০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
আপনার অডিও বুক এ সিজনে এইবার সস্তা হতে পারে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৫) মাইকেল ওভিটজ: এক প্রাক্তন হলিউড টাইটানের সংগ্রহশালা-স্টাইলের বাসা নেটফ্লিক্সের সঙ্গে একচেটিয়া আলোচনায় ওয়ার্নার ব্রোস ডিসকভারির স্টুডিও বিক্রি ডিসেম্বরে বাজারে আসছে অ্যামাজনের নতুন কালার কিণ্ডল স্ক্রাইব কঠিন অর্থনীতির মধ্যেও আলো ঝলমলে বুখারেস্টের ক্রিসমাস মার্কেট স্বপ্ন, পুরাণ ও কূটনীতি: শিল্পে নতুন সেতু গড়ছে ভারত–রাশিয়া ভারত বদলেছে, কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট: পুতিন যুক্তরাষ্ট্রে H-1B ভিসায় সোশ্যাল মিডিয়া পর্যালোচনা আরও কঠোর হচ্ছে যদি আমেরিকা রাশিয়ান তেল কিনতে পারে, তবে ভারত কেন নয়?: পুতিন

দুটি আপেল চর্বিযুক্ত লিভার, কোলন ক্যানসার ও ওজন কমাতে সাহায্য করে

প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়া কতটা উপকারী?

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. জোসেফ সালহাবের মতে, প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়ার মাধ্যমে শরীর নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারে। ৪ আগস্ট তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি ব্যাখ্যা করেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তিনি বলেন, আপেলের ফাইবার হজমের গতি ধীর করে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এর পাশাপাশি আপেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান শরীরে নানা ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে।

প্রতিদিন আপেল খাওয়ার গবেষণালব্ধ উপকারিতা

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন আপেল খাওয়ার মাধ্যমে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস পায়। ফ্রিপিকের তথ্যে বলা হয়েছে, আপেলের সুরক্ষামূলক যৌগসমূহ অন্ত্রকে ক্যানসার থেকে রক্ষা করতে পারে।

দুটি আপেল খাওয়ার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ

ড. সালহাবের মতে, প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়ার মাধ্যমে যে পাঁচটি বড় স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়, তা হলো:

১. চর্বিযুক্ত লিভারের ঝুঁকি হ্রাস: আপেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার লিভারের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২. কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস: আপেলের মধ্যে থাকা সুরক্ষামূলক যৌগসমূহ অন্ত্রকে ক্যানসার থেকে রক্ষা করে।

৩. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: আপেলের দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।

৪. রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: আপেলের ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: ফাইবার ও পানির উপস্থিতি শরীরের ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত উপকারিতার দিকগুলো

ড. সালহাব আরও বলেন, “প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়ার ফলে চর্বিযুক্ত লিভার ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, উপকারী অন্ত্র-ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটে, কোলেস্টেরল ও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে, জয়েন্টে প্রদাহ কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।”

সতর্কতামূলক পরামর্শ

যদিও আপেল খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা, তবুও সবার ক্ষেত্রে এর প্রভাব একরকম নাও হতে পারে। এজন্য প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস শুরু করার আগে যাদের বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা বা অ্যালার্জি আছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এটি কোনো চিকিৎসা পরামর্শ নয়। আপনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যেকোনো প্রশ্নের জন্য অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

জনপ্রিয় সংবাদ

আপনার অডিও বুক এ সিজনে এইবার সস্তা হতে পারে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে

দুটি আপেল চর্বিযুক্ত লিভার, কোলন ক্যানসার ও ওজন কমাতে সাহায্য করে

১০:০০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়া কতটা উপকারী?

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. জোসেফ সালহাবের মতে, প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়ার মাধ্যমে শরীর নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারে। ৪ আগস্ট তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি ব্যাখ্যা করেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তিনি বলেন, আপেলের ফাইবার হজমের গতি ধীর করে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এর পাশাপাশি আপেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান শরীরে নানা ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে।

প্রতিদিন আপেল খাওয়ার গবেষণালব্ধ উপকারিতা

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন আপেল খাওয়ার মাধ্যমে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস পায়। ফ্রিপিকের তথ্যে বলা হয়েছে, আপেলের সুরক্ষামূলক যৌগসমূহ অন্ত্রকে ক্যানসার থেকে রক্ষা করতে পারে।

দুটি আপেল খাওয়ার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ

ড. সালহাবের মতে, প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়ার মাধ্যমে যে পাঁচটি বড় স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়, তা হলো:

১. চর্বিযুক্ত লিভারের ঝুঁকি হ্রাস: আপেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার লিভারের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২. কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস: আপেলের মধ্যে থাকা সুরক্ষামূলক যৌগসমূহ অন্ত্রকে ক্যানসার থেকে রক্ষা করে।

৩. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: আপেলের দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।

৪. রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: আপেলের ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: ফাইবার ও পানির উপস্থিতি শরীরের ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত উপকারিতার দিকগুলো

ড. সালহাব আরও বলেন, “প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়ার ফলে চর্বিযুক্ত লিভার ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, উপকারী অন্ত্র-ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটে, কোলেস্টেরল ও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে, জয়েন্টে প্রদাহ কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।”

সতর্কতামূলক পরামর্শ

যদিও আপেল খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা, তবুও সবার ক্ষেত্রে এর প্রভাব একরকম নাও হতে পারে। এজন্য প্রতিদিন দুটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস শুরু করার আগে যাদের বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা বা অ্যালার্জি আছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এটি কোনো চিকিৎসা পরামর্শ নয়। আপনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যেকোনো প্রশ্নের জন্য অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন