তিনি আরো অনুরোধ জানিয়েছিলেন মহিলাদের জন্য সাতটি দোপাট্টা পাঠাতে যার মধ্যে ৫টিতে হবে সোনা ও ২টিতে রূপোর সুতোর আঁচল
একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন হুলাচান্দকে উদ্দেশ্য করে। সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়েছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, সন্দ্বীপ ও অন্যান্য সঙ্গতের শিষ্যকে। এ চিঠিতে একটি যুদ্ধ হাতি পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পূর্ববঙ্গে তখন বিভিন্ন ধরনের প্রাণী পাওয়া যেত। মুর্শিদকুলী খাঁ সম্রাটের দরবারে বস্ত্র, তলোয়ার, গণ্ডারের চামড়ার তৈরি ঢাল, হাতি ও এন্টিলোপ পাঠিয়েছিলেন। শিখ গ্রন্থে এই হাতিটিকে মেঘনা হাতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খুব সম্ভব মেঘনার চয় থেকে তা ধরা হয়েছিল। গুরু বখশ অবশ্য অনুমান করছেন চট্টগ্রামের রাজা মানিক রায় সঙ্গকের মাধ্যমে হাতিটি পাঠিয়েছিলেন।
গুরু আরেকটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ভাই হুলাচান্দ, বখশীচান্দ, মেহের চান্দ, কাশীরাম, লালচান্দ, বাবু রায় বৃন্দাবন ও ঢাকা সঙ্গতের অন্যান্য লসকরের সঙ্গত, সন্দ্বীপ, সিলেট ও অন্যান্য সঙ্গতের লোকদের। প্রত্যেক শিখকে শুরুর জন্য কিছু দান করতে বলা হয়োছে এবং নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব জমা দিতে হবে ভাই হুল্যচান্দকে যিনি দিওয়ালির। আগে গুরুকে পৌঁছে দেবেন। গুরুর নিজের ব্যবহারের জন্য পোশাকের কথাও বলা হয়েছিল। উল্লেখ করেছিলেন শুরু ‘আমি ঢাকা সঙ্গতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট’ তিনি আরো অনুরোধ জানিয়েছিলেন মহিলাদের জন্য সাতটি দোপাট্টা পাঠাতে যার মধ্যে ৫টিতে হবে সোনা ও ২টিতে রূপোর সুতোর আঁচল। মাহুতদের জন্য আরো ৫০ টাকা দিতে বলা হয়েছিল।
পঞ্চম চিঠিটি গুরুর নয়। সেখানে ১০১ টাকার হুন্ডির দাবি করা হয়েছিল। চিঠিটি গুরুর হয়ে কেউ লিখেছিলেন ১৭৩৫ সালে। ভাই গুলালচান্দ ও বৃন্দাবনকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল। সাবধান করা হয়েছিল তারা যেন মসনদ বা মসনদিদের সঙ্গে যোগাযোগ না করেন ও ভক্তি করা থেকে বিরত থাকেন। গুরু দর্শনে যারা যাবেন তারা যেন সশস্ত্র হয়ে যান। এ সময় ‘খালসা’ শব্দটি প্রয়োগ করা হয়। ১৭৩৫ সালের আগে খালসা শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি।
গুরু বখশ উল্লেখ করেছেন এসব চিঠি পাঠানো হয়েছিল হাজুর সঙ্গতকে এবং তিনি যখন তা দেখেছেন তখন তার জীর্ণ দশা। একজন পূজারি মাত্র ছিলেন। কিন্তু হাজুর সঙ্গতটি কোথায় তার উল্লেখ নেই। আমার অনুমান এটি শুজাতপুরের সঙ্গত। লসকর কি সঙ্গত অনুমান করছেন রায়ের বাজারের সঙ্গতটিকে।
(চলবে)