১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
বাবা-মায়েরা যা জানবেন: স্কুলে বুলিং বিরোধী ব্যবস্থা এলিজাবেথ টুরেট সিনড্রোমে আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন শ্রীলঙ্কা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে দুর্যোগে ৪৭৯ জনের মৃত্যু, ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ ইয়াস মারিনা সার্কিট: মরুর স্বপ্ন থেকে আইকনিক এফ১ ভেন্যু সোনাম কাপূর স্মরণ করলেন আনন্দ আহুজার সাথে আংটি বদল করা দিন রেভিন্দ্রা, ল্যাথামের সেঞ্চুরিতে নিউ জিল্যান্ডের দৃঢ় অবস্থান রাহুলের অভিযোগ: সেকেন্ড ওডিআইতে পরাজয়ের জন্য দিও দায়ী, গাইকওয়াদ নতুন ভূমিকায় অভ্যস্ত হয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরিতে কাচ্চাতিভু ইস্যু: রাজনীতির আড়ালে প্রকৃত সংকট পরিবেশ ও টিকে থাকা খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া এখনও অনিশ্চিত দৈনন্দিন বাজারে আগুন: পেঁয়াজ–তেল–ডিমের দাম লাফিয়ে বাড়ায় স্থির আয়ের মানুষের টিকে থাকা কঠিন

দৈনন্দিন বাজারে আগুন: পেঁয়াজ–তেল–ডিমের দাম লাফিয়ে বাড়ায় স্থির আয়ের মানুষের টিকে থাকা কঠিন

পেঁয়াজের দাম কেজিতে এক লাফে ৪০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়, সয়াবিন তেলের লিটারে ৯ টাকা বৃদ্ধি, আর সঙ্গে ডিমের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। একসঙ্গে তিনটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় স্থির আয়ের মানুষের সংসার চালানো এখন আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। আয় না বাড়লেও ব্যয় কমানোরও পথ নেই—কারণ কমানোর জায়গাটুকুই আর বাকি নেই।


পেঁয়াজে নতুন ধাক্কা: দিনের শুরুতেই বাজেট ভেঙে যাচ্ছে

বাজারে ঢুকতেই যে ধাক্কা খেতে হয়, তার প্রথমটি পেঁয়াজের দামে। কেজিতে হঠাৎ ৪০ টাকা বৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের গৃহস্থালি হিসাব পুরোটা ওলটপালট করে দিয়েছে।
শাহনাজ আক্তার, একজন স্কুলশিক্ষক, বললেন, “আগে ১০০ টাকার পেঁয়াজে আধা সপ্তাহ চলত। এখন ১৪০ টাকায় দুই দিনও যায় না। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না চলে না—এখন বাধ্য হয়েই কম দিচ্ছি।”


সয়াবিন তেলে ৯ টাকা বাড়তি—রান্নার খরচ আরও চড়া

তেলের দাম বাড়া মানেই প্রতিদিনের রান্নাঘরে সরাসরি চাপ। লিটারপ্রতি ৯ টাকা বৃদ্ধির ফলে স্থির আয়ের পরিবারগুলো আবার নতুন করে হিসাব কষতে বাধ্য হচ্ছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা জাহিদ বলেন, “তেল কম দিলে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়। কিন্তু দাম না কমলে রেসিপি বদলানো ছাড়া উপায় নেই।”


ডিমের দামও ছুটছে—’গরিবের প্রোটিন’ আর সাশ্রয়ী নয়

একসময় সস্তায় পুষ্টির অন্যতম উৎস ছিল ডিম। এখন সেই ডিমই অনেকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিন বা একদিন অন্তর ডিম কিনতেন যারা, তারা এখন সপ্তাহে কয়েকটি কিনে কোনোভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।


স্থির আয়ের মানুষের জীবন–যাপন: কম খাও, কম কিনো—তারপরও টিকে থাকা কঠিন

বেতন একই, কিন্তু বাজারের দাম প্রতিদিন বাড়ছে।
প্রভাব স্পষ্ট—
রান্নার বাজেট কমানো, খাবারের গুণমান কমে যাওয়া, শিশুর পুষ্টি খরচে কাটছাঁট, চিকিৎসা–যাতায়াত কমানো, এমনকি সঞ্চয় সম্পূর্ণ বন্ধ করা—সবই এখন বাধ্যতামূলক বাস্তবতা।

বেসরকারি চাকরিজীবী লায়লা নাসরিন বললেন, “বাজারে ঢুকলেই ভয় লাগে। আগের বাজেট আজ কাগজে-কলমেই থাকে। প্রতিদিনই নতুন করে আপস করতে হচ্ছে।”


বাজারে মানুষের প্রতিক্রিয়া: ক্ষোভ, অনিশ্চয়তা ও ক্লান্তি

বাজারজুড়ে একই সুর—হতাশা আর ক্ষোভ।
অনেকেই মনে করেন, দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ মিলছে না। ফলে আগামী দিনে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে মানুষের মনে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

এক দোকানদার বলেন, “আমরা দাম বাড়াইনি—আমরাও বেশি দামে কিনছি। সাপ্লাই শৃঙ্খলে সমস্যা থাকলে দাম বাড়বেই।”


পেঁয়াজ, তেল ও ডিম—তিনটি প্রধান নিত্যপণ্যের একযোগে দাম বাড়ায় মানুষের জীবনে নেমে এসেছে বাড়তি চাপ। শুধু ব্যয় নয়—মানসিক স্বস্তি, খাবারের মান, শিশুদের পুষ্টি—সবকিছুই সংকুচিত হচ্ছে।
মানুষ এখন তাকিয়ে আছে বাজারের দিকে—কিছুটা স্বস্তির আশায়।

#foodprices #bangladesh #dailycost #marketcrisis #sarakhonreport

জনপ্রিয় সংবাদ

বাবা-মায়েরা যা জানবেন: স্কুলে বুলিং বিরোধী ব্যবস্থা

দৈনন্দিন বাজারে আগুন: পেঁয়াজ–তেল–ডিমের দাম লাফিয়ে বাড়ায় স্থির আয়ের মানুষের টিকে থাকা কঠিন

১১:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পেঁয়াজের দাম কেজিতে এক লাফে ৪০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়, সয়াবিন তেলের লিটারে ৯ টাকা বৃদ্ধি, আর সঙ্গে ডিমের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। একসঙ্গে তিনটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় স্থির আয়ের মানুষের সংসার চালানো এখন আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। আয় না বাড়লেও ব্যয় কমানোরও পথ নেই—কারণ কমানোর জায়গাটুকুই আর বাকি নেই।


পেঁয়াজে নতুন ধাক্কা: দিনের শুরুতেই বাজেট ভেঙে যাচ্ছে

বাজারে ঢুকতেই যে ধাক্কা খেতে হয়, তার প্রথমটি পেঁয়াজের দামে। কেজিতে হঠাৎ ৪০ টাকা বৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের গৃহস্থালি হিসাব পুরোটা ওলটপালট করে দিয়েছে।
শাহনাজ আক্তার, একজন স্কুলশিক্ষক, বললেন, “আগে ১০০ টাকার পেঁয়াজে আধা সপ্তাহ চলত। এখন ১৪০ টাকায় দুই দিনও যায় না। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না চলে না—এখন বাধ্য হয়েই কম দিচ্ছি।”


সয়াবিন তেলে ৯ টাকা বাড়তি—রান্নার খরচ আরও চড়া

তেলের দাম বাড়া মানেই প্রতিদিনের রান্নাঘরে সরাসরি চাপ। লিটারপ্রতি ৯ টাকা বৃদ্ধির ফলে স্থির আয়ের পরিবারগুলো আবার নতুন করে হিসাব কষতে বাধ্য হচ্ছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা জাহিদ বলেন, “তেল কম দিলে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়। কিন্তু দাম না কমলে রেসিপি বদলানো ছাড়া উপায় নেই।”


ডিমের দামও ছুটছে—’গরিবের প্রোটিন’ আর সাশ্রয়ী নয়

একসময় সস্তায় পুষ্টির অন্যতম উৎস ছিল ডিম। এখন সেই ডিমই অনেকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিন বা একদিন অন্তর ডিম কিনতেন যারা, তারা এখন সপ্তাহে কয়েকটি কিনে কোনোভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।


স্থির আয়ের মানুষের জীবন–যাপন: কম খাও, কম কিনো—তারপরও টিকে থাকা কঠিন

বেতন একই, কিন্তু বাজারের দাম প্রতিদিন বাড়ছে।
প্রভাব স্পষ্ট—
রান্নার বাজেট কমানো, খাবারের গুণমান কমে যাওয়া, শিশুর পুষ্টি খরচে কাটছাঁট, চিকিৎসা–যাতায়াত কমানো, এমনকি সঞ্চয় সম্পূর্ণ বন্ধ করা—সবই এখন বাধ্যতামূলক বাস্তবতা।

বেসরকারি চাকরিজীবী লায়লা নাসরিন বললেন, “বাজারে ঢুকলেই ভয় লাগে। আগের বাজেট আজ কাগজে-কলমেই থাকে। প্রতিদিনই নতুন করে আপস করতে হচ্ছে।”


বাজারে মানুষের প্রতিক্রিয়া: ক্ষোভ, অনিশ্চয়তা ও ক্লান্তি

বাজারজুড়ে একই সুর—হতাশা আর ক্ষোভ।
অনেকেই মনে করেন, দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ মিলছে না। ফলে আগামী দিনে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে মানুষের মনে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

এক দোকানদার বলেন, “আমরা দাম বাড়াইনি—আমরাও বেশি দামে কিনছি। সাপ্লাই শৃঙ্খলে সমস্যা থাকলে দাম বাড়বেই।”


পেঁয়াজ, তেল ও ডিম—তিনটি প্রধান নিত্যপণ্যের একযোগে দাম বাড়ায় মানুষের জীবনে নেমে এসেছে বাড়তি চাপ। শুধু ব্যয় নয়—মানসিক স্বস্তি, খাবারের মান, শিশুদের পুষ্টি—সবকিছুই সংকুচিত হচ্ছে।
মানুষ এখন তাকিয়ে আছে বাজারের দিকে—কিছুটা স্বস্তির আশায়।

#foodprices #bangladesh #dailycost #marketcrisis #sarakhonreport