দ্বিতীয় দলের মধ্যে সারদাকান্ত গাঙ্গুলী মহাশয়ের যুক্তিই অত্যন্ত সঙ্গত মনে হয়…
এ সম্পর্কে একটি সুন্দর উদাহরণও দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন
“কঃ পঞ্চনিম্নো বিহৃতন্ত্রিযষ্ঠ্যা সপ্তাবশেয়োহথ স এব রাশিঃ।
দশাহতঃস্যাদ্বিহৃতন্ত্রিষ্ট্যা চতুদশাগ্রো রাশিমেনম্।
অর্থাৎ কোন রাশিকে পাঁচ দিয়ে গুণ করে তেষট্টি দিয়ে ভাগ দিলে সাত ভাগশেষ থাকবে, ঐ রাশিকে দশ দিয়ে গুণ করে তেষট্টি দিয়ে ভাগ দিলে চৌদ্দ ভাগশেষ। থাকবে। এটিকে আধুনিক বীজগণিতের ভাষায় লিখলে দাঁড়ায়-
63y1 = 5x – 7
63y2 = 10x – 14
![]()
এ ধরনের সমীকরণ নিয়ে মহাবীর, শ্রীপতি প্রমুখেরা আলোচনা করেছেন।
একটি বিতর্ক
দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য লিখিত লীলাবতী এবং বীজগণিত দেখে মনে হয় ভাস্করাচার্য ধরনের সমীকরণগুলি সমাধান করতে পারতেন।
লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে যে উভয় ক্ষেত্রের হর বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের পূর্বের শ্লোকে আমরা লক্ষ্য করেছি যে তিনি বলেছেন “একো হরশ্চেদ্ গুণকৌ বিভিন্নৌ” অর্থাৎ গুণক ভিন্ন কিন্তু হর একই হবে। স্বভাবতই প্রশ্ন থেকে যায় দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বিভিন্ন ভাজক নিয়ে কোন সমীকরণ এক্ষেত্রে সমাধান বা ব্যাপক আলোচনা করেছেন কি? ঐতিহাসিকেরা দুইভাগে বিভক্ত, একদল বলেন দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এ ধরনের সমীকরণ নিয়ে আলোচনা করেন নি।
অপরদল বিভিন্ন নথিপত্র সহযোগে এ মত খণ্ডন করেন। তবে আমরা লক্ষ্য করেছি যে দ্বিতীয় মতের প্রবক্তাই দলে ভারী। দ্বিতীয় দলের মধ্যে সারদাকান্ত গাঙ্গুলী মহাশয়ের যুক্তিই অত্যন্ত সঙ্গত মনে হয়। তিনি উড়িয়া প্রদেশের অধিবাসী শ্রীধর মহাপাত্রের (1717 স্ত্রী) লিখিত লীলাবতীর একটি উড়িয়া ভাষ্য পান। তাছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশে লীলাবতীর উপর একটি ভাষ্য পান।
এই ভাষ্য থেকে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য একমাত্রার অনির্ণেয় সহ সমীকরণে বিভিন্ন ভাজক ব্যবহার করে সূত্র সহ সমাধান করেছেন। তবে প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে অন্ধ্র, মহীশুর এবং উড়িষ্যায় যে লীলাবতীর ভাষ্য পাওয়া যায় তাতে সূত্রটি এবং উদাহরণের সামান্য হের ফের আছে লক্ষ্য করা যায়। তবে মূল বক্তব্য একই।
(চলবে)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 


















