১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ইশরাকের ‘মেয়র আন্দোলনে’ ভুগছে সোয়া কোটি নাগরিক

সমকালের একটি শিরোনাম “ইশরাকের ‘মেয়র আন্দোলনে’ ভুগছে সোয়া কোটি নাগরিক”

নিজেকে মেয়র দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার সোয়া কোটি মানুষকে গাড্ডায় ফেলেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ৩৫ দিন ধরে সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নাগরিক সেবা এক রকম শিকেয় উঠেছে। সমস্যা সমাধানে সরকারের তরফেও রা নেই। এ পটভূমিতে দক্ষিণ নগর ভবনের নাগরিক সেবায় হযবরল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

নগর ভবনে অচলাবস্থার কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মশক নিধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে পুরোপুরি ভাটা পড়েছে। মশককর্মীদের ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সড়কবাতি সংযোজন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ডিএসসিসির বেশির ভাগ এলাকায় রাত হলেই নেমে আসে ঘুটঘুটে আঁধার। ওইসব এলাকার মানুষ পথ চলতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে কঙ্কালসার। সেগুলো মেরামত না করায় মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এদিকে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মনে করছেন, নাগরিক সেবা বিঘ্নিত করে ইশরাক হোসেন ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। ইশরাক পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, ফৌজদারি অপরাধ করলে সরকার আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? দু’জনই ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে যাচ্ছেন।

গত সোমবার ইশরাক ডিএসসিসির কর্মচারী নিয়ে নগর ভবন মিলনায়তনে বৈঠক করেন। সেখানে ব্যানারে ইশরাকের পদবি লেখা হয় ‘মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’।

গতকাল বুধবার আরেকটি বৈঠক হয়। সেখানে ব্যানারে লেখা ছিল ‘নির্বাচিত মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’। বৈঠক শেষে তিনি কর্মী নিয়ে মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। নিজেও ফগার মেশিন নিয়ে কার্যক্রমে নামেন।

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “রোহিঙ্গাদের লড়াইয়ে ম্লান হচ্ছে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা”

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী লড়াই শুরু করেছে। এই লড়াইয়ে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, এতে রাখাইনে আন্তসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্ট হতে পারে।

গতকাল বুধবার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে হটিয়ে রাখাইন রাজ্যের উত্তরের বড় একটি অংশ দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। মিয়ানমারের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উত্থানের পর রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে শুরু করেছে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই করতে তারা বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে সদস্য সংগ্রহের গতি বাড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলিমেরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু। এই রাজ্যের বড় অংশ এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। আর তাদের প্রধান সমর্থক রাখাইনে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখন কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এর সুযোগ নিচ্ছে এবং ধর্মীয় ভাষা ব্যবহার করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দলে টেনে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার।

ক্রাইসিস গ্রুপ বলছে, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে এই লড়াইয়ের কারণে মিয়ানমারের এই অঞ্চলে আন্তসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্ট হতে পারে। এতে করে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে দুই পক্ষ থেকে চাপে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে তাদের ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসবে বলে মনে করছে ক্রাইসিস গ্রুপ।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “লন্ডন বৈঠক, জামায়াত কেন অতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে”

