০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ভারতের স্পষ্ট বার্তা: যেখানেই হোক, সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানোর পূর্ণ অধিকার আছে ইভি আর স্মার্ট গ্যাজেটের জোরে দ্বিগুণের বেশি মুনাফা দেখাল শাওমি ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী ইন্দোনেশিয়ার শিশুদের ভিডিও গেমে জঙ্গি প্রভাব: পুলিশ গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ আশে পাশের মানুষ সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনায় এখন শুধু ‘ট্যাকটিক্যাল বিরতি’,সতর্ক করল সিঙ্গাপুর গানপাউডার–পেট্রোল দিয়ে ময়মনসিংহে ট্রেন বগিতে আগুন ধামরাইয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ শীতেও কমছে না দাম: খুলনার কাঁচা বাজারে নতুন করে দাম বেড়েছে

একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে

আজকাল এক খন্ড ভাঙ্গা ইট, এক মুঠো মাটি
আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে—
যেমন একদিন ভালো লেগেছিলো,
তোমার কিশোরী মুখ।
তুমি কি মনে করতে পারো
সেই মেঘলা দিনে—
সেই পাতা ঝরা পথে—
আমারা অনেক মুখ এক হয়েছিলাম—
আমিও তো সেদিন কিশোর ছিলাম—
তখন পদ্মা অনেক বিশাল ছিলো—
মেঘনার বুকে ছিলো তুমুল গর্জন—
অথচ সে সব আমাদের কাছে ছিলো অতি তুচ্ছ—
সেদিন তুমি আর আমি হাত ধরাধরি করে
কি পারতাম না পৃথিবীর সব থেকে দুর্লভ ফুলটি ছিড়ে আনতে?

অথচ জানো আজ আমি চোখ মেললেই মরা বিড়াল দেখি—
আহা! কী অপয়া এই মরা বিড়াল—
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোথাও একে ছুড়ে ফেলা যায় না—
না আমার বঙ্গোপসাগর,
যার থেকে উঠে এসেছে আমার সবুজ গাছ আর পলল ভূমি—
তার বুকে মরা বিড়াল ছুড়ে ফেলা—
হতেই পারে না।
তার থেকে বসে প্রার্থনা করি—
পদ্মার স্রোত থেকে উঠে আসুক তোমার মতো কিশোরী,
মেঘনার প্রবল গর্জনের থেকে আমার পাশে যে কিশোররা ছিলো
তাদের মত মুখ নিয়ে উঠে আসুক—
যেমন বাসুকি নাগের দোলায় সাগর থেকে উঠে আসে সাগরের সন্তানেরা।
আমারা ততক্ষণে এক মুষ্টি মাটি হাতে করে নিয়ে
বসে থাকি—
একটি মেঘলা দিন—
একটি পাতা ঝরা দিন—
আর একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি

একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে

০৮:৪২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

আজকাল এক খন্ড ভাঙ্গা ইট, এক মুঠো মাটি
আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে—
যেমন একদিন ভালো লেগেছিলো,
তোমার কিশোরী মুখ।
তুমি কি মনে করতে পারো
সেই মেঘলা দিনে—
সেই পাতা ঝরা পথে—
আমারা অনেক মুখ এক হয়েছিলাম—
আমিও তো সেদিন কিশোর ছিলাম—
তখন পদ্মা অনেক বিশাল ছিলো—
মেঘনার বুকে ছিলো তুমুল গর্জন—
অথচ সে সব আমাদের কাছে ছিলো অতি তুচ্ছ—
সেদিন তুমি আর আমি হাত ধরাধরি করে
কি পারতাম না পৃথিবীর সব থেকে দুর্লভ ফুলটি ছিড়ে আনতে?

অথচ জানো আজ আমি চোখ মেললেই মরা বিড়াল দেখি—
আহা! কী অপয়া এই মরা বিড়াল—
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোথাও একে ছুড়ে ফেলা যায় না—
না আমার বঙ্গোপসাগর,
যার থেকে উঠে এসেছে আমার সবুজ গাছ আর পলল ভূমি—
তার বুকে মরা বিড়াল ছুড়ে ফেলা—
হতেই পারে না।
তার থেকে বসে প্রার্থনা করি—
পদ্মার স্রোত থেকে উঠে আসুক তোমার মতো কিশোরী,
মেঘনার প্রবল গর্জনের থেকে আমার পাশে যে কিশোররা ছিলো
তাদের মত মুখ নিয়ে উঠে আসুক—
যেমন বাসুকি নাগের দোলায় সাগর থেকে উঠে আসে সাগরের সন্তানেরা।
আমারা ততক্ষণে এক মুষ্টি মাটি হাতে করে নিয়ে
বসে থাকি—
একটি মেঘলা দিন—
একটি পাতা ঝরা দিন—
আর একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে।