১২:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই

সমকালের একটি শিরোনাম “আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই”

আমার মানসম্মান সব গেছে, সবাই মুক্তি পাক। স্বামী এ ঘটনা শুইনা আমারে ফোনও দেয় না। আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই। আমি দশজনের শান্তি চাই, দেশের শান্তি চাই। আমার যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। আমি মামলা তুলে নেব।’ কুমিল্লার মুরাদনগরে নিপীড়নের শিকার সেই নারী রোববার সাংবাদিকদের কাছে এ আকুতি জানান।

গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিপীড়নের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ফজর আলী নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ওই নারী। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফজর ছাড়া অন্য চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ– তারা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছেন। এ অভিযোগে রোববার কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ওই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভাইরালকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে অনিক।

ধর্ষণ মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত ফজর আলী তাঁর বাবার বাড়ির এলাকারই বাসিন্দা। যখনই স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি বেড়াতে আসেন, তখন বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন। গত বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তি কৌশলে তাঁর ঘরে প্রবেশ করে গলায় ছুরি ধরেন। এক পর্যায়ে খুনের ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ফজর আলী ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে তাঁকে আটকে মারধর করেন।

ওই নারীর স্বজন বলছেন, মূল অভিযুক্ত ফজরের সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভুক্তভোগী নারীর কোনো সম্পর্ক ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে খালি বাসা পেয়ে দরজা ভেঙে ফজর আলী তাঁকে ধর্ষণ করেন। এর পর আরও ৭-৮ জন ঘরে প্রবেশ করে সেই নারীর বিবস্ত্র অবস্থার দৃশ্য ভিডিও করেন। তাঁকে মারধরও করা হয়েছে। পরে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মূল অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে পাল্টাপাল্টি ভাষ্য আসতে থাকে।

শনিবার রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি জায়গায় ওই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। সারাদেশে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঘটনার নিন্দা ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

এদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন থেকে ভুক্তভোগীর ভিডিও এবং ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার”

কমপ্লিট শাটডাউনসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের চলমান সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রোববার (২৯ জুন) রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) কার্যালয়ে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।

এতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্য দেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক জানান, উপদেষ্টা কমিটি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউনসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি মির্জা আশিক রানা প্রমুখ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, গত সাতদিনের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এখনো হয়নি। ‘জুলাই সনদ’ কবে নাগাদ হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম- আবু সাঈদের শাহাদতবার্ষিকীতেই সকলে মিলে সনদে স্বাক্ষর করতে পারবো। সেটা কতোটা সম্ভব হবে তা আপনাদের (রাজনৈতিক দল) ওপর নির্ভর করছে। আমরা খানিকটা শঙ্কিত যে, সে জায়গায় যাবো না। তবে এটা আমরা বলতে পারি জুলাই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়াকে একটা পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে হবে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল- সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, উচ্চকক্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, একদিন পর জুলাই মাস। কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি- আমরা আন্তরিক থাকতে চাই, জুলাই মাসের মধ্যেই যেন আমরা একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে পারি। সেই প্রচেষ্টায় আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হবো। যে ব্যবস্থা ফ্যাসিবাদী শাসনকে তৈরি করেছে, তার কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আমাদের করতে হবে। এই সংকল্প থেকে সমস্ত কিছু পাশে রেখে আমরা সমবেত হয়েছিলাম। আপনাদের কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়ন সহ্য করেছেন। সেই রক্তের ওপর পা রেখে আমরা এখানে এসেছি। ৭০ অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে কমিশনের যে প্রস্তাব ছিল সেখান থেকে কমিশন আলোচনার মধ্যদিয়ে সরে এসেছে।

আলী রীয়াজ বলেন, উচ্চকক্ষের বিষয়ে দুটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে একটি, ১০৫ জন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেবেন। আপনারা এই বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। সঙ্গতভাবে কমিশন এই জায়গা থেকে সরে এসে ১০০ জন সদস্যের উচ্চকক্ষ তৈরির বিষয়ে একমত হতে পেরেছি। মূলনীতির ক্ষেত্রে কমিশনের কিছু প্রস্তাব ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশনে। সেখানে আমরা আলোচনা করেছি, অনেকটা অগ্রসর হয়েছি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ক্যাপাসিটি চার্জ”

বিপরীতে কেন্দ্রটি আয় করে ৫ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনার্জি চার্জ (জ্বালানি ও আনুষঙ্গিক) হিসেবে পায় ২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, আর ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে আসে ৩ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ওই অর্থবছরে যে আয় করেছে তার প্রায় ৬৪ শতাংশই এসেছে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) পরিচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে থাকলে ক্যাপাসিটি চার্জ কোনোভাবেই এত বেশি হওয়ার কথা নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কেন্দ্রটির প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যাচাইসহ আর্থিক নানা অসংগতি খতিয়ে দেখার আহ্বান তাদের। কেননা ক্যাপাসিটি চার্জ এখন বিদ্যুৎ খাতের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে শুরু থেকেই রয়েছে বিতর্ক। বিশেষ করে সুন্দরবনের কোলঘেঁষে এ ধরনের প্রকল্প নির্মাণ পরিবেশকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলবে বলে পরিবেশবাদীদের বড় রকমের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে এর অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয়, ব্যবহৃত কয়লার দামসহ নানা বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ভারতকে আর্থিকভাবে সুবিধা দেয়ার অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিপিডিবিকে বেশি দামেই বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। উচ্চমাত্রায় ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধে পিডিবি কী পরিমাণ আর্থিকভাবে পঙ্গু হচ্ছে সেটি আমরা দেখেছি। এর পরও রামপালের মতো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে যাচ্ছে।’

