ভারত তার সমুদ্রভিত্তিক পারমাণবিক শক্তি আরও জোরদার করল। বঙ্গোপসাগরে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিহন্ত থেকে কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি, যা ভারতের কৌশলগত প্রতিরোধ ক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা
মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে এই পরীক্ষা চালানো হয়। উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমের কাছাকাছি এলাকা থেকে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি। পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ সফল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা
কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় তিন হাজার পাঁচশ কিলোমিটার। এটি প্রায় আড়াই টন ওজনের পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। স্থলভিত্তিক অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে কে-৪ তৈরি করা হয়েছে, তবে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপের উপযোগী করে এতে বিশেষ পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হয়।
পারমাণবিক ট্রায়াডে শক্তি বৃদ্ধি
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক ট্রায়াড আরও শক্তিশালী হলো। এর ফলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় গোপনে সমুদ্রে টহল দিতে পারবে এবং প্রয়োজন হলে প্রতিরোধমূলক হামলা চালাতে সক্ষম হবে।
‘কে’ সিরিজের নামকরণ
‘কে’ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামকরণ করা হয়েছে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে তাঁর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।
আঞ্চলিক কৌশলগত প্রভাব
এই সফল পরীক্ষা ভারতের পানির নিচে পারমাণবিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কৌশলগত অবস্থান ও প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও দৃঢ় হলো।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















