কুর্মিটোলার ক্রু’রা সারারাত ধরে বিমানে সাপ্লাই বোঝাই করার কাজে বাস্ত থাকত…
অ্যান্থনি কুর্মিটোলায় চলে আসেন। এখানে তিনি, নিউ জার্সির জেমস কার্টি, পেনসিলভেনিয়ার জেমস ম্যাটিস ও ক্যালিফোর্নিয়ার মিঃ ক্র্যাবসের সঙ্গে একটি তাঁবুতে থাকতেন। এখানে তাঁদের একজন কাজের ছেলে ছিলো, বাঙালি, নাম সাবুচন্দ্র দে। সাবুর কাজ ছিলো ঝাড়ুটাডু দিয়ে তাঁবু-ঘরটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং চারজনের বিছানা করে দেয়া। চার মার্কিন অফিসার মিলেমিশে সাবুকে মাসে মাসে পনেরো রুপী করে বেতন দিতেন।

অ্যান্থনি সিলভা সেনা তাঁবুগুলোর একটিতে থাকতেন।
অ্যান্থনি বলেন যে সেনাবাহিনীর মেসে সাধারণত আমেরিকান খাদ্য দেয়া হতো, তবে মাঝেমধ্যে স্থানীয় খাদ্যও পরিবেশিত হতো। কারি-খাদ্যের স্বাদ। অ্যান্টনির খুব পছন্দের ছিল। ঢাকা রেস-কোর্সের কাছে “রেনদিভূ” (Rendezvous) নামক একটি রেস্টুরেন্ট ছিল, স্থানীয় খাদ্য খেতে অ্যান্টনি রেস্টুরেন্টটিতে যেতেন।
কুর্মিটোলার ক্রু’রা সারারাত ধরে বিমানে সাপ্লাই বোঝাই করার কাজে বাস্ত থাকত যাতে সাতসকালে যদি না-ও হয় তো অন্তত সকাল বেলার দিকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমান যেনো সাপ্লাই নিয়ে গন্তব্যস্থলের পথে রওনা হতে পারে। কারণ, খুব ভোর বেলার দিকে কুয়াশা থাকলে “সি-১০৯” বিমানের জন্য উড্ডয়ন বেশ কঠিন হতো।
(চলবে)
নাঈম হক 


