প্রফেসর ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার ঐতিহাসিক লন্ডন বৈঠকের পর বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্রনাট্য অনেকখানি বদলে গেছে। তবে, এই সময়ের বহুল আলোচিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী যারপরনাই বিক্ষুব্ধ হয়েছে। হতাশ তো বটেই। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি ক্ষুব্ধ হবে এটার কারণ সবার জানা। তাদের রাগের কারণ হতে পারে বিএনপি ক্ষমতার ভাগ বসাতে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ কী? কেউ কেউ বলছেন- এতদিন তো জনশ্রুতি ছিল জামায়াতই সরকারের চালিকাশক্তি। বাস্তবে তার আলামতও ছিল। সরকারের ভেতরে জামায়াতের শেয়ারহোল্ডার নেহায়েত কম নয়। প্রশাসন তো একচেটিয়া তাদেরই নিয়ন্ত্রণে। শীর্ষ পদগুলো তাদের কব্জায়। সরকারের নীতিকৌশল নির্ধারণে ভূমিকা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এসবের পরও জামায়াতের কেন সরকারের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক বা সমঝোতা পছন্দ না। বিবৃতির ভাষা দেখে অনেকেই হতবাক হয়েছেন। লন্ডন বৈঠকের পর জামায়াতের মূল্যায়ন সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। দলটি বলছে, এতে করে নাকি প্রফেসর ইউনূস নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। বাস্তব অবস্থা কি তাই? জামায়াত বলতে পারতো কী এমন ঘটলো সরকারপ্রধান উল্টো স্রোতে হাঁটতে শুরু করলেন। এক সপ্তাহ আগে যেখানে বিএনপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তাও বিদেশের মাটিতে বসে। বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক দলের মধ্যে শুধু একটি দল নির্বাচন চাইছে। এ নিয়ে তর্ক হতে পারে এবং হচ্ছে। কিন্তু জামায়াত বিবৃতি দেয়ার মধ্যেই তাদের অবস্থান সীমাবদ্ধ রাখেনি। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পর্যন্ত বয়কট করেছে। শেষ পর্যন্ত সরকারের ভেতরে জামায়াতের শেয়ারহোল্ডারদের বিরামহীন প্রচেষ্টার পর বুধবার ঐকমত্য কমিশনে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ৫ই আগস্টের পর নিষিদ্ধ থাকা দলটি বাংলাদেশি রাজনীতির মূল কেন্দ্রে উঠে আসে। এমনকি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামানের মুখে জামায়াতের নামটি আগে উচ্চারিত হয়। অনেকেই নানা অংক করতে থাকেন। যদিও পরে জানা গেছে, এটা কোনো কৌশলের অংশ নয়। মুখ দিয়ে অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বুলেটের মতো এই দলের নামটি উচ্চারিত হয়েছিল। যেভাবেই দেখা যাক না কেন, এটাও কম প্রাপ্তি ছিল না। এর সুযোগ কিন্তু জামায়াত নিয়েছে পদে পদে। বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য নিরন্তরভাবে ছুরি চালিয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসক কাম রাজনীতিবিদ শফিকুর রহমান আলাদা অবস্থান তৈরি করেছিলেন তার বক্তৃতা, বিবৃতি এবং আচরণের মাধ্যমে। এটা ছিল চলমান রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত। ডা. শফিক একজন সজ্জন ব্যক্তি। জাসদ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন রাজনীতিকের পক্ষে জামায়াতের কাণ্ডারি হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যোগ্যতাবলেই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক তার বক্তৃতা আর কৌশল দেখে রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, এটাই জামায়াত রাজনীতির চিরাচরিত ভুল। দলটি বরাবরই ভুল করে এবং অতীত থেকে শিক্ষা নেয় না। বিএনপিকে এখন তারা শত্রুর কাফেলায় ঠেলে দিয়েছে। অথচ কে না জানে তাদের জন্য বিএনপিকে গত ১৫ বছরে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। পশ্চিমা দুনিয়া তো শর্ত দিয়ে বসেছিল জামায়াতকে না ছাড়লে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এখন অবশ্য তারা ভিন্ন মূল্যায়ন করছে। জামায়াতের নেতাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয়া ছিল বাংলাদেশি রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এ নিয়ে অন্তহীন সমালোচনার মুখে পড়েছিল বিএনপি। কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বলছেন, বিএনপি’র সাম্প্রতিক আচরণ জামায়াতকে হতাশ করেছে। ডা. শফিকুর রহমান নিজেই অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে লন্ডন যান। রাজনীতি নিয়েও তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। অতিথিপরায়ণ তারেক রহমান তার স্বভাবসুলভ আচরণ দিয়ে বৈঠকটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। এই বৈঠকের পর বিএনপি’র তরফে কোনো ফলোআপ করা হয়নি। এতেই তারা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। লন্ডন বৈঠকের পর অতিপ্রতিক্রিয়া দেখিয়ে দলটি কী লাভ করলো। সমালোচকরা বলছেন, দলটি যতটুকু জায়গা করে নিয়েছিল, ততটুকু জায়গাই  হারিয়েছে। বলটা বিএনপি’র কোর্টে ঠেলে দিয়ে দূর থেকে খেলা দেখতে চাইছে। অনেকেই বলেন, এটাই নাকি জামায়াত রাজনীতির বিউটি। যাই হোক, লন্ডন বৈঠকের পটভূমি কী। এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। হিসাব-নিকাশেরও কমতি নেই। হয়তো আরও অনেকদিন চলবে।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এনসিসি গঠনের পক্ষে জামায়াত-এনসিপি, বিপক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল”