 

আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই

০৮:০০:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই”

আমার মানসম্মান সব গেছে, সবাই মুক্তি পাক। স্বামী এ ঘটনা শুইনা আমারে ফোনও দেয় না। আমি দুটি শিশুসন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই। আমি দশজনের শান্তি চাই, দেশের শান্তি চাই। আমার যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। আমি মামলা তুলে নেব।’ কুমিল্লার মুরাদনগরে নিপীড়নের শিকার সেই নারী রোববার সাংবাদিকদের কাছে এ আকুতি জানান।

গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিপীড়নের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ফজর আলী নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ওই নারী। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফজর ছাড়া অন্য চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ– তারা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছেন। এ অভিযোগে রোববার কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ওই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভাইরালকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে অনিক।

ধর্ষণ মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত ফজর আলী তাঁর বাবার বাড়ির এলাকারই বাসিন্দা। যখনই স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি বেড়াতে আসেন, তখন বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন। গত বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তি কৌশলে তাঁর ঘরে প্রবেশ করে গলায় ছুরি ধরেন। এক পর্যায়ে খুনের ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ফজর আলী ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে তাঁকে আটকে মারধর করেন।

ওই নারীর স্বজন বলছেন, মূল অভিযুক্ত ফজরের সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভুক্তভোগী নারীর কোনো সম্পর্ক ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে খালি বাসা পেয়ে দরজা ভেঙে ফজর আলী তাঁকে ধর্ষণ করেন। এর পর আরও ৭-৮ জন ঘরে প্রবেশ করে সেই নারীর বিবস্ত্র অবস্থার দৃশ্য ভিডিও করেন। তাঁকে মারধরও করা হয়েছে। পরে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মূল অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে পাল্টাপাল্টি ভাষ্য আসতে থাকে।

শনিবার রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি জায়গায় ওই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। সারাদেশে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঘটনার নিন্দা ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

এদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন থেকে ভুক্তভোগীর ভিডিও এবং ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার”

কমপ্লিট শাটডাউনসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের চলমান সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রোববার (২৯ জুন) রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) কার্যালয়ে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।

এতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্য দেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক জানান, উপদেষ্টা কমিটি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউনসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি মির্জা আশিক রানা প্রমুখ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, গত সাতদিনের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এখনো হয়নি। ‘জুলাই সনদ’ কবে নাগাদ হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম- আবু সাঈদের শাহাদতবার্ষিকীতেই সকলে মিলে সনদে স্বাক্ষর করতে পারবো। সেটা কতোটা সম্ভব হবে তা আপনাদের (রাজনৈতিক দল) ওপর নির্ভর করছে। আমরা খানিকটা শঙ্কিত যে, সে জায়গায় যাবো না। তবে এটা আমরা বলতে পারি জুলাই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়াকে একটা পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে হবে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল- সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, উচ্চকক্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, একদিন পর জুলাই মাস। কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি- আমরা আন্তরিক থাকতে চাই, জুলাই মাসের মধ্যেই যেন আমরা একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে পারি। সেই প্রচেষ্টায় আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হবো। যে ব্যবস্থা ফ্যাসিবাদী শাসনকে তৈরি করেছে, তার কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আমাদের করতে হবে। এই সংকল্প থেকে সমস্ত কিছু পাশে রেখে আমরা সমবেত হয়েছিলাম। আপনাদের কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়ন সহ্য করেছেন। সেই রক্তের ওপর পা রেখে আমরা এখানে এসেছি। ৭০ অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে কমিশনের যে প্রস্তাব ছিল সেখান থেকে কমিশন আলোচনার মধ্যদিয়ে সরে এসেছে।

আলী রীয়াজ বলেন, উচ্চকক্ষের বিষয়ে দুটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে একটি, ১০৫ জন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেবেন। আপনারা এই বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। সঙ্গতভাবে কমিশন এই জায়গা থেকে সরে এসে ১০০ জন সদস্যের উচ্চকক্ষ তৈরির বিষয়ে একমত হতে পেরেছি। মূলনীতির ক্ষেত্রে কমিশনের কিছু প্রস্তাব ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশনে। সেখানে আমরা আলোচনা করেছি, অনেকটা অগ্রসর হয়েছি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ক্যাপাসিটি চার্জ”

বিপরীতে কেন্দ্রটি আয় করে ৫ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনার্জি চার্জ (জ্বালানি ও আনুষঙ্গিক) হিসেবে পায় ২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, আর ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে আসে ৩ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ওই অর্থবছরে যে আয় করেছে তার প্রায় ৬৪ শতাংশই এসেছে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) পরিচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে থাকলে ক্যাপাসিটি চার্জ কোনোভাবেই এত বেশি হওয়ার কথা নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কেন্দ্রটির প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যাচাইসহ আর্থিক নানা অসংগতি খতিয়ে দেখার আহ্বান তাদের। কেননা ক্যাপাসিটি চার্জ এখন বিদ্যুৎ খাতের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে শুরু থেকেই রয়েছে বিতর্ক। বিশেষ করে সুন্দরবনের কোলঘেঁষে এ ধরনের প্রকল্প নির্মাণ পরিবেশকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলবে বলে পরিবেশবাদীদের বড় রকমের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে এর অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয়, ব্যবহৃত কয়লার দামসহ নানা বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ভারতকে আর্থিকভাবে সুবিধা দেয়ার অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিপিডিবিকে বেশি দামেই বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। উচ্চমাত্রায় ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধে পিডিবি কী পরিমাণ আর্থিকভাবে পঙ্গু হচ্ছে সেটি আমরা দেখেছি। এর পরও রামপালের মতো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে যাচ্ছে।’