বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও সুসংহত করবে।
ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ১৭ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি ইতিবাচক প্রতিফলন। তাঁর মতে, এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে একজন নাগরিকের নিজ দেশে ফিরে আসার অধিকার পুনরুদ্ধার হয়েছে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলাফল
নাহিদ ইসলাম বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তারেক রহমানের মাতৃভূমিতে ফিরে আসা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন। এটি দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
নির্যাতন ও নির্বাসনের প্রসঙ্গ
তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে তারেক রহমান ও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সেই পরিস্থিতির কারণে তাঁকে দীর্ঘ সময় নির্বাসনে থাকতে হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাস্তবতা
নাহিদ বলেন, হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে গড়ে ওঠা গণঅভ্যুত্থানের ফলেই এমন একটি বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে, যা তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারের দেশে ফেরাকে সম্ভব করেছে।

ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের প্রত্যাশা
আগামীর দিকে তাকিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এমন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেখানে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হবেন না।
আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার
গত দেড় দশকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন একটি মুক্ত বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু হয়েছে। এই যাত্রার মূল লক্ষ্য হলো প্রতিটি নাগরিকের জন্য আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা।
বহুদলীয় গণতন্ত্রে আস্থা
নাহিদ ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের ফলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা আরও জোরদার হবে।
সহাবস্থান ও সুস্থ প্রতিযোগিতা
নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করা এবং সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা।
স্বাগত ও প্রত্যাশা
তারেক রহমানকে দেশে স্বাগত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে তাঁর ভূমিকা হবে গঠনমূলক।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















