০৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৩)

জোনাকি

আবুল হোসেন কিছু একটা ভাবলেন। তারপর এগিয়ে এসে বললেন, ‘বুলু তুমি ভেতরে যাও-

বুলুকে ভেতরে পাঠিয়ে নাগার মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেন আবুল হোসেন। তারপর আচমকা এক হ্যাঁচকা টানে নাগার হাত থেকে স্যুটকেসটি ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে দিলেন রাস্তায়। চিৎকার করে বললেন, ‘দূর হয়ে যাও বাড়ি থেকে, কুলাঙ্গার কোথাকার!’

নাগা বললে, ‘যা বলার ভেতরে গিয়ে বলবেন, চিৎকার করে লোক জড়ো করতে চাচ্ছেন কেন?’

‘শালার ব্যাটা শালা আমাকে জ্ঞানদান করতে চাস’-এই বলে প্রচণ্ড একটা থাপ্পড় কষলেন আবুল হোসেন নাগার গালে।

‘ষাঁড়ের মতো চ্যাঁচাবেন না, ভালো হবে না বলছি!’

‘কাকে চোখ রাঙাচ্ছিস, এই শুয়োরের বাচ্চা, কাকে চোখ রাঙাচ্ছিস, আমি তোর রোজগার খাই?’

নাগা এক ধাক্কায় তাকে সরিয়ে দিয়ে ভেতরে ঢোকে। ইতিমধ্যে মরিয়মও এসে পড়েছে সেখানে।

আবুল হোসেন বললেন, ‘কার পার্মিশানে তুই ঘরে ঢুকেছিস, এ-বাড়ি আমার না তোর, গেট আউট, আই সে গেট আউট!’

‘আপনি কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন, ভালো হবে না।’

‘কি হবেটা কি শুনি, শালার ব্যাটা শালা আবার রোয়াব দেখিয়ে তেড়ে আসে, ভেবেছিস আমি তোর রোয়াবের থোড়াই পরোয়া করি?’

‘পরোয়া আমিও করি না, লজ্জা করে না আপনার চিৎকার করে বাড়ি মাথায় করতে? পাড়ার লোকে বলবে কি?’ নাকের পাটা ফুলিয়ে সে তেড়ে এলো।

‘সে লজ্জা তোদের আছে? ভেবেছিস চোখ রাঙিয়ে তুই এ বাড়িতে থাকতে পারবি, দেখি তোর গুণ্ডামির দৌড় কতো-‘ এই বলে আবুল হোসেন এক ধাক্কা মারলেন নাগার কাঁধে।

মরিয়ম হতচকিতের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে দেখছিলো এতোক্ষণ, নাগার সামনে দাঁড়িয়ে বললে, ‘তোমার না পোষালে তুমি বেরিয়ে যাও, ওকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করছো কেন? এঁটে উঠতে পারবে তুমি ওর সঙ্গে, বুড়ো হাড়ে কুলোবে?’

‘ইউ শাটাপ, হারামজাদি, তুই ওকে নষ্ট করেছিস, ওর মাথা চিবিয়ে খেয়েছিস, দরকার হলে তোকেও গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো-‘

 

জুলাইয়ে সম্ভাব্য বন্যা: কোন এলাকায় বেশি ঝুঁকি

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৩)

১২:০০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

জোনাকি

আবুল হোসেন কিছু একটা ভাবলেন। তারপর এগিয়ে এসে বললেন, ‘বুলু তুমি ভেতরে যাও-

বুলুকে ভেতরে পাঠিয়ে নাগার মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেন আবুল হোসেন। তারপর আচমকা এক হ্যাঁচকা টানে নাগার হাত থেকে স্যুটকেসটি ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে দিলেন রাস্তায়। চিৎকার করে বললেন, ‘দূর হয়ে যাও বাড়ি থেকে, কুলাঙ্গার কোথাকার!’

নাগা বললে, ‘যা বলার ভেতরে গিয়ে বলবেন, চিৎকার করে লোক জড়ো করতে চাচ্ছেন কেন?’

‘শালার ব্যাটা শালা আমাকে জ্ঞানদান করতে চাস’-এই বলে প্রচণ্ড একটা থাপ্পড় কষলেন আবুল হোসেন নাগার গালে।

‘ষাঁড়ের মতো চ্যাঁচাবেন না, ভালো হবে না বলছি!’

‘কাকে চোখ রাঙাচ্ছিস, এই শুয়োরের বাচ্চা, কাকে চোখ রাঙাচ্ছিস, আমি তোর রোজগার খাই?’

নাগা এক ধাক্কায় তাকে সরিয়ে দিয়ে ভেতরে ঢোকে। ইতিমধ্যে মরিয়মও এসে পড়েছে সেখানে।

আবুল হোসেন বললেন, ‘কার পার্মিশানে তুই ঘরে ঢুকেছিস, এ-বাড়ি আমার না তোর, গেট আউট, আই সে গেট আউট!’

‘আপনি কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন, ভালো হবে না।’

‘কি হবেটা কি শুনি, শালার ব্যাটা শালা আবার রোয়াব দেখিয়ে তেড়ে আসে, ভেবেছিস আমি তোর রোয়াবের থোড়াই পরোয়া করি?’

‘পরোয়া আমিও করি না, লজ্জা করে না আপনার চিৎকার করে বাড়ি মাথায় করতে? পাড়ার লোকে বলবে কি?’ নাকের পাটা ফুলিয়ে সে তেড়ে এলো।

‘সে লজ্জা তোদের আছে? ভেবেছিস চোখ রাঙিয়ে তুই এ বাড়িতে থাকতে পারবি, দেখি তোর গুণ্ডামির দৌড় কতো-‘ এই বলে আবুল হোসেন এক ধাক্কা মারলেন নাগার কাঁধে।

মরিয়ম হতচকিতের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে দেখছিলো এতোক্ষণ, নাগার সামনে দাঁড়িয়ে বললে, ‘তোমার না পোষালে তুমি বেরিয়ে যাও, ওকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করছো কেন? এঁটে উঠতে পারবে তুমি ওর সঙ্গে, বুড়ো হাড়ে কুলোবে?’

‘ইউ শাটাপ, হারামজাদি, তুই ওকে নষ্ট করেছিস, ওর মাথা চিবিয়ে খেয়েছিস, দরকার হলে তোকেও গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবো-‘