লেট-নাইট পার্টির সময় উত্তর গোয়ার আরপোরা এলাকার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশের মৃত্যু শ্বাসরোধে হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে। ঘটনাটি শনিবার গভীর রাতে ঘটে।
ঘটনার শুরু ও প্রাথমিক তথ্য
মধ্যরাতের পরপরই পাঞ্জি শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের আরপোরা গ্রামের এই নাইটক্লাবে আগুন লাগে। গোয়া পুলিশের মহাপরিচালক অলোক কুমার জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে। ক্লাবটি মাত্র গত বছর চালু হয়েছিল।
কারা নিহত হয়েছেন
এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন ক্লাবের কর্মী—যাদের বেশিরভাগই রান্নাঘরের শ্রমিক। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন। তিন থেকে চারজন পর্যটকও মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি জানান, তিনজন দগ্ধ হয়ে মারা গেলেও বাকিরা শ্বাসরোধে প্রাণ হারিয়েছেন।

নিরাপত্তা বিধি মানা হয়নি
মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত বলেন, প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, নাইটক্লাবটি অগ্নিনিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করেনি। তিনি আরও জানান, ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং যারা নিয়ম না মানা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি চালানোর অনুমতি দিয়েছেন—সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
উদ্ধার অভিযান ও হতাহতদের অবস্থা
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ২৩টি মরদেহ উদ্ধার করে বাম্বোলিমের সরকারি মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কাছাকাছি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করা হয়েছে। রাতভর উদ্ধারকাজ চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাটিকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্তের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় সহায়তার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, গোয়ার আরপোরায় অগ্নিকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
আগে দেওয়া এক পোস্টে সাওয়ান্ত লিখেছিলেন, গোয়ার জন্য আজ অত্যন্ত বেদনাদায়ক দিন। আগুন লাগার সঠিক কারণ, অগ্নিনিরাপত্তা ও ভবননিয়ম মানা হয়েছিল কি না—সবই খতিয়ে দেখা হবে। যে-ই দায়ী প্রমাণিত হবে, তাকে আইনের কঠোরতম ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
চলছে তদন্ত ও সহায়তার কাজ
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা সহায়তা এবং নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কাজ করছে প্রশাসন।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















