যুক্তরাজ্যে ৪০,০০০ চুরি হওয়া মোবাইল ফোন চীনে পাচারের অভিযোগে একটি আন্তর্জাতিক গ্যাংকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। গত এক বছরের মধ্যে এই গ্যাংটি প্রায় ৪০,০০০ চুরি হওয়া ফোন চীনে পাঠিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় ফোন চুরির বিরোধী অভিযান। ১৮ জন সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং ২,০০০টিরও বেশি চুরি হওয়া ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তের সূত্র
তদন্তের সূচনা ঘটে একটি stolen আইফোনের মাধ্যমে। এক ভুক্তভোগী ২০২৪ সালের ক্রিসমাস ইভে তাদের চুরি হওয়া আইফোনের অবস্থান ট্র্যাক করতে সক্ষম হন, যা পরে হিথ্রো এয়ারপোর্টের কাছে একটি গুদামে পাওয়া যায়। সেখানে ৮৯৪টি ফোনের মধ্যে সেই আইফোনটি ছিল। পুলিশ পরবর্তীতে দুটি সন্দেহভাজন পুরুষের খোঁজ পায়, যারা এই ফোনগুলো পাচার করছিল।
গ্রেপ্তার এবং রহস্য উদঘাটন
পুলিশ দুটি আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করে, যাদের গাড়িতে পাওয়া যায় একাধিক ফোন, সেগুলো ছিল অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে রাখা। তাদের বিরুদ্ধে চুরি করা মালামাল ধারণ এবং সরানোর অভিযোগ আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও ২,০০০ ফোন উদ্ধার হয় বিভিন্ন সম্পত্তি থেকে।
ফোন চুরির ট্রেন্ড
লন্ডনে মোবাইল ফোন চুরি বেড়ে গেছে, ২০২০ সালে ২৮,৬০৯টি ফোন চুরি হয়েছিল, যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০,৫৮৮টিতে। লন্ডনে দেশের মোট চুরি হওয়া ফোনের ৭৫% ঘটছে।
অপরাধীদের উদ্দেশ্য
পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীরা প্রধানত অ্যাপল পণ্যে আগ্রহী ছিল, কারণ সেগুলো বিদেশে লাভজনক। চুরি হওয়া ফোনগুলো চীনসহ অন্যান্য দেশে বেশ কিছু মূল্যবান দামে বিক্রি করা হচ্ছিল।
প্রতিক্রিয়া
এই অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ গত সপ্তাহে আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং জনগণের মধ্যে ফোন চুরির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। লন্ডন মেয়র স্যার সাদিক খান জানিয়েছেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ আরও বেশি পুলিশ সদস্য নিয়োগ করবে এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে।
পুলিশের পদক্ষেপ এবং চুরি হওয়া ফোনের পুনরুদ্ধার আরও কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছে। ফোন শিল্পের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে চুরি হওয়া ফোনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী করা হয় এবং বৈশ্বিক এই অপরাধ বন্ধ করতে যৌথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
#ফোনচুরি #পুলিশঅভিযান #লন্ডন #চুরি #আইফোন