রাষ্ট্রকাঠামোয় ক্ষমতার ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি ও তাদের সমমনা ১২ দলীয় জোট এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) কয়েকটি দল এনসিসি গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে। আর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এনসিসি গঠনে ইতিবাচক মত দিলেও সেটি নির্বাচনের পরে করার কথা বলেছে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের দ্বিতীয় দিনে এনসিসি গঠনের প্রস্তাবটি প্রাধান্য পায়।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যদের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদগুলোয় নিয়োগ তদারক করতে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করবে এনসিসি। এর লক্ষ্য নির্বাহী বিভাগের একতরফা কর্তৃত্ব সীমিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।

এনসিসি গঠনে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। দলটি মনে করছে, এটি গঠন হলে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা কমে যাবে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হবে। গতকাল আলোচনা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এনসিসিকে সাংবিধানিকভাবে অনেক ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের জবাবদিহি নেই। অথরিটি আছে, পাওয়ার ফাংশন আছে কিন্তু অ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমরা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সমর্থন জানাতে পারি না। এ ফাংশনগুলো আলাদা করে আরেকটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার মধ্য দিয়ে একটা ইমব্যালেন্স সৃষ্টি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘একটি ভারসাম্যমূলক রাষ্ট্রকাঠামো, সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য কী করতে পারি সেটা আমাদের চিন্তা করা উচিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে অতীতের নির্বাচনগুলো এভাবে হতো না। হয়তো কিছুটা আপত্তি থাকত, কিছু ভুলত্রুটি হতো। তাহলে আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদি আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে, আইনিভাবে ফাংশন করতে দিই, তাহলে এ নির্বাহী বিভাগ ও সংসদ সম্পূর্ণভাবে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে চিরতরে রক্ষা পাবে।’

ইশরাকের ‘মেয়র আন্দোলনে’ ভুগছে সোয়া কোটি নাগরিক

০৯:১৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “ইশরাকের ‘মেয়র আন্দোলনে’ ভুগছে সোয়া কোটি নাগরিক”

নিজেকে মেয়র দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার সোয়া কোটি মানুষকে গাড্ডায় ফেলেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ৩৫ দিন ধরে সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নাগরিক সেবা এক রকম শিকেয় উঠেছে। সমস্যা সমাধানে সরকারের তরফেও রা নেই। এ পটভূমিতে দক্ষিণ নগর ভবনের নাগরিক সেবায় হযবরল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

নগর ভবনে অচলাবস্থার কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মশক নিধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে পুরোপুরি ভাটা পড়েছে। মশককর্মীদের ওষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সড়কবাতি সংযোজন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ডিএসসিসির বেশির ভাগ এলাকায় রাত হলেই নেমে আসে ঘুটঘুটে আঁধার। ওইসব এলাকার মানুষ পথ চলতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে কঙ্কালসার। সেগুলো মেরামত না করায় মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এদিকে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মনে করছেন, নাগরিক সেবা বিঘ্নিত করে ইশরাক হোসেন ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। ইশরাক পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, ফৌজদারি অপরাধ করলে সরকার আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? দু’জনই ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে যাচ্ছেন।

গত সোমবার ইশরাক ডিএসসিসির কর্মচারী নিয়ে নগর ভবন মিলনায়তনে বৈঠক করেন। সেখানে ব্যানারে ইশরাকের পদবি লেখা হয় ‘মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’।

গতকাল বুধবার আরেকটি বৈঠক হয়। সেখানে ব্যানারে লেখা ছিল ‘নির্বাচিত মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’। বৈঠক শেষে তিনি কর্মী নিয়ে মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। নিজেও ফগার মেশিন নিয়ে কার্যক্রমে নামেন।

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “রোহিঙ্গাদের লড়াইয়ে ম্লান হচ্ছে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা”

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী লড়াই শুরু করেছে। এই লড়াইয়ে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, এতে রাখাইনে আন্তসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্ট হতে পারে।

