ভূমিকা: বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে স্থবির শাহজালাল বিমানবন্দর
শনিবার বিকেলে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিমানবন্দরের সব উড্ডয়ন ও অবতরণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ফলে দুপুরের পর থেকেই বিমান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, আর বিমানবন্দর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
আগুন লাগার সময় ও স্থান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র কাওসার মাহমুদ জানান, বিকেল প্রায় ২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে বিমানবন্দর ফায়ার সার্ভিস, বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণ ইউনিট এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তখন পর্যন্ত ২৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিল, আরও কয়েকটি ইউনিট পথে ছিল।
উদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ অভিযান
ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানায়, সিভিল অ্যাভিয়েশন, ফায়ার সার্ভিস ও বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট একযোগে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় অভিযান দ্রুততর করা হয়েছে।
এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও তদন্ত
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক কুরিয়ার মালামালের একটি অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাছাকাছি অবস্থিত একটি রাসায়নিক গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, কার্গো এলাকায় মজুত পণ্যের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
ফ্লাইট স্থগিত ও সামগ্রিক পরিস্থিতি
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, বিকেল সাড়ে ২টার পর থেকে কার্গো এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে সব উড্ডয়ন ও অবতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ফলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা সম্ভব নয়।
ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপণ কাজ অব্যাহত রয়েছে, এবং প্রাথমিকভাবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
# ঢাকা_বিমানবন্দর, শাহজালাল_আন্তর্জাতিক_বিমানবন্