০৯:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নি নিরাপত্তা জোরদার, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ নতুন ড্রোন মডেলে নিষেধাজ্ঞা আরও কড়াকড়ি যুক্তরাষ্ট্রে, তালিকায় ডিজেআইসহ সব বিদেশি ড্রোন জবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন: নারী-বান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে জেসিডির ১৩ দফা ইশতেহার ক্রীড়াপ্রেমী প্রকৌশলী মাসুদ হাসান জামালীর ইন্তেকাল বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কে রাজনীতির ঊর্ধ্বে বাণিজ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে ঢাকা: ড. সালেহউদ্দিন হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, প্রাণ গেল পাঁচজনের রমজান সামনে রেখে ভারত ও পাকিস্তান থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন সরকারের শুরুর উত্থান ধরে রাখতে পারল না ডিএসই, চট্টগ্রাম বাজারে ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত অনলাইন ভ্যাট সেবায় নতুন পরিচয়, আইভাসের নাম বদলে ইভ্যাট সিস্টেম চালু এনবিআরের

বসন্তে ফুল পর্যটন চীনে

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • 117

বসন্তকাল শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে রঙিন হয়ে উঠছে চীনের প্রকৃতি। এরই মধ্যে নানা রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। সরিষাজাতীয় হলদে ফুলে ভরে গেছে সিচুয়ান প্রদেশ। দিগন্তজুড়া মাঠে শুধু রেপসিড ও কোলি ফুল।আর ফুলের এমন সৌন্দর্য্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমিরা। কারণ ফ্লাওয়ার টুরিজম বা ফুল পর্যটন এবং গ্রাম পর্যটন সংস্কৃতি এখন চীনে দারুণ জনপ্রিয়।

ম্যাগনোলিয়া, চেরি ও অন্যান্য ফুলও ফুটেছে মাঠ ও বনজুড়ে। বসন্তে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ফুটছে এসব বাসন্তী ফুল। এইসব বাসন্তী ফুলের শোভা কাছে টানছে পর্যটকদের।

ঘুরতে আসা পর্যটক বলেন, প্রতি বছর বসন্তে ফুলের শোভা দেখতে আমরা এখানে আসি। আমি কাছেই থাকি। এই পার্কে ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে আসি।

সিচুয়ান প্রদেশের পাইছুয়ান ছিয়াং স্বায়ত্বশাসিত জেলার ম্যাগনোলিয়া ফুলের শোভা খুব বিখ্যাত। চীনা ভাষায় এই ফুলকে বলা হয় সিন ই ।

বসন্তকালের এই সময়টাকে বলা হয় ছুন ফান দিয়ান। এটি হলো চীনা ক্যালেন্ডারের চতুর্থ সৌরপর্ব। চীনের ঐতিহ্যবাহী ক্যালেন্ডারে বছরকে ২৪টি সৌরপর্বে ভাগ করা হয়। ছুন ফান পর্ব হলো বসন্তের আবহাওয়া পরিবর্তনের পর্ব । ২০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই পর্ব। চীনে এখন পুরোদমে চলছে বসন্তকালীন কৃষিকাজ। ছুন ফান ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজ শুরুরও ইঙ্গিত দেয়।

কানসু প্রদেশের চোওছু কাউন্টিতে র্যাপসিড ফুলের সোনালি শোভা দেখতে আসছেন পর্যটকরা। এই অঞ্চলের ৫শ’ ৬৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে র্যাপসিড ফুল উৎপাদন করা হয়েছে। ২০২১ সালে চীনে ২.২ মিলিয়ন পর্যটক গ্রাম পর্যটন করেছেন এবং এ থেকে আয় হয়েছে ১ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি।

এদিকে, কুইচৌ প্রদেশে ৮০০ হেক্টর জায়গায় স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় জনগণ ফলের গাছ লাগিয়েছে। এই গাছগুলো ইটকাঠের শহরকে করে তুলেছে সবুজ। কুইচোও ছাড়াও হ্যনান প্রদেশে বাসন্তী প্লাম, নাসপতি, চেরী ফুল ফোঁটায় প্রকৃতির শোভা আরো বেড়েছে।

