গার্বেজ, রেস্টুরেন্ট আর পুরোনো ভবনের ফাঁক
বছরের পর বছর ধরে নিখুঁত পরিচ্ছন্নতার শহর হিসেবে পরিচিত টোকিও এখন নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি—দৃশ্যমানভাবে বেড়ে গেছে ইঁদুরের আনাগোনা। ব্যস্ত কেনাকাটার এলাকা, বিনোদনকেন্দ্র আর রেলস্টেশনের আশপাশে দিনদুপুরে ঝুপ ঝুপ করে ছুটে চলা ইঁদুরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানিগুলোর ভাষায়, গাদাগাদি রেস্টুরেন্ট, ঝুলে থাকা ইলেকট্রিক তার, পিছনের গলিতে জমে থাকা আবর্জনা আর বহু ভবনের পুরোনো কাঠামো—সব মিলিয়ে ইঁদুরের জন্য আদর্শ আশ্রয় তৈরি হয়েছে। দোকান মালিকদের জন্য এটি শুধু অস্বস্তির নয়, সরাসরি ব্যবসা ঝুঁকির বিষয়; ক্রেতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা, মজুত পণ্যের ক্ষতি আর স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের হঠাৎ তল্লাশি—সব মিলিয়ে প্রতিদিনের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

দায়িত্ব কার, সমাধান কতটা বাস্তবসম্মত
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসিন্দাদের সচেতন করতে ক্যাম্পেইন ও পরিদর্শন জোরদার করেছে। খাদ্যবর্জ্য ভালোভাবে সিল করা, দেয়াল ও মেঝের ফাঁক বন্ধ করা, আর আলাদা আলাদা ভবনের বদলে পুরো ব্লক ধরে একসঙ্গে ফাঁদ পাতা বা ওষুধ প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্ড অফিস, বেসরকারি গার্বেজ কালেক্টর আর ভবন মালিকদের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি থাকলে দীর্ঘমেয়াদে ফল পাওয়া কঠিন। উষ্ণতর গ্রীষ্ম ও তুলনামূলক মৃদু শীত ইঁদুরের প্রজনন মৌসুমকে বছরজুড়ে দীর্ঘায়িত করছে বলেও ধারণা তৈরি হচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের আরেকটি অদৃশ্য প্রভাব। পাশাপাশি শ্রম বাজার ও ব্যয়ের চাপের কারণে অনেক রেস্টুরেন্ট যখন ক্লিনিং স্টাফ কমিয়ে আনে বা গভীর রাতের বিনোদন এলাকা আস্তে আস্তে কনভিনিয়েন্স স্টোরের ডাস্টবিনের ওপর বেশি নির্ভর করতে থাকে, তখন সমস্যা আরও প্রকট হয়। আগামী মাসগুলোতে টোকিও কীভাবে এই “অদৃশ্য অবকাঠামো”—আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ও পেস্ট কন্ট্রোল—সামলে রাখে, তা নির্ধারণ করবে শহরের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি কতটা অটুট থাকে।











সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















