আজকাল এক খন্ড ভাঙ্গা ইট, এক মুঠো মাটি
আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে—
যেমন একদিন ভালো লেগেছিলো,
তোমার কিশোরী মুখ।
তুমি কি মনে করতে পারো
সেই মেঘলা দিনে—
সেই পাতা ঝরা পথে—
আমারা অনেক মুখ এক হয়েছিলাম—
আমিও তো সেদিন কিশোর ছিলাম—
তখন পদ্মা অনেক বিশাল ছিলো—
মেঘনার বুকে ছিলো তুমুল গর্জন—
অথচ সে সব আমাদের কাছে ছিলো অতি তুচ্ছ—
সেদিন তুমি আর আমি হাত ধরাধরি করে
কি পারতাম না পৃথিবীর সব থেকে দুর্লভ ফুলটি ছিড়ে আনতে?
অথচ জানো আজ আমি চোখ মেললেই মরা বিড়াল দেখি—
আহা! কী অপয়া এই মরা বিড়াল—
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোথাও একে ছুড়ে ফেলা যায় না—
না আমার বঙ্গোপসাগর,
যার থেকে উঠে এসেছে আমার সবুজ গাছ আর পলল ভূমি—
তার বুকে মরা বিড়াল ছুড়ে ফেলা—
হতেই পারে না।
তার থেকে বসে প্রার্থনা করি—
পদ্মার স্রোত থেকে উঠে আসুক তোমার মতো কিশোরী,
মেঘনার প্রবল গর্জনের থেকে আমার পাশে যে কিশোররা ছিলো
তাদের মত মুখ নিয়ে উঠে আসুক—
যেমন বাসুকি নাগের দোলায় সাগর থেকে উঠে আসে সাগরের সন্তানেরা।
আমারা ততক্ষণে এক মুষ্টি মাটি হাতে করে নিয়ে
বসে থাকি—
একটি মেঘলা দিন—
একটি পাতা ঝরা দিন—
আর একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে।