প্রথম দুই পরিস্থিতির ভাজকগুলির থেকে গুণফল সংখ্যাকে ভাজক ধরে নিয়ে পূর্বোক্ত গণিতবিদদের শেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে….
যাই হ’ক এখানে সূত্রটি উপস্থিত করছি-
হারে বিভিন্নে গুণকে চ ভিন্নে
সাদাখ্যরাশেগুণকন্তু সাধ্যঃ।
দ্বিতীয় ভাজ্যস্বতদায্যজো গুণঃ১
ক্ষেপো তাবত ক্ষেপযুতো দ্বিতীয়ে।’
দ্বিতীয়ভাজ্যমতদান্তহারে।
ভাঁজ্যো ভবেত্তত্র হরো হরঃ স্নাত,।
এবং প্রকল্প্যাপি চ কুটকেহথ
জাতো গুণশ্চাদ্যহরেণ নিম্নঃ।
গুণো ভবেদাদ্যগুণেন যুক্তো।
হরম্নহারোহত্র হর প্রদিষ্টঃ।
অথ তৃতীয়েহপি তথৈবকুর্যা।
দেবং বহুণামপি সাধয়ে॥
অর্থাৎ “কুট্রকে জটিল উদাহরণের বিভিন্ন পরিস্থিতির নিষ্পত্তির জন্য যখন ভাজকগুলি ও গুণকগুলি পৃথক হয়ে যায়, যে সমস্ত অবস্থায় এক মাত্রার অনির্ণেয় সহ সমীকরণ সৃষ্টি করে, প্রয়োজনীয় পূর্ণসংখ্যাটিকে সে সব পরিস্থিতির সমাধান করতে হয়। তখন প্রথমেই সেই সংখ্যাটিকে বের করতে হবে যা নাকি প্রথম পরিস্থিতির (জ্ঞাত) ভাজ্য দ্বারা গুণ করতে হবে, তারপর দ্বিতীয় পরিস্থিতির ক্ষেপ দ্বারা পরিবর্ধন করলে, সেটি নূতন (অর্থাৎ দ্বিতীয়) উদাহরণের ক্ষেপ হবে (প্রথম পরিস্থিতিকে প্রথম উদাহরণ ধরা হয়েছে)। (জ্ঞাত) ভাজ্য (অর্থাৎ গুণক)টি পাওয়া যায় প্রথম পরিস্থিতির ভাজক এবং দ্বিতীর পরিস্থিতির ভাজ্য থেকে এবং ভাজকটি দ্বিতীয় পরিস্থিতির সমান। কুট্টকের নিয়মানুযায়ী এই ক্ষেপ, ভাজ্য, এবং ভাঁজক হতে একটি গুণক পাওয়া যাবে।
এই গুণককে এবং প্রথম পরিস্থিতির ভাজককে প্রথম পরিস্থিতির (পুর্বে অজ্ঞাত) গুণক (যা প্রথম পরিস্থিতির সমাধান সক্ষম) দ্বারা পরিবর্ধিত করলে দুটি পরিস্থিতিরই সমাধানে সক্ষম প্রয়োজনীয় পূর্ণ সংখ্যাটি পাওয়া যাবে। (যদি সাধারণ গুণকের অনেক মান দরকার হয় অথবা ক্ষেপটি ঋণাত্মক হয় অথবা উদাহরণে তিনটি পরিস্থিতি থাকে) তখন প্রথম দুই পরিস্থিতির ভাজকগুলির থেকে গুণফল সংখ্যাকে ভাজক ধরে নিয়ে পূর্বোক্ত গণিতবিদদের শেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে আরও অগ্রসর হতে হবে। তিনের অধিক পরিস্থিতি থাকলেও একই পদ্ধতি ধরে এগোতে হবে।”
(চলবে)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 


















