০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ময়ূর নিয়ে গ্রামে যত ঝগড়া

স্ট্যাফোর্ডশায়ারের টুটবুরি গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে ময়ূর নিয়ে তীব্র মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে।ছোট শহরে প্রতিবেশীদের মধ্যে ঝগড়ার অনেক কারণ থাকে: রাজনৈতিক মতভেদ, বাগানের বেড়া নিয়ে বিবাদ, কিংবা সান্তা ক্লজ হওয়ার প্রতিযোগিতা। তবে পূর্ব স্ট্যাফোর্ডশায়ারের টুটবুরি গ্রামে গত ২৫ বছর ধরে এক ভিন্ন ধরনের বিরোধ দানা বেঁধেছে। এখানে ক্রমশ বেড়ে ওঠা ময়ূর ও ময়ূরী দল গ্রামবাসীদের মধ্যে নানা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, এই পাখিরা ফসল নষ্ট করে, বড় বড় মল ত্যাগ করে এবং তাদের তীক্ষ্ণ ডাক দিন-রাত যে কোনো সময় শোনা যায়।

গ্রামের অ্যালটমেন্ট এলাকায় নিজের জমিতে ফসল বাঁচানোর জন্য বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া জর্জ বলেন, “এই ময়ূররা যেন মারমাইটের মতো। যারা ভালোবাসে তারা খুব ভালোবাসে, আর যারা ঘৃণা করে তারা খুব ঘৃণা করে।”

স্থানীয়দের মতে, কয়েক দশক আগে টুটবুরি গ্রামের উপরে টুটবুরি ক্যাসেলের ধ্বংসাবশেষে তিনটি ময়ূর রাখা হয়েছিল। কে বা কারা তাদের সেখানে এনেছিল এবং লালন-পালন করত, তা নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। তবে বলা হয়, একদিন যিনি তাদের খাবার দিতেন তিনি আর তা না দেওয়ায় পাখিরা খাবারের সন্ধানে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।

কেউ কেউ দাবি করেন, যেহেতু টুটবুরি ক্যাসেল ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টারের আওতায়, তাই ময়ূরগুলোর মালিকানা কারও না কারও মতে রাজার হতে পারে। এ কারণেই হয়তো তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এই বিরোধ এতটাই তীব্র যে, অনেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের আশঙ্কায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাননি।

৭৮ বছর বয়সী হাম্পফ্রি টুন ও তার ৬৪ বছর বয়সী স্ত্রী জ্যাকি গ্রামে গুটিকয়েক ব্যক্তি যারা ময়ূর নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। তারা সারা জীবন এই গ্রামে কাটিয়েছেন। তাদের মতে, ময়ূররা দুষ্ট নয়, তবে তারা এখন বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জ্যাকি বলেন, “প্রতিদিন সকাল সাড়ে চারটায় আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। এটা একেবারে অসম্ভব। তারা বাস থামিয়ে দেয়, গাড়ির আয়নায় নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখলে আক্রমণ করে, আর সর্বত্র মল ত্যাগ করে। যেন পুরো ইংল্যান্ডের জন্য মল ত্যাগ করছে।”

টুন দম্পতির মতামতের সঙ্গে অনেক গ্রামবাসী একমত। এক প্রতিবেশী, যিনি তার বিপরীত দিকের ময়ূরপ্রেমী পরিবারের সঙ্গে বিরোধ এড়াতে নাম প্রকাশ করতে চাননি, বলেন, “এটা যেন চিড়িয়াখানায় আটকা পড়ার মতো। তারা সর্বত্র ঘোরাফেরা করে, তাদের সরানো যায় না। দিনরাত তারা ঘুরে বেড়ায়।”

প্যারিশ কাউন্সিল ও বরো কাউন্সিল জানায়, তারা সমস্যার কথা জানে। তবে ময়ূর কার মালিকানাধীন সেটি পরিষ্কার না হওয়ায় তাদের কিছু করার সুযোগ নেই।

ময়ূর নিয়ে গ্রামে যত ঝগড়া

১১:০০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

স্ট্যাফোর্ডশায়ারের টুটবুরি গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে ময়ূর নিয়ে তীব্র মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে।ছোট শহরে প্রতিবেশীদের মধ্যে ঝগড়ার অনেক কারণ থাকে: রাজনৈতিক মতভেদ, বাগানের বেড়া নিয়ে বিবাদ, কিংবা সান্তা ক্লজ হওয়ার প্রতিযোগিতা। তবে পূর্ব স্ট্যাফোর্ডশায়ারের টুটবুরি গ্রামে গত ২৫ বছর ধরে এক ভিন্ন ধরনের বিরোধ দানা বেঁধেছে। এখানে ক্রমশ বেড়ে ওঠা ময়ূর ও ময়ূরী দল গ্রামবাসীদের মধ্যে নানা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, এই পাখিরা ফসল নষ্ট করে, বড় বড় মল ত্যাগ করে এবং তাদের তীক্ষ্ণ ডাক দিন-রাত যে কোনো সময় শোনা যায়।

গ্রামের অ্যালটমেন্ট এলাকায় নিজের জমিতে ফসল বাঁচানোর জন্য বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া জর্জ বলেন, “এই ময়ূররা যেন মারমাইটের মতো। যারা ভালোবাসে তারা খুব ভালোবাসে, আর যারা ঘৃণা করে তারা খুব ঘৃণা করে।”

স্থানীয়দের মতে, কয়েক দশক আগে টুটবুরি গ্রামের উপরে টুটবুরি ক্যাসেলের ধ্বংসাবশেষে তিনটি ময়ূর রাখা হয়েছিল। কে বা কারা তাদের সেখানে এনেছিল এবং লালন-পালন করত, তা নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। তবে বলা হয়, একদিন যিনি তাদের খাবার দিতেন তিনি আর তা না দেওয়ায় পাখিরা খাবারের সন্ধানে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।

কেউ কেউ দাবি করেন, যেহেতু টুটবুরি ক্যাসেল ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টারের আওতায়, তাই ময়ূরগুলোর মালিকানা কারও না কারও মতে রাজার হতে পারে। এ কারণেই হয়তো তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এই বিরোধ এতটাই তীব্র যে, অনেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের আশঙ্কায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাননি।

৭৮ বছর বয়সী হাম্পফ্রি টুন ও তার ৬৪ বছর বয়সী স্ত্রী জ্যাকি গ্রামে গুটিকয়েক ব্যক্তি যারা ময়ূর নিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। তারা সারা জীবন এই গ্রামে কাটিয়েছেন। তাদের মতে, ময়ূররা দুষ্ট নয়, তবে তারা এখন বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জ্যাকি বলেন, “প্রতিদিন সকাল সাড়ে চারটায় আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। এটা একেবারে অসম্ভব। তারা বাস থামিয়ে দেয়, গাড়ির আয়নায় নিজেদের প্রতিচ্ছবি দেখলে আক্রমণ করে, আর সর্বত্র মল ত্যাগ করে। যেন পুরো ইংল্যান্ডের জন্য মল ত্যাগ করছে।”

টুন দম্পতির মতামতের সঙ্গে অনেক গ্রামবাসী একমত। এক প্রতিবেশী, যিনি তার বিপরীত দিকের ময়ূরপ্রেমী পরিবারের সঙ্গে বিরোধ এড়াতে নাম প্রকাশ করতে চাননি, বলেন, “এটা যেন চিড়িয়াখানায় আটকা পড়ার মতো। তারা সর্বত্র ঘোরাফেরা করে, তাদের সরানো যায় না। দিনরাত তারা ঘুরে বেড়ায়।”

প্যারিশ কাউন্সিল ও বরো কাউন্সিল জানায়, তারা সমস্যার কথা জানে। তবে ময়ূর কার মালিকানাধীন সেটি পরিষ্কার না হওয়ায় তাদের কিছু করার সুযোগ নেই।