গতকাল বুধবার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে হটিয়ে রাখাইন রাজ্যের উত্তরের বড় একটি অংশ দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। মিয়ানমারের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উত্থানের পর রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে শুরু করেছে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই করতে তারা বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে সদস্য সংগ্রহের গতি বাড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলিমেরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু। এই রাজ্যের বড় অংশ এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। আর তাদের প্রধান সমর্থক রাখাইনে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখন কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এর সুযোগ নিচ্ছে এবং ধর্মীয় ভাষা ব্যবহার করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দলে টেনে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার।

ক্রাইসিস গ্রুপ বলছে, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে এই লড়াইয়ের কারণে মিয়ানমারের এই অঞ্চলে আন্তসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্ট হতে পারে। এতে করে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে দুই পক্ষ থেকে চাপে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে তাদের ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসবে বলে মনে করছে ক্রাইসিস গ্রুপ।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “লন্ডন বৈঠক, জামায়াত কেন অতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে”

প্রফেসর ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার ঐতিহাসিক লন্ডন বৈঠকের পর বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্রনাট্য অনেকখানি বদলে গেছে। তবে, এই সময়ের বহুল আলোচিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী যারপরনাই বিক্ষুব্ধ হয়েছে। হতাশ তো বটেই। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি ক্ষুব্ধ হবে এটার কারণ সবার জানা। তাদের রাগের কারণ হতে পারে বিএনপি ক্ষমতার ভাগ বসাতে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ কী? কেউ কেউ বলছেন- এতদিন তো জনশ্রুতি ছিল জামায়াতই সরকারের চালিকাশক্তি। বাস্তবে তার আলামতও ছিল। সরকারের ভেতরে জামায়াতের শেয়ারহোল্ডার নেহায়েত কম নয়। প্রশাসন তো একচেটিয়া তাদেরই নিয়ন্ত্রণে। শীর্ষ পদগুলো তাদের কব্জায়। সরকারের নীতিকৌশল নির্ধারণে ভূমিকা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এসবের পরও জামায়াতের কেন সরকারের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক বা সমঝোতা পছন্দ না। বিবৃতির ভাষা দেখে অনেকেই হতবাক হয়েছেন। লন্ডন বৈঠকের পর জামায়াতের মূল্যায়ন সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। দলটি বলছে, এতে করে নাকি প্রফেসর ইউনূস নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। বাস্তব অবস্থা কি তাই? জামায়াত বলতে পারতো কী এমন ঘটলো সরকারপ্রধান উল্টো স্রোতে হাঁটতে শুরু করলেন। এক সপ্তাহ আগে যেখানে বিএনপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তাও বিদেশের মাটিতে বসে। বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক দলের মধ্যে শুধু একটি দল নির্বাচন চাইছে। এ নিয়ে তর্ক হতে পারে এবং হচ্ছে। কিন্তু জামায়াত বিবৃতি দেয়ার মধ্যেই তাদের অবস্থান সীমাবদ্ধ রাখেনি। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পর্যন্ত বয়কট করেছে। শেষ পর্যন্ত সরকারের ভেতরে জামায়াতের শেয়ারহোল্ডারদের বিরামহীন প্রচেষ্টার পর বুধবার ঐকমত্য কমিশনে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ৫ই আগস্টের পর নিষিদ্ধ থাকা দলটি বাংলাদেশি রাজনীতির মূল কেন্দ্রে উঠে আসে। এমনকি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামানের মুখে জামায়াতের নামটি আগে উচ্চারিত হয়। অনেকেই নানা অংক করতে থাকেন। যদিও পরে জানা গেছে, এটা কোনো কৌশলের অংশ নয়। মুখ দিয়ে অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বুলেটের মতো এই দলের নামটি উচ্চারিত হয়েছিল। যেভাবেই দেখা যাক না কেন, এটাও কম প্রাপ্তি ছিল না। এর সুযোগ কিন্তু জামায়াত নিয়েছে পদে পদে। বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য নিরন্তরভাবে ছুরি চালিয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসক কাম রাজনীতিবিদ শফিকুর রহমান আলাদা অবস্থান তৈরি করেছিলেন তার বক্তৃতা, বিবৃতি এবং আচরণের মাধ্যমে। এটা ছিল চলমান রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত। ডা. শফিক একজন সজ্জন ব্যক্তি। জাসদ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন রাজনীতিকের পক্ষে জামায়াতের কাণ্ডারি হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যোগ্যতাবলেই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক তার বক্তৃতা আর কৌশল দেখে রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, এটাই জামায়াত রাজনীতির চিরাচরিত ভুল। দলটি বরাবরই ভুল করে এবং অতীত থেকে শিক্ষা নেয় না। বিএনপিকে এখন তারা শত্রুর কাফেলায় ঠেলে দিয়েছে। অথচ কে না জানে তাদের জন্য বিএনপিকে গত ১৫ বছরে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। পশ্চিমা দুনিয়া তো শর্ত দিয়ে বসেছিল জামায়াতকে না ছাড়লে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এখন অবশ্য তারা ভিন্ন মূল্যায়ন করছে। জামায়াতের নেতাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয়া ছিল বাংলাদেশি রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এ নিয়ে অন্তহীন সমালোচনার মুখে পড়েছিল বিএনপি। কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বলছেন, বিএনপি’র সাম্প্রতিক আচরণ জামায়াতকে হতাশ করেছে। ডা. শফিকুর রহমান নিজেই অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে লন্ডন যান। রাজনীতি নিয়েও তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। অতিথিপরায়ণ তারেক রহমান তার স্বভাবসুলভ আচরণ দিয়ে বৈঠকটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। এই বৈঠকের পর বিএনপি’র তরফে কোনো ফলোআপ করা হয়নি। এতেই তারা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। লন্ডন বৈঠকের পর অতিপ্রতিক্রিয়া দেখিয়ে দলটি কী লাভ করলো। সমালোচকরা বলছেন, দলটি যতটুকু জায়গা করে নিয়েছিল, ততটুকু জায়গাই  হারিয়েছে। বলটা বিএনপি’র কোর্টে ঠেলে দিয়ে দূর থেকে খেলা দেখতে চাইছে। অনেকেই বলেন, এটাই নাকি জামায়াত রাজনীতির বিউটি। যাই হোক, লন্ডন বৈঠকের পটভূমি কী। এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। হিসাব-নিকাশেরও কমতি নেই। হয়তো আরও অনেকদিন চলবে।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “এনসিসি গঠনের পক্ষে জামায়াত-এনসিপি, বিপক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল”

