নোয়াখালীর হাতিয়ায় একটি মারামারি মামলার আসামি গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দিকে। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
ঘটনার সময় ও স্থান
শনিবার সন্ধ্যায় হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ভৈরব বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পূর্ব বিরোধের প্রেক্ষাপট
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, চরকিং ইউনিয়নের ব্রিজবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাক্কের বারীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু তাহেরসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় ওই মামলার তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
হামলার অভিযোগ ও আহতদের অবস্থা
বিএনপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ তদন্ত শেষে এলাকা ছাড়ার পর আবু তাহেরের অনুসারীরা ভৈরব বাজারে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে চরকিং ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য মো. সাহারাজ, ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী মো. রুবেল ও মো. মনির এবং হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য কবির উদ্দিন আহত হন। সাহারাজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
চিকিৎসকের বক্তব্য
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শামীম উদ্দিন জানান, শনিবার রাতে চরকিং ইউনিয়ন থেকে হামলায় আহত সাহারাজ নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য
ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাক্কের বারী বলেন, পুলিশকে তথ্য দেওয়ার পরই বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নেতা-কর্মী আহত হন।
অভিযুক্ত পক্ষের অবস্থান
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর অনুসারীরা এলাকায় নেই।
পুলিশের বক্তব্য
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আগে একবার স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল এবং সে ঘটনায় মামলা রয়েছে। তবে শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি এখনো নিশ্চিত নন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















