জা_ফখরুল #বিএনপি #লন্ডন_চিকিৎসা #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