রাষ্ট্রকাঠামোয় ক্ষমতার ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি ও তাদের সমমনা ১২ দলীয় জোট এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) কয়েকটি দল এনসিসি গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে। আর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এনসিসি গঠনে ইতিবাচক মত দিলেও সেটি নির্বাচনের পরে করার কথা বলেছে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের দ্বিতীয় দিনে এনসিসি গঠনের প্রস্তাবটি প্রাধান্য পায়।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যদের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদগুলোয় নিয়োগ তদারক করতে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করবে এনসিসি। এর লক্ষ্য নির্বাহী বিভাগের একতরফা কর্তৃত্ব সীমিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা।

এনসিসি গঠনে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। দলটি মনে করছে, এটি গঠন হলে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা কমে যাবে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হবে। গতকাল আলোচনা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এনসিসিকে সাংবিধানিকভাবে অনেক ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের জবাবদিহি নেই। অথরিটি আছে, পাওয়ার ফাংশন আছে কিন্তু অ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমরা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সমর্থন জানাতে পারি না। এ ফাংশনগুলো আলাদা করে আরেকটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার মধ্য দিয়ে একটা ইমব্যালেন্স সৃষ্টি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘একটি ভারসাম্যমূলক রাষ্ট্রকাঠামো, সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য কী করতে পারি সেটা আমাদের চিন্তা করা উচিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে অতীতের নির্বাচনগুলো এভাবে হতো না। হয়তো কিছুটা আপত্তি থাকত, কিছু ভুলত্রুটি হতো। তাহলে আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদি আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে, আইনিভাবে ফাংশন করতে দিই, তাহলে এ নির্বাহী বিভাগ ও সংসদ সম্পূর্ণভাবে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে চিরতরে রক্ষা পাবে।’