০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
জাপানে স্ট্যান্ড-আপ কমেডির জোয়ার: বিদেশি ও দ্বিভাষী শিল্পীদের হাতে নতুন হাসির পথ ডায়ানা ড্যানিয়েলের জন্য একটি নতুন সকাল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৭) বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো প্যারিস থেকে তেঙ্গাহ: একটি ফরাসি রেট্রো থিমের বাসা অন্ধকার ভ্রমণের উত্থান: অতীতের ক্ষত দেখতেই কেন বাড়ছে পর্যটকের ভিড় সেনেগালে দুর্নীতি দমন না রাজনৈতিক প্রতিশোধ? ফায়ে–সোঙ্কো সরকারের কড়াকড়িতে বিতর্ক তুঙ্গে মরক্কোর দাখলা অ্যাটলান্টিক বন্দর: আফ্রিকা-সাহেল বাণিজ্যের নতুন প্রবেশদ্বার বিশ্বের ৯৯% চিপ প্রযুক্তির নায়ক: সেমিকন্ডাক্টর কিংবদন্তি চি-তাং সা’র অস্থি চীনে সমাহিত রাশিয়ায় নির্বাসন থেকে সিরীয় উপকূলে নতুন বিদ্রোহের ছক আঁকছেন আসাদের সাবেক গুপ্তচরপ্রধান ও কোটিপতি চাচাতো ভাই

একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে

আজকাল এক খন্ড ভাঙ্গা ইট, এক মুঠো মাটি
আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে—
যেমন একদিন ভালো লেগেছিলো,
তোমার কিশোরী মুখ।
তুমি কি মনে করতে পারো
সেই মেঘলা দিনে—
সেই পাতা ঝরা পথে—
আমারা অনেক মুখ এক হয়েছিলাম—
আমিও তো সেদিন কিশোর ছিলাম—
তখন পদ্মা অনেক বিশাল ছিলো—
মেঘনার বুকে ছিলো তুমুল গর্জন—
অথচ সে সব আমাদের কাছে ছিলো অতি তুচ্ছ—
সেদিন তুমি আর আমি হাত ধরাধরি করে
কি পারতাম না পৃথিবীর সব থেকে দুর্লভ ফুলটি ছিড়ে আনতে?

অথচ জানো আজ আমি চোখ মেললেই মরা বিড়াল দেখি—
আহা! কী অপয়া এই মরা বিড়াল—
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোথাও একে ছুড়ে ফেলা যায় না—
না আমার বঙ্গোপসাগর,
যার থেকে উঠে এসেছে আমার সবুজ গাছ আর পলল ভূমি—
তার বুকে মরা বিড়াল ছুড়ে ফেলা—
হতেই পারে না।
তার থেকে বসে প্রার্থনা করি—
পদ্মার স্রোত থেকে উঠে আসুক তোমার মতো কিশোরী,
মেঘনার প্রবল গর্জনের থেকে আমার পাশে যে কিশোররা ছিলো
তাদের মত মুখ নিয়ে উঠে আসুক—
যেমন বাসুকি নাগের দোলায় সাগর থেকে উঠে আসে সাগরের সন্তানেরা।
আমারা ততক্ষণে এক মুষ্টি মাটি হাতে করে নিয়ে
বসে থাকি—
একটি মেঘলা দিন—
একটি পাতা ঝরা দিন—
আর একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাপানে স্ট্যান্ড-আপ কমেডির জোয়ার: বিদেশি ও দ্বিভাষী শিল্পীদের হাতে নতুন হাসির পথ

একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে

০৮:৪২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

আজকাল এক খন্ড ভাঙ্গা ইট, এক মুঠো মাটি
আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে—
যেমন একদিন ভালো লেগেছিলো,
তোমার কিশোরী মুখ।
তুমি কি মনে করতে পারো
সেই মেঘলা দিনে—
সেই পাতা ঝরা পথে—
আমারা অনেক মুখ এক হয়েছিলাম—
আমিও তো সেদিন কিশোর ছিলাম—
তখন পদ্মা অনেক বিশাল ছিলো—
মেঘনার বুকে ছিলো তুমুল গর্জন—
অথচ সে সব আমাদের কাছে ছিলো অতি তুচ্ছ—
সেদিন তুমি আর আমি হাত ধরাধরি করে
কি পারতাম না পৃথিবীর সব থেকে দুর্লভ ফুলটি ছিড়ে আনতে?

অথচ জানো আজ আমি চোখ মেললেই মরা বিড়াল দেখি—
আহা! কী অপয়া এই মরা বিড়াল—
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোথাও একে ছুড়ে ফেলা যায় না—
না আমার বঙ্গোপসাগর,
যার থেকে উঠে এসেছে আমার সবুজ গাছ আর পলল ভূমি—
তার বুকে মরা বিড়াল ছুড়ে ফেলা—
হতেই পারে না।
তার থেকে বসে প্রার্থনা করি—
পদ্মার স্রোত থেকে উঠে আসুক তোমার মতো কিশোরী,
মেঘনার প্রবল গর্জনের থেকে আমার পাশে যে কিশোররা ছিলো
তাদের মত মুখ নিয়ে উঠে আসুক—
যেমন বাসুকি নাগের দোলায় সাগর থেকে উঠে আসে সাগরের সন্তানেরা।
আমারা ততক্ষণে এক মুষ্টি মাটি হাতে করে নিয়ে
বসে থাকি—
একটি মেঘলা দিন—
একটি পাতা ঝরা দিন—
আর একটি নতুন কবিতা শোনার জন্যে।