১০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • 20

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সব কারখানায় ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রেখে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধন বিল পাস না হওয়া পর্যন্ত অংশীজনদের কিংবা যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিক অধিকারের কথা বলে, তাদের কথা শোনা হবে। কারণ, আমরা দেখবো, আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী শ্রমিক অধিকার রক্ষা করা হয়, তার সঙ্গে অংশীজনদের পরামর্শের কোনো পার্থক্য আছে কিনা।

সভায় আইএলওর পরামর্শ কী ছিল, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তাদের একটি পরামর্শ হচ্ছে থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) কমিয়ে আনা। আমরা আগে এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু সেটা যে কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা।

কিন্তু এখন সব কারখানার জন্য এই ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড রাখা হয়েছে।’অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শ্রমিকরা রাজি হলেই তারা একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে। আইএলওর এই পরামর্শ মেনে নিয়ে তা সংশোধিত শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মি. হক বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সারা বিশ্বের শ্রমিকদের একটি সংগঠন। সেখানে সবসময় শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়।

শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তাদের সবসময় বক্তব্য থাকে, আমরা তা শুনছি এবং বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের সঙ্গে দরকষাকষির মধ্যে নেই। তিনি বলেন, আইনটি সংশোধনের প্রাথমিক পর্যায়ে সারা বিশ্বে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠার বেস্ট প্রাকটিসগুলো অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটা অবদান আছে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার জন্য যার যার কথা শোনার, সেটা আমরা শুনবো। আগামী ১২ মে আইনটি সম্পূর্ণ করার জন্য একটি সভার আযোজন করবো। অন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কিছু দেশ ২০১৯ সালে নালিশ করেছিল। সেই নালিশের পরে আমরা বহুবার আইএলও’র পরিচালনা পর্ষদকে বলেছি, শ্রমিকদের অধিকার আমাদের দেশে কেবল রক্ষাই হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে । সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক যে নালিশ করা হয়েছে , সেটা শেষ হওয়া উচিত।

ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী

০৭:০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সব কারখানায় ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রেখে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধন বিল পাস না হওয়া পর্যন্ত অংশীজনদের কিংবা যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিক অধিকারের কথা বলে, তাদের কথা শোনা হবে। কারণ, আমরা দেখবো, আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী শ্রমিক অধিকার রক্ষা করা হয়, তার সঙ্গে অংশীজনদের পরামর্শের কোনো পার্থক্য আছে কিনা।

সভায় আইএলওর পরামর্শ কী ছিল, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তাদের একটি পরামর্শ হচ্ছে থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) কমিয়ে আনা। আমরা আগে এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু সেটা যে কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা।

কিন্তু এখন সব কারখানার জন্য এই ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড রাখা হয়েছে।’অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শ্রমিকরা রাজি হলেই তারা একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে। আইএলওর এই পরামর্শ মেনে নিয়ে তা সংশোধিত শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মি. হক বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সারা বিশ্বের শ্রমিকদের একটি সংগঠন। সেখানে সবসময় শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়।

শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তাদের সবসময় বক্তব্য থাকে, আমরা তা শুনছি এবং বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের সঙ্গে দরকষাকষির মধ্যে নেই। তিনি বলেন, আইনটি সংশোধনের প্রাথমিক পর্যায়ে সারা বিশ্বে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠার বেস্ট প্রাকটিসগুলো অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটা অবদান আছে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার জন্য যার যার কথা শোনার, সেটা আমরা শুনবো। আগামী ১২ মে আইনটি সম্পূর্ণ করার জন্য একটি সভার আযোজন করবো। অন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কিছু দেশ ২০১৯ সালে নালিশ করেছিল। সেই নালিশের পরে আমরা বহুবার আইএলও’র পরিচালনা পর্ষদকে বলেছি, শ্রমিকদের অধিকার আমাদের দেশে কেবল রক্ষাই হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে । সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক যে নালিশ করা হয়েছে , সেটা শেষ হওয়া উচিত।