শনিবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের বিমান চলাচল। এতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় রুটের ফ্লাইটে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। কয়েকটি বিমানকে চট্টগ্রাম ও কলকাতায় অবতরণে বাধ্য হতে হয়।
অগ্নিকাণ্ড ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কার্গো ভিলেজের আমদানি পণ্যের গুদাম এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার পরই বিমানবন্দরে সব ধরনের উড্ডয়ন ও অবতরণ তৎক্ষণাৎ স্থগিত করা হয়।
ফলে আকাশে থাকা, এবং ঢাকায় নামার কথা থাকা বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বিকল্প গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়।
ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া ও চলাচল বিঘ্ন
আগুনের কারণে ব্যাংকক থেকে আসা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করে। একইভাবে দিল্লি থেকে আসা ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কলকাতায় নামানো হয়।
শারজাহ থেকে আসা এয়ার আরাবিয়ার ফ্লাইটটিও চট্টগ্রামে অবতরণ করে, আর হংকং থেকে আসা ক্যাথে প্যাসিফিকের বিমানটি কিছু সময় আকাশে চক্কর দেওয়ার পর অপেক্ষায় থাকে।
অন্যদিকে, সৈয়দপুর থেকে ঢাকাগামী বিমানের একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করে, এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ইউএস-বাংলার একটