চট্টগ্রাম নগরের খুলশি এলাকায় একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিইউ) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের বক্তব্য, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বজনরা তাকে ফোনে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিচয় ও ঘটনাস্থল
মৃত শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক সুমন। তিনি আরবি বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলশির লেন-৫–এর একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাসাটি তার চাচার, যেখানে সুমন বড় ভাইসহ থাকতেন।
-693254149dba3.jpg)
পরিবারের বর্ণনা
পরিবার জানায়, দুই দিন আগে সুমনের চাচা ও তার পরিবার তুরস্কে চলে যান। এরপর দুই ভাই বাসায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বড় ভাই কাজে বেরিয়ে যান। বিকেল ৪টার দিকে সুমন তাকে ফোন করে জানতে চান, তিনি কোথায় এবং কবে ফিরবেন। বড় ভাই জানান, দেরি হবে।
এরপর আর সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বড় ভাই ফোনে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হন। একইভাবে বাসা থেকে সুমনের মা ফোন দিলে সেও রিসিভ করেনি।
বড় ভাইয়ের চেষ্টা ও মরদেহ উদ্ধার
উদ্বেগ বাড়লে বড় ভাই ভবনের কেয়ারটেকারকে বাসা চেক করতে বলেন। কেয়ারটেকার ডোরবেল চাপলেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে বড় ভাই নিজে বাসায় ফিরে নিজের চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখেন, সুমন সিলিং ফ্যানের হুক থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
পরে খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থলে পাওয়া নোট
খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর জামান জানান, ঘটনাস্থলে একটি নোট পাওয়া গেছে যেখানে লেখা:
“আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা বা স্বপ্ন নেই। আর কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগও নেই। সবাই ভালো থাকবেন।”
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানতে সব ধরনের দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্ত
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
# চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুলশি আত্মহত্যা শিক্ষার্থী মৃত্যু
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















