চরিত্রের বাস্তবতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ
রবিন রাইট বিশ্বাস করেন, যে চরিত্রই হোক না কেন—যতটা স্বার্থপর বা জটিল হোক না কেন—তারা মনে করে তারা সঠিক কাজ করছে। নতুন সিরিজ দ্য গার্লফ্রেন্ড-এ তিনি অভিনয় করছেন লরা চরিত্রে। লরার ছেলে ড্যানিয়েল (লরি ডেভিডসন) যখন চেরি (অলিভিয়া কুক)-এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়, তখন লরা আবেগের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। যদিও রাইট নিজে বলেন তিনি বাস্তবে এতটা অধিকারপরায়ণ মা নন, তবুও চরিত্রটির ভেতরে তিনি নিজের সঙ্গে এক ধরনের সংযোগ খুঁজে পান।
লেখক কক্ষে বারবার আলোচনা হয়েছিল কীভাবে গল্পকে বাস্তবসম্মত রাখা যায়, যাতে তা অতিরঞ্জন বা মেলোড্রামায় না পৌঁছে যায়। রাইট বলেন, “এটাই ছিল আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ—কীভাবে সবকিছু বিশ্বাসযোগ্য রাখা যায়।”
দ্বৈত দায়িত্ব: অভিনয় ও পরিচালনা
এই সিরিজে রাইট কেবল অভিনেত্রীই নন, বরং অনেক এপিসোডে পরিচালকও ছিলেন। তিনি জানান, কখনো কখনো দৃশ্যের ভেতরে অভিনয় করার সময়ই তাকে পরিচালক হিসেবে অন্যদের পারফরম্যান্সও লক্ষ্য করতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “একেবারে দুই মস্তিষ্কে ভাগ হয়ে কাজ করার মতো।”
যদিও রাইট আগে অনেক প্রজেক্ট পরিচালনা করেছেন, তিনি মনে করেন এখনও শেখার জায়গা বাকি আছে। “আমি এখনও শিখছি, চেষ্টা করছি নিজের স্টাইল তৈরি করতে,” বলেন তিনি।
গল্পের বিশেষত্ব
রাইটকে সবচেয়ে আকর্ষণ করেছে গল্পের দুই নারীর দৃষ্টিভঙ্গি। লরা ও চেরি দুজনই বিশ্বাস করে তারা সঠিক। একে অপরকে ছাড় দেওয়ার মতো মানসিকতা তাদের নেই। রাইট বলেন, “দুই আলফা নারী যখন একসঙ্গে থাকে, সেটা বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। আসলে তারা এতটা মিল ছিল যে, অন্য প্রেক্ষাপটে হলে হয়তো তারা সেরা বন্ধু হয়ে উঠত।”
তাঁর মতে, দর্শকও গল্পের ঘটনাগুলোতে নিজেদের খুঁজে পাবেন। “চেরি যা করে, লরা যা করে—আমরা সবাই একবার হলেও ভাবতে পারি, আমিও হয়তো এটা করতাম।”
পরিচালনায় নতুন অভিজ্ঞতা
রাইটের মতে, এই শো পরিচালনার অভিজ্ঞতা অন্য সব কাজের থেকে আলাদা ছিল। কারণ আগের প্রজেক্টগুলোতে তিনি তৈরি কাঠামোতে কাজ করেছেন। কিন্তু এখানে তিনি শুরু থেকেই উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন—কোন ক্যামেরা লেন্স ব্যবহার করবেন, কী ধরনের টোন তৈরি করবেন—সবই তাঁর সিদ্ধান্তে নির্ধারিত হয়েছে।
কর্মজীবনের মূল্যায়ন
আগামী বছর ৬০ বছরে পা দিতে চলেছেন রবিন রাইট। তিনি মনে করেন, তাঁর ক্যারিয়ারের সাফল্য কোনো পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার ফল নয়। “আমি শুধু গল্প বলতে ভালোবাসি, অন্যের গল্প ভাগ করতে ভালোবাসি। দর্শক হিসেবে কোনো গল্পে যখন আমি আন্দোলিত হই, তখনই মনে হয়, আমিও সেই অনুভূতি ফিরিয়ে দিতে চাই,” বলেন তিনি।