এটি আমার ইচ্ছা এবং আমার নির্দেশ সম্প্রদায়ের প্রতি যাতে দ্রুত এ ইচ্ছা পুরণ করা হয় দীপাবলির আগে তা আমার কাছে পৌছতে হবে।
তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন সম্প্রদায় যেন সমষ্টিগতভাবে কিছু জিনিস প্রেরণ করে। সেগুলো হলো- সোনার লেস দেওয়া ৪০টি পাগড়ি। মূল্য ১৬০০ টাকা), ৩০টি ঢাল (মূল্য ৩০০ টাকা), দুটি ঢাল (মূল্য ১০০ টাকা। একটি মেইনাগঞ্জভাগ। এর অর্থ গুরু বখশ বুঝতে পারেননি। তার অনুমান এটি যুদ্ধে ব্যবহৃত ঢাক। গুরু জানিয়েছিলেন যারা এর জন্য দান করবেন তাদের দরবারে স্মরণ করা হবে।
‘ঢাকা আমার নিবাস যা চাওয়া হয়েছে সঙ্গত যেন দিওয়ালির আসে পাঠায়। যারা এর জন্য সাদ করবেন ঈিশ্বর তাদের সব মনোবাস্থ্য পূবদ করবেন। যমের প্রয় আর তার থাকবে না। এটি আমার ইচ্ছা এবং আমার নির্দেশ সম্প্রদায়ের প্রতি যাতে দ্রুত এ ইচ্ছা পুরণ করা হয় দীপাবলির আগে তা আমার কাছে পৌছতে হবে। ঢাকা আমার নিবাস। ঈশ্বর এ সম্প্রদায়কে সম্পন্ন করবেন।’
চিঠির উল্টোপিঠে লেখা ছিল এ চিঠি নিয়ে যাচ্ছে সুখিয়া এবং বুদ্ধ। তাদের ৩৮ টাকা এবং দু’প্রস্থ পোশাক উপহার হিসেবে প্রদান করতে। এ চিঠি লেখেন গুরু গোবিন্দ সিং যখন তাঁর বয়স ২৫।
গোবিন্দ সিং-এর আরো কয়েকটি চিঠির উল্লেখ করেছেন গুরু বখশ। প্রতিটি চিঠিতেই টাকা, বস্তু, অস্ত্র চাওয়া হয়েছে। এর দুটি কারণ হতে পারে। বিলাসপুরের রাজার সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এ ছাড়া সম্প্রদায়ের অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। শিখ ধর্ম ছড়িয়ে পড়ছিল।
বিভিন্ন সঙ্গতের ‘মসনদ’রা ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছিলেন। তারা শিষ্যদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে টাকা-পয়সা আদায় করছিলেন। অনেকে এত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছিলেন যে, গুরু বা তখতের নির্দেশ মান্য করছিলেন না। গোবিন্দ সিং ‘মসনদ’ প্রথা লুপ্ত করতে বাধ্য হয়েছিলেন এক সময়।
(চলবে)