১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৭) প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪) পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৭)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 5

কুর্মিটোলার ক্রু’রা সারারাত ধরে বিমানে সাপ্লাই বোঝাই করার কাজে বাস্ত থাকত…

অ্যান্থনি কুর্মিটোলায় চলে আসেন। এখানে তিনি, নিউ জার্সির জেমস কার্টি, পেনসিলভেনিয়ার জেমস ম্যাটিস ও ক্যালিফোর্নিয়ার মিঃ ক্র্যাবসের সঙ্গে একটি তাঁবুতে থাকতেন। এখানে তাঁদের একজন কাজের ছেলে ছিলো, বাঙালি, নাম সাবুচন্দ্র দে। সাবুর কাজ ছিলো ঝাড়ুটাডু দিয়ে তাঁবু-ঘরটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চারজনের বিছানা করে দেয়া। চার মার্কিন অফিসার মিলেমিশে সাবুকে মাসে মাসে পনেরো রুপী করে বেতন দিতেন।

অ্যান্থনি সিলভা সেনা তাঁবুগুলোর একটিতে থাকতেন।

অ্যান্থনি বলেন যে সেনাবাহিনীর মেসে সাধারণত আমেরিকান খাদ্য দেয়া হতো, তবে মাঝেমধ্যে স্থানীয় খাদ্যও পরিবেশিত হতো। কারি-খাদ্যের স্বাদ। অ্যান্টনির খুব পছন্দের ছিল। ঢাকা রেস-কোর্সের কাছে “রেনদিভূ” (Rendezvous) নামক একটি রেস্টুরেন্ট ছিল, স্থানীয় খাদ্য খেতে অ্যান্টনি রেস্টুরেন্টটিতে যেতেন।

কুর্মিটোলার ক্রু’রা সারারাত ধরে বিমানে সাপ্লাই বোঝাই করার কাজে বাস্ত থাকত যাতে সাতসকালে যদি না-ও হয় তো অন্তত সকাল বেলার দিকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমান যেনো সাপ্লাই নিয়ে গন্তব্যস্থলের পথে রওনা হতে পারে। কারণ, খুব ভোর বেলার দিকে কুয়াশা থাকলে “সি-১০৯” বিমানের জন্য উড্ডয়ন বেশ কঠিন হতো।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৬)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৬)

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৭)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৭)

০৯:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

কুর্মিটোলার ক্রু’রা সারারাত ধরে বিমানে সাপ্লাই বোঝাই করার কাজে বাস্ত থাকত…

অ্যান্থনি কুর্মিটোলায় চলে আসেন। এখানে তিনি, নিউ জার্সির জেমস কার্টি, পেনসিলভেনিয়ার জেমস ম্যাটিস ও ক্যালিফোর্নিয়ার মিঃ ক্র্যাবসের সঙ্গে একটি তাঁবুতে থাকতেন। এখানে তাঁদের একজন কাজের ছেলে ছিলো, বাঙালি, নাম সাবুচন্দ্র দে। সাবুর কাজ ছিলো ঝাড়ুটাডু দিয়ে তাঁবু-ঘরটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চারজনের বিছানা করে দেয়া। চার মার্কিন অফিসার মিলেমিশে সাবুকে মাসে মাসে পনেরো রুপী করে বেতন দিতেন।

অ্যান্থনি সিলভা সেনা তাঁবুগুলোর একটিতে থাকতেন।

অ্যান্থনি বলেন যে সেনাবাহিনীর মেসে সাধারণত আমেরিকান খাদ্য দেয়া হতো, তবে মাঝেমধ্যে স্থানীয় খাদ্যও পরিবেশিত হতো। কারি-খাদ্যের স্বাদ। অ্যান্টনির খুব পছন্দের ছিল। ঢাকা রেস-কোর্সের কাছে “রেনদিভূ” (Rendezvous) নামক একটি রেস্টুরেন্ট ছিল, স্থানীয় খাদ্য খেতে অ্যান্টনি রেস্টুরেন্টটিতে যেতেন।

কুর্মিটোলার ক্রু’রা সারারাত ধরে বিমানে সাপ্লাই বোঝাই করার কাজে বাস্ত থাকত যাতে সাতসকালে যদি না-ও হয় তো অন্তত সকাল বেলার দিকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমান যেনো সাপ্লাই নিয়ে গন্তব্যস্থলের পথে রওনা হতে পারে। কারণ, খুব ভোর বেলার দিকে কুয়াশা থাকলে “সি-১০৯” বিমানের জন্য উড্ডয়ন বেশ কঠিন হতো।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৬)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৬)