ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষার্থীর পিতার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার কারণে পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করায় ক্ষোভ থেকেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
কোথায় ও কবে ঘটনা
শনিবার রাতে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার আড়পাড়া দরগা মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক হাবিবুর রহমান কালীগঞ্জের শোয়াইবনগর কামিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
ক্লাসে অনুপস্থিতির কারণেই বিরোধ
হাবিবুর রহমান জানান, নবম শ্রেণির ছাত্র আল সিয়াম গত ১১ মাসে মাত্র ২৫ দিন ক্লাসে উপস্থিত ছিল। নিয়মিত অনুপস্থিতি ও পড়াশোনার দুর্বলতার কারণে তাকে পরীক্ষার উপযুক্ত নয় বলে জানানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীর পিতা শাহাজান।
হামলার ঘটনার বিবরণ
শনিবার রাতে আড়পাড়া দরগা মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় জরুরি কথা বলার অজুহাতে শিক্ষক হাবিবুর রহমানের পথ আটকান শাহাজান। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি হঠাৎ হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে শিক্ষক গুরুতর আহত হন।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের বক্তব্য
শোয়াইবনগর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, শিক্ষার্থী সিয়াম নিয়মিত ক্লাস করত না এবং তার শিক্ষাগত মানও সন্তোষজনক ছিল না। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার যোগ্য না হলে কোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যায় না। কিন্তু বিষয়টি তার পরিবার মেনে না নেওয়ায় এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আগের অভিযোগের তথ্য
মাদ্রাসা সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শাহাজান এর আগেও একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশি তদন্তে সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পুলিশের পদক্ষেপ
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জেল্লাল হোসেন জানান, ঘটনার পর থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















