বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি সৃষ্টির যাত্রা শুরু হয়েছিলো সফট পাওয়ারের ওপর নির্ভর করে। এমনকি যে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা অর্জনের দল হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছিলো ও তাদের সঙ্গে যে কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (মোজাফফর) একাত্ম হয়েছিলো— তাদেরও পেছনে মূল শক্তি ছিলো সফট পাওয়ার।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হলেও ১৯৪৮ থেকে পূর্ব বাংলার রাজনীতি ও মানুষের মনোজগত যে ভিন্ন দিকে টার্ন নেয়, তার মূলে ছিলো বাংলা ভাষা আন্দোলন— যা ১৯৪৬ থেকেই শুরু হয়েছিলো, এবং কোনো রাজনীতিবিদের দ্বারা নয়, বা রাজনৈতিক দল ও সংগঠিত কোনো বাহিনীর মাধ্যমে নয়। এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিলো বুদ্ধিজীবী, শিক্ষিত ছাত্র, শিক্ষক ও শিল্পীদের মাধ্যমে।
এই ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে নতুন রাজনৈতিক ধারা গড়ে ওঠে। কিন্তু ওই রাজনৈতিক দল ভাষা আন্দোলনকে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে যতটুকু পৌঁছাতে পেরেছিলো তার থেকে বেশি পৌঁছায় ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক ও দেশাত্মবোধক নতুন নতুন গানের মাধ্যমে। এবং সে সব গানের লেখক প্রতিষ্ঠিত গীতিকার থেকে গ্রামের সাধারণ কৃষক অবধি ছিলো। এমনকি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম আঞ্চলিক এলাকা বাগেরহাটের এক কৃষক, “ওরা ঢাকা শহর রক্তে ভাসাইলো..” ভাষা আন্দোলনের শহীদদের নিয়ে এ গান লিখে পুলিশের হাতের থেকে বাঁচার জন্যে দীর্ঘকাল আসামের কাছাড়ে গিয়ে কৃষিকাজ করে জীবন ধারণ করেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সে অর্থে কখনও সাধারণ মানুষের এমনকি শ্রমিকদেরও সংগঠন হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু এ সংগঠনের দুটি সাংস্কৃতিক অঙ্গ সংগঠন ছিলো। একটি শিশুদের “খেলাঘর” অপরটি কিশোর ও তরুণদের সাংস্কৃতিক সংগঠন “উদিচি”। এ দুটো সংগঠনের শাখা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল অবধি না হলেও তৎকালীন মহকুমা শহর এমনকি অনেক থানাতেও ছিলো। খেলাঘরের শিশুদের ব্রতচারী নৃত্য থেকে শুরু সব ধরনের সাংস্কৃতিক শিক্ষার হাতে খড়ি দেওয়া হতো। এবং সেখানে তাদের বিজ্ঞান ভিত্তিক সাহিত্যচর্চা থেকে শুরু করে বিজ্ঞান চর্চারও উন্মেষ ঘটতো।
আর উদিচি ছিলো একটি পরিপূর্ণ সাংস্কৃতিক সংগঠন সেখানে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, নাটক এগুলো সবই চর্চা করা হতো। তবে দেশাত্মবোধক গান ও সাধারণ মানুষের বাস্তব জীবনের গান ছিলো উদিচির বড় সম্পদ, সঙ্গে নাচ ও নাটকও।
এরপরে কবি সুফিয়া কামাল, ওয়াহিদুল হক, সনজিদা খাতুন প্রমুখের চেষ্টায় বাঙালি সংস্কৃতিকে গ্রাম ও শহরের মধ্যবিত্তদের সঙ্গে মেলানোর জন্যে বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে শুরু হয় আরেকটি নব জাগরণ। আর এই বাংলা নববর্ষ পালনের মূল ভিত্তি ছিলো রবীন্দ্র, নজরুল, ডি.এল. রায়, রজনীকান্ত, অতুল প্রসাদ ও বাংলার বাউল সঙ্গীত ও এসব ভিত্তিক নাচ ও বিভিন্ন কবিদের কবিতা আবৃত্তি।
ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান ততদিনে টিকিয়ে রাখার জন্যে সামরিক শাসনের ওপর ভর করতে হয়েছে। ওইভাবে রাজনৈতিক শক্তি নেই। অন্যদিকে সামরিক শাসক আইয়ুব খানও তার সমর্থকরা চিহ্নিত করেছেন, আসলে পূর্ব বাংলার বুদ্ধিবৃত্তি কেন্দ্রিক সফট পাওয়ারই একদিন রাজনীতিকে শক্তি জোগাবে। আর ওই সফট পাওয়ারের অনেকটা কেন্দ্রবিন্দু রবীন্দ্রনাথ। তাই তারা তাদের মতমতো ৬৫ জন বুদ্ধিজীবী জোগাড় করে পূর্ব বাংলায় রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করার জন্যে সামনে দাঁড় করায়। তার বিপরীতে অর্ধেক না হলেও প্রকৃত বুদ্ধিজীবী ও লেখকরা শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন রবীন্দ্রনাথের পক্ষে। প্রতিপক্ষ সংখ্যায় বেশি হলেও তারা প্রকৃত বুদ্ধিবৃত্তিক সফট পাওয়ার না, তারা মূলত সামরিক শাসনের বা মৌলবাদিতার হার্ড পাওয়ারের একটি তরবারি মাত্র। তাই তাদের প্রতিপক্ষ সংখ্যায় অর্ধেক হলেও তাদের কাছে হেরে যায়।
আর রবীন্দ্রনাথকে এভাবে বাধা দেওয়াতে রবীন্দ্রনাথও পূর্ব বাংলায় তাঁর অনেক পরের এই প্রজন্মের মধ্য দিয়ে বিপুল শক্তিতে আবির্ভূত হন। রবীন্দ্রনাথের দেশাত্মবোধক গান আবার নতুন করে জেগে ওঠে পূর্ব বাংলায়, যদিও ততদিনে এ ভূখণ্ডের নাম পূর্ব পাকিস্তান হয়ে গেছে। আর রবীন্দ্রনাথের দেশাত্মবোধক গানের পাশাপাশি তখন পূর্ব পাকিস্তানে অনেক গীতিকার সৃষ্টি হতে থাকে যাদের দেশাত্মবোধক গান, জাতীয়তাবাদ, দেশ ও মানুষকে জাগিয়ে তুলতে থাকে। আর পঞ্চাশ দশকের কবিরা ষাটের দশকে এসে যেমন পরিণত কবিতা দিয়ে দেশের মানুষের আধুনিক মনোজগত প্রস্তুত করে তেমনি ষাটের দশকের তরুণ কবিরাও। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রগতিশীল ও নতুন মনোজগত তৈরির একটি ক্ষেত্র প্রগতিশীল সাংবাদিকগণও প্রস্তুত করতে থাকেন।
পূর্ব বাংলার চলচ্চিত্রও “সিরাজউদ্দৌলা” থেকে শুরু করে “জীবন থেকে নেয়া” তে এসে পুরোপুরি এ ভূখণ্ডের মানুষের মনোজগত পরিবর্তনের একটা বড় সফট পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়। সে সময়ের পরিশীলিত অন্যান্য চলচ্চিত্রও মানুষের মনোজগতকে পূর্ব বাংলা কেন্দ্রিক একটি চিন্তার দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে, সেখানে ধর্ম ভিত্তিক পাকিস্তানকে দেখা যেতো না।
অন্যদিকে ৫০ ও ৬০ এর দশকে বিভিন্ন দেশের বই ও পত্রপত্রিকা পূর্ব বাংলায় সহজে পাওয়া যেতো— যার ফলে এখানে আধুনিক জ্ঞান চর্চার ধারাটির ওপর কখনও ধর্মীয় মৌলবাদ মাথা উঁচু করার কোনো সুযোগ পায়নি। অন্যদিকে গ্রামে গ্রামে বাউল, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি গান, যাত্রাপালা, কবিয়ালদের কবিগান সবই ছিলো বাস্তব জীবন কেন্দ্রিক, মানুষের ঐতিহাসিক বিদ্রোহ কেন্দ্রিক— তাই সেগুলোও মূলত গ্রামের সাধারণ মানুষকে পারলৌকিক লোভের জীবনের বদলে বাস্তব জীবনে রাখার কাজে একটি সফট পাওয়ার হিসেবে কাজ করতো।
বাংলাদেশে ‘৯০ এর দশক থেকে “খেলাঘর”, “উদিচি” প্রমুখ সংগঠনগুলো ক্রমে ভেঙে পড়তে থাকে। কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টিও হারিয়ে যায় বিভিন্ন দলের মধ্যে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ পরোক্ষভাবে খেলাঘর দখল করতে গিয়ে সেটাকে নষ্ট করে ফেলে। তাছাড়া বড় দল হিসেবে ক্ষমতা বা ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায় নব্বইয়ের পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব খুব একটা উপলব্ধি করতে পারেনি, তাদের ষাটের দশকে হঠাৎ রাজনৈতিক বড়ভাবে উত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া— এর পেছনে নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের যেমন অবদান রয়েছে তেমনি ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিকদের সফট পাওয়ার অনেক বেশি কাজ করেছে।
মাটির নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নীরব স্রোত উপলব্ধি করার মতো নেতাও ওই সময়ে আওয়ামী লীগে কমে যায় নানান উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে। এমনকি ১৯৯৬-তে একুশ বছর পরে তাদের ক্ষমতায় ফেরার পথে বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সকল সফট পাওয়ার কতটা কাজ করেছিলো সেটাও তারা উপলব্ধি করতে ভুল করে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ২০০৯-এ ক্ষমতায় আসার পরেও উপলব্ধি করতে পারে না এই সফট পাওয়ার নষ্টের কাজটি ৮০’র দশকের শেষ থেকে শুরু হয়েছে। বিদেশী বই ও পত্রপত্রিকার ওপর অধিকহারে ট্যাক্স আরোপ করে দেশে জ্ঞান চর্চার পথ বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নোটবই নির্ভর হয়ে উঠেছে। যে কারণে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েশন সিঙ্গাপুরে ও লেভেলের মর্যাদাও পায় না। শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীল শিক্ষকের সংকট শুরু হয় বেশ আগে থেকেই। গ্রামে গ্রামে বাস্তব জীবন চর্চা ভিত্তিক শিল্প সংস্কৃতি চর্চাও ধর্মের নামে শুধু নয় নানান অজুহাতে বন্ধ করে দেয়।
আওয়ামী লীগ সতের বছর ক্ষমতায় থেকেও এগুলোর কোনো কিছুই চালু বা উন্নতি করার কাজ করেনি। এমনকি নাটক, থিয়েটারে বরাদ্দও তারা বাড়ায়নি। তার বদলে পারলৌকিক ক্ষেত্রগুলো ও চর্চায় তারা বরাদ্দ বাড়ায়। বিদেশী বইয়ের দাম সাধারণের কেনার সামর্থ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় বই বিক্রি পড়ে যায়। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত শুধুমাত্র ২০১৬ সালে একবারের জন্যে বিদেশী ক্রিয়েটিভ বইয়ের ওপর থেকে আমদানি ট্যাক্স তুলে নেন। কিন্তু দেশীয় পাবলিশার্সদের চাপে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে ন্যাশনাল ট্যাক্স ব্যুরো পরোক্ষ ট্যাক্স ধরে। আর পরবর্তী বছর থেকে আবার ট্যাক্স আরোপ করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের রাজধানীতে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি বইয়ের দোকান টিকে আছে। আর দেশীয় পাবলিশার্সরাও ভালো কোনো বই প্রকাশের দিকে যায় না। কারণ, তাদের বড় ক্রেতা ছিলো সরকার। সরকারি কর্মচারীরা সরকারকে খুশি করার জন্যে শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের নামে যে কোনো আবর্জনা প্রকাশ করলেও তার হাজার হাজার কপি সরকারের বিভিন্ন সংস্থার জন্যে কিনতো।
এভাবে দেশে নতুন প্রজন্মের জন্যে যখন সব দিক থেকে আধুনিক চিন্তা চেতনার আলো প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে ঠিক তখনই প্রবল স্রোত এসেছে সোশ্যাল ফোরামের। যদিও তথ্য প্রযুক্তির কারণে সফটওয়্যারে তখন জ্ঞানের বিভিন্ন দিক খুলে গেছে— কিন্তু এই তরুণ প্রজন্ম যেহেতু ছোটবেলা থেকে জ্ঞানচর্চার ভেতর দিয়ে আসেনি— তাই তারা সেদিকে না গিয়ে চটুল সোশ্যাল ফোরাম ও পারলৌকিক সোশ্যাল ফোরাম ও অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত ইনফ্লুয়েন্সারের দিকে ঝুঁকে যায়।
রাজনীতিবিদরা ভোটার বা সমর্থকদের স্রোত বুঝতে পারে আগে। এ কারণে শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের শেষের দিকে সাত-আট বছর ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রকৃত সফট পাওয়ারকে বাদ দিয়ে হার্ড পাওয়ারের ছোট তরবারি মৌলবাদীদের জয় করার চেষ্টা করে বেশি পরিমাপে। যা তার জন্যে বাস্তবে অমাবস্যার রাতে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাওয়ার মতোই ছিলো।
এর ফল দাঁড়ায় বাংলাদেশের প্রকৃত আধুনিক সফট পাওয়ার শেখ হাসিনার সরকারের বিপরীতে যায়নি কিন্তু তারা নীরব হয়ে যায়। আর তাদের জায়গা দখল করে নেয় কম শিক্ষিত লোভী একটি শ্রেণী। যার ফলে শেখ হাসিনার শেষের দিকে বাস্তবে তার মূল শক্তি বা বাংলাদেশে সৃষ্টির মূল শক্তি— যে সফট পাওয়ার তা আর শেখ হাসিনার মাটিকে শক্ত করার জন্যে কাজ করেনি। ফলে কারণে তিনি সহজে পরিত্যক্ত জমিদারবাড়ির মতো মুহাম্মদ ইউনূসের কথিত মেটিকুলাস ডিজাইনের কাছে ভেঙে পড়েন।
শেখ হাসিনার এই পতনের পরে বর্তমান ব্যবস্থায় যাদের উত্থান ঘটেছে তাদের কাছে শেখ হাসিনা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও, তারা সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে এমনভাবে উসকে দিচ্ছে যাতে তারা অ্যান্টি-ইন্ডিয়ান হয়। অন্যদিকে ইন্ডিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎসহ সকল ব্যবসা চালু রাখা ও কোনো চুক্তি বাতিল না করার পরেও কেন এই অ্যান্টি-ইন্ডিয়ান প্রজন্ম গড়ে তোলার চেষ্টা, কেন পাকিস্তান আমলের মতো সবকিছুতে ইন্ডিয়ান ভীতি দেখানো?
এর একমাত্র কারণ, পাকিস্তান আমলের মতো অর্থাৎ ৫০, ৬০ ও ৭০ দশকের মতো যাতে আরেকটি আধুনিক প্রজন্মের সফট পাওয়ার গড়ে না ওঠে। কারণ, আধুনিক সফট পাওয়ার হয় তার নিজের দেশের জন্যে। সে কখনও ইন্ডিয়া বা অন্যকোনো দেশ বিরোধী হবে না। তার সকল কাজ থাকবে নিজের দেশ ও মানুষকে ঘিরে। আর যখনই এ ধরনের সফট পাওয়ার শক্তিশালী হয় তখনই প্রগতিশীল কোনো না কোনো রাজনৈতিক শক্তি দাঁড়িয়ে যায়। এবং তারা ওই সফট পাওয়ারের ওপর পা রেখেই মৌলবাদী হার্ড পাওয়ারের তরবারিকে পরাজিত করে। এজন্য বর্তমান ব্যবস্থা যে মৌলবাদকে বেশি আশ্রয় দিচ্ছে তাদের মূল টার্গেট বুদ্ধিবৃত্তিক আধুনিক সফট পাওয়ার।
তবে শেষ বিচারে এই বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তিই বারবারই অন্ধত্ব, মৌলবাদিতা থেকে দেশকে রক্ষা করেছে। আর এদেরকে ঠেকানোর জন্যেই পাকিস্তান আমলের মতো মুখে অ্যান্টি-ইন্ডিয়ান স্লোগান তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত রাখার চেষ্টা করছে বর্তমান ব্যবস্থা।
লেখক: সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত, সম্পাদক, সারাক্ষণ, The Present World।
(Times of India পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটির বাংলা অনুবাদ । Times of India পত্রিকায় প্রকাশিত লেখার link https://timesofindia.indiatimes.com/blogs/voices/whats-behind-anti-india-sentiments-in-bangladesh/