আজ রাতে একটা ভূত এসে বড় নিঃশব্দে
শিয়রে বসলো আমার-
তখন আমিও ছিলাম গভীর ঘুমে
যেমন অমাবস্যার রাতে ঘুমিয়ে থাকে বিস্তীর্ণ পদ্মা ও মেঘনার মোহনা।
ভূতকে বার বার বলি –
ভেঙো না আমার গভীর ঘুম।
তবু বলে-
সে তো আর নেই-
তবুও কেন এত দুঃস্বপ্ন
তাকে জড়িয়ে ধরছে।
কেন সে তার চারপাশে কেবলই শুনতে পাচ্ছে
স্প্লিন্টারে জর্জরিত কিছু নারীর সারারাতের আর্তনাদ।
কেন সে বার বার দেখতে পাচ্ছে
রক্তে ভেসে যাওয়া রাস্তা-
কেন অর্ধেক দেহের একটি অনিন্দ্য সুন্দরী নারী মুখ
তার দিকে শুধু নিথর হয়ে যাওয়া চোখে তাকাচ্ছে।
আমি চিৎকার করে বলি
তুমি আর এইসব দুঃস্বপ্ন আমাকে শুনিও না-
তবু সে বলে –
সে এখন কেঁপে ওঠে
যখনই বার বার একের পর এক কিশোরীর মাতৃজনন অঙ্গ
রক্তে ভেসে যায়- অচেতন হয় তাদের শরীর
পালাক্রম ধর্ষকের অত্যাচারে-
আমি দু হাতে তাকে দূরে ঠেলে দিতে যাই-
বলতে চাই, কী পেয়েছো তুমি আমাকে –
আমাকে ঘুমাতে দাও-
আমার কণ্ঠ দিয়ে কোন শব্দ বের হয় না।
শব্দেরা কি এমনি কখনও কখনও মৃত থাকে?
স্বদেশ রায় 


















