১০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত আমিরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচনপ্রত্যাশীদের জন্য অনলাইনে কর রিটার্ন দাখিলে বিশেষ ব্যবস্থা এনবিআরের মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে তারেক রহমান মিয়ানমারের অসম্পূর্ণ সাধারণ নির্বাচন: জানা দরকার পাঁচটি বিষয়

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে সাংবাদিকদ তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো না

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), আল-জাজিরা এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহত রয়টার্স ও এপি সাংবাদিকরা এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বক্তব্য
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি মঙ্গলবার রয়টার্সকে জানান, রয়টার্স ও এপি সাংবাদিকরা কোনোভাবেই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না। তবে সেনাপ্রধান বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে হামলার অনুমোদন, গোলাবারুদের ব্যবহার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হবে।

সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এ হামলায় অন্তত ছয়জন হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে নিহত পাঁচ সাংবাদিকের নাম তাদের তালিকায় নেই।

সাংবাদিকদের মৃত্যু ও পরিস্থিতি
হামলায় নিহত রয়টার্সের চুক্তিভিত্তিক ক্যামেরাম্যান হুসাম আল-মাসরি নাসের হাসপাতালে কয়েক সপ্তাহ ধরে লাইভ ভিডিও সরবরাহ করছিলেন। হামলার মুহূর্তে তিনি ক্যামেরা পরিচালনা করছিলেন। হামলার পর লাইভ ভিডিও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে।

নিহত অন্যদের মধ্যে আছেন—

মারিয়াম আবু দাগা (এপি-র ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক)

মোহাম্মদ সালামা (আল-জাজিরা)

মোয়াজ আবু তাহা (ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন, রয়টার্সেও অবদান রেখেছিলেন)

আহমেদ আবু আজিজ (মিডল ইস্ট আই-এর সাংবাদিক)

রয়টার্সের আরেকজন চুক্তিভিত্তিক আলোকচিত্রী হাতেম খালেদ আহত হয়েছেন।

হামাসের প্রতিক্রিয়া
হামাস ইসরায়েলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের বক্তব্যে বলা হয়, যাদের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত দুজন হাসপাতালে ছিলেন না; একজন আল-মাওয়াসিতে এবং অন্যজন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন। তবে তারা সাধারণ মানুষ নাকি যোদ্ধা, সেটি স্পষ্ট করেনি হামাস।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একে ‘দুঃখজনক দুর্ঘটনা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

অন্যদিকে রয়টার্স ও এপি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলেছে, সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নিহত হয়েছেন। গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাজ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তারা দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর ব্যাখ্যা
লিখিত বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, হাসপাতালের আশপাশে হামাস একটি ক্যামেরা বসিয়েছিল যাতে সেনাদের গতিবিধি নজরদারি করার জন্য আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া যায়। সেই ক্যামেরা ধ্বংস করার জন্যই অভিযান চালানো হয়।

তবে ঘটনাস্থলে রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকরা নিয়মিতভাবে সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার করছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব?

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে সাংবাদিকদ তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো না

১২:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), আল-জাজিরা এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নিহত রয়টার্স ও এপি সাংবাদিকরা এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বক্তব্য
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি মঙ্গলবার রয়টার্সকে জানান, রয়টার্স ও এপি সাংবাদিকরা কোনোভাবেই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না। তবে সেনাপ্রধান বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে হামলার অনুমোদন, গোলাবারুদের ব্যবহার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হবে।

সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এ হামলায় অন্তত ছয়জন হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে নিহত পাঁচ সাংবাদিকের নাম তাদের তালিকায় নেই।

সাংবাদিকদের মৃত্যু ও পরিস্থিতি
হামলায় নিহত রয়টার্সের চুক্তিভিত্তিক ক্যামেরাম্যান হুসাম আল-মাসরি নাসের হাসপাতালে কয়েক সপ্তাহ ধরে লাইভ ভিডিও সরবরাহ করছিলেন। হামলার মুহূর্তে তিনি ক্যামেরা পরিচালনা করছিলেন। হামলার পর লাইভ ভিডিও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে।

নিহত অন্যদের মধ্যে আছেন—

মারিয়াম আবু দাগা (এপি-র ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক)

মোহাম্মদ সালামা (আল-জাজিরা)

মোয়াজ আবু তাহা (ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন, রয়টার্সেও অবদান রেখেছিলেন)

আহমেদ আবু আজিজ (মিডল ইস্ট আই-এর সাংবাদিক)

রয়টার্সের আরেকজন চুক্তিভিত্তিক আলোকচিত্রী হাতেম খালেদ আহত হয়েছেন।

হামাসের প্রতিক্রিয়া
হামাস ইসরায়েলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের বক্তব্যে বলা হয়, যাদের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত দুজন হাসপাতালে ছিলেন না; একজন আল-মাওয়াসিতে এবং অন্যজন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন। তবে তারা সাধারণ মানুষ নাকি যোদ্ধা, সেটি স্পষ্ট করেনি হামাস।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একে ‘দুঃখজনক দুর্ঘটনা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

অন্যদিকে রয়টার্স ও এপি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলেছে, সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নিহত হয়েছেন। গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাজ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তারা দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর ব্যাখ্যা
লিখিত বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, হাসপাতালের আশপাশে হামাস একটি ক্যামেরা বসিয়েছিল যাতে সেনাদের গতিবিধি নজরদারি করার জন্য আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া যায়। সেই ক্যামেরা ধ্বংস করার জন্যই অভিযান চালানো হয়।

তবে ঘটনাস্থলে রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকরা নিয়মিতভাবে সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার করছিলেন।