চিয়াংসু প্রদেশে ইয়াংজি নদীর নানথং শহরের অংশে ডলফিন বা শুশুকদের দেখা মিলছে। ইয়াংজি নদীর এই শুশুক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পায়। পরিবেশের উন্নয়নের ফলে আবার ফিরে আসছে এই শুশুক। নানথং বর্তমানে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে কাজ করছে। এখানকার পার্কগুলোতে বাসন্তী ফুলের দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।

সিএমজি বাংলা

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নি নিরাপত্তা জোরদার, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

বসন্তে ফুল পর্যটন চীনে

০৫:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

বসন্তকাল শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে রঙিন হয়ে উঠছে চীনের প্রকৃতি। এরই মধ্যে নানা রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। সরিষাজাতীয় হলদে ফুলে ভরে গেছে সিচুয়ান প্রদেশ। দিগন্তজুড়া মাঠে শুধু রেপসিড ও কোলি ফুল।আর ফুলের এমন সৌন্দর্য্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমিরা। কারণ ফ্লাওয়ার টুরিজম বা ফুল পর্যটন এবং গ্রাম পর্যটন সংস্কৃতি এখন চীনে দারুণ জনপ্রিয়।

ম্যাগনোলিয়া, চেরি ও অন্যান্য ফুলও ফুটেছে মাঠ ও বনজুড়ে। বসন্তে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ফুটছে এসব বাসন্তী ফুল। এইসব বাসন্তী ফুলের শোভা কাছে টানছে পর্যটকদের।

ঘুরতে আসা পর্যটক বলেন, প্রতি বছর বসন্তে ফুলের শোভা দেখতে আমরা এখানে আসি। আমি কাছেই থাকি। এই পার্কে ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে আসি।

সিচুয়ান প্রদেশের পাইছুয়ান ছিয়াং স্বায়ত্বশাসিত জেলার ম্যাগনোলিয়া ফুলের শোভা খুব বিখ্যাত। চীনা ভাষায় এই ফুলকে বলা হয় সিন ই ।

বসন্তকালের এই সময়টাকে বলা হয় ছুন ফান দিয়ান। এটি হলো চীনা ক্যালেন্ডারের চতুর্থ সৌরপর্ব। চীনের ঐতিহ্যবাহী ক্যালেন্ডারে বছরকে ২৪টি সৌরপর্বে ভাগ করা হয়। ছুন ফান পর্ব হলো বসন্তের আবহাওয়া পরিবর্তনের পর্ব । ২০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই পর্ব। চীনে এখন পুরোদমে চলছে বসন্তকালীন কৃষিকাজ। ছুন ফান ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজ শুরুরও ইঙ্গিত দেয়।

কানসু প্রদেশের চোওছু কাউন্টিতে র্যাপসিড ফুলের সোনালি শোভা দেখতে আসছেন পর্যটকরা। এই অঞ্চলের ৫শ’ ৬৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে র্যাপসিড ফুল উৎপাদন করা হয়েছে। ২০২১ সালে চীনে ২.২ মিলিয়ন পর্যটক গ্রাম পর্যটন করেছেন এবং এ থেকে আয় হয়েছে ১ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি।

এদিকে, কুইচৌ প্রদেশে ৮০০ হেক্টর জায়গায় স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় জনগণ ফলের গাছ লাগিয়েছে। এই গাছগুলো ইটকাঠের শহরকে করে তুলেছে সবুজ। কুইচোও ছাড়াও হ্যনান প্রদেশে বাসন্তী প্লাম, নাসপতি, চেরী ফুল ফোঁটায় প্রকৃতির শোভা আরো বেড়েছে।

চিয়াংসু প্রদেশে ইয়াংজি নদীর নানথং শহরের অংশে ডলফিন বা শুশুকদের দেখা মিলছে। ইয়াংজি নদীর এই শুশুক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পায়। পরিবেশের উন্নয়নের ফলে আবার ফিরে আসছে এই শুশুক। নানথং বর্তমানে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে কাজ করছে। এখানকার পার্কগুলোতে বাসন্তী ফুলের দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।

সিএমজি বাংলা