চীন ও নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের যৌথ গভীর সমুদ্র অভিযানে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের কাছে পুইসেগুর ট্রেঞ্চে নতুন কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর সন্ধান মিলেছে। বিশ্বের অন্যতম গভীর এই মহাসাগরীয় খাদে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক অভিযান।
চীনের ইনস্টিটিউট অব ডিপ-সি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক রিসার্চ-এর যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অত্যাধুনিক চীনা ডুবোজাহাজ ‘ফেনতৌচে’ ব্যবহার করে তিন মাসের অভিযানে ৩২টি ডাইভ সম্পন্ন হয় এ অভিযানে। ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেঞ্চ থেকে সংগ্রহ করা হয় প্রায় তিন হাজার নমুনা।
বিজ্ঞানীরা ছয় কিলোমিটার গভীরে গিয়ে সেখানে প্রাণীদের টিকে থাকার পদ্ধতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানী ও এ অভিযানের প্রধান স্যাডি মিলস বলেন, ‘নিজ চোখে এত গভীরে প্রাণীদের সাঁতার কাটতে দেখা এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা।’
তিনি জানান, পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে কীভাবে রাসায়নিক উপাদান উঠে সামুদ্রিক প্রাণীদের খাদ্য জোগায়, তা পর্যবেক্ষণ ছিল অনেকটা স্বপ্ন পূরণের মতো।
চীনা প্রযুক্তি ছাড়া এ গবেষণা সম্ভব হতো না বলে মন্তব্য করেন নিউজিল্যান্ডের গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির উপ-প্রধান নির্বাহী রব মারডক।
৮টি দেশের ৬৮ জন বিজ্ঞানীর এই অভিযানে চীন-নিউজিল্যান্ড কৌশলগত অংশীদারত্বের সফল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং সিয়াওলং বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য উপকার বয়ে আনছে।’
এই গবেষণা সমুদ্রতলের জীবন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
সিএমজি বাংলা
Sarakhon Report 



















