রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩০০ ফিট থেকে হাসপাতালের পথে যাত্রা
বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৪টা ২৮ মিনিটে ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থল থেকে একই বাসে রওনা হন তারেক রহমান। প্রায় দেড় ঘণ্টার যাত্রা শেষে সন্ধ্যা ৫টা ৫৪ মিনিটের দিকে তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান।
১৭ বছর পর দেশে মা–ছেলের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে এটি মা ও ছেলের প্রথম সাক্ষাৎ, প্রায় ১৭ বছর পর। এর আগে তারা একাধিকবার লন্ডনে সাক্ষাৎ করেছিলেন, সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে।
পরিবারের অন্য সদস্যদের আগমন
তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জায়মা রহমান, যারা হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় ফেরার পুরো যাত্রায় তার সঙ্গে ছিলেন, তারা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান।
সংবর্ধনা মঞ্চে আবেগঘন বক্তব্য
এর আগে ৩০০ ফিটের সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, একজন সন্তান হিসেবে তাঁর মন পড়ে আছে মায়ের অসুস্থ শয্যার পাশে। তবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যাদের জন্য সারাজীবন কাজ করেছেন, সেই মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি আগে নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে এসেছেন।
দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান
তারেক রহমান দেশবাসীর কাছে তাঁর মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা
খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরবর্তী অবস্থান
মায়ের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর তারেক রহমান গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় যাওয়ার কথা রয়েছে, সেখানেই তিনি অবস্থান করবেন।
১৭ বছরের প্রবাসজীবনের অবসান
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪৪ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারেক রহমান ঢাকায় পৌঁছান। এর মাধ্যমে লন্ডনে তাঁর প্রায় ১৭ বছরের প্রবাসজীবনের অবসান ঘটে।
২০০৮ সালে দেশত্যাগের প্রেক্ষাপট
২০০৮ সালে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছাড়েন তারেক রহমান। পরে পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















