গাজায় যুদ্ধ থামাতে নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করবেন ট্রাম্প
এপি নিউজ,
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করবেন। গাজায় যুদ্ধ থামিয়ে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এই সফর ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ার পর নেতানিয়াহুর তৃতীয় হোয়াইট হাউজ সফর। এটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে জড়িয়েছে।
ট্রাম্প গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, “আমরা আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে,” যদিও এই আশাবাদের নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেননি।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “ইসরায়েল ও গাজার মানুষের দুর্দশা দেখা হৃদয়বিদারক, প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধ থামাতে চান। তাঁর অগ্রাধিকার জীবন রক্ষা করা।”
ইসরায়েলি কৌশল বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন গাজা, ইরান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনার জন্য।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার আলোচনা বারবার ভেঙে পড়ছে, মূল বিরোধের জায়গা হলো—যুদ্ধবিরতির সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হবে কি না। গাজায় এখনও প্রায় ৫০ জন বন্দি রয়েছে, যাদের অর্ধেকেরও কম জীবিত বলে ধারণা।
এদিকে, ট্রাম্প ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও হস্তক্ষেপ করেছেন। নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার অভিযোগগুলোকে “উইচ হান্ট” বলে আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই নেতানিয়াহুকে “বাঁচাবে”।
ট্রাম্প প্রশাসন সোমবার ইসরায়েলের জন্য ৫১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৭,০০০টির বেশি জেডিএএএম (JDAM) গাইডেন্স কিট।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সাময়িক বরখাস্ত, রাজদ্রোহ মামলায় চাপ বাড়ছে
চ্যানেল নিউজ এশিয়া (CNA),
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে বরখাস্ত করেছে, একটি মামলার শুনানির আগ পর্যন্ত, যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
৩৬ জন সেনেটরের দায়ের করা এই মামলার কেন্দ্রে রয়েছে কেম্বোডিয়ার প্রাক্তন নেতা হুন সেনের সঙ্গে তাঁর একটি গোপন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনা। এই ফোনালাপে তিনি থাই সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে সমালোচনা করেন, যা সেনা-প্রভাবিত দেশটিতে বড় ধরনের রাজনৈতিক ঝড় তোলে।
ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুয়াংরুয়াংকিত আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও পায়েতংতার্ন সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় থাকবেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে জবাব দিতে পারবেন।
এই সংকটের ফলে তাঁর জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিপন্ন হয়েছে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ দল জোট ত্যাগ করে আস্থা ভোট দিতে পারে। পাশাপাশি, জনরোষ এবং প্রতিবাদও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, তাঁর বাবা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধেও রাজদ্রোহ মামলার বিচার শুরু হয়েছে, যার শাস্তি ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
আসাদের পতনের পর সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন ট্রাম্প
বিবিসি নিউজ,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সিরিয়ার ওপর থাকা দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এটি দেশটিকে “স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথে” এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছিল বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে, যিনি গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন। নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাআর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, যেমন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ, বিদেশি জঙ্গিদের দমন এবং প্যালেস্টাইনভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা।
এই ঘোষণা দামাস্কাসে জনউল্লাস সৃষ্টি করে। যদিও শারাআর দল HTS এখনও জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র HTS-এর সন্ত্রাসী তকমা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে, সংখ্যালঘুদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে মার্চ মাসে আলাওয়ি সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর। জুন মাসে দামাস্কাসের একটি গির্জায় আত্মঘাতী হামলায় ২৫ জন নিহত হয়।
বিশেষ দূত থমাস ব্যারাক বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার একটি দীর্ঘ, কঠিন ও জটিল প্রক্রিয়ার পর বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন সিরিয়াকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”
১০ কোটি ছাড়াল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, তবে বাড়ছে ধীরগতিতে
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট,
২০২৪ সালের শেষে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখে। যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ১.১ শতাংশ বৃদ্ধি। এটি টানা তৃতীয় বছর সদস্য বৃদ্ধির হ্রাস পাওয়া গতি নির্দেশ করে।
পার্টির শীর্ষ নিয়োগ দফতর, সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন ডিপার্টমেন্ট (COD), জানিয়েছে যে সদস্য গ্রহণে এখন আরও কঠোর যাচাই করা হচ্ছে, যার ফলে প্রবেশে বাধা বেড়েছে।
চীনের পার্টি এখনো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল—শুধুমাত্র ভারতের বিজেপির পর, যার সদস্য ১৪ কোটির বেশি। মার্কিন ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টির সদস্য সংখ্যা যথাক্রমে ৪৫.১ ও ৩৬ মিলিয়ন।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের থেকে নিয়মিত চাঁদা, সভায় অংশগ্রহণ, ও সংগঠনভিত্তিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মতো কঠোর শর্ত পালন করতে হয়, যা পশ্চিমা দেশের নিবন্ধিত ভোটারদের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন।
এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে পার্টির ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে, যা ১ জুলাই উদযাপিত হয়।
সারাক্ষণ ডেস্ক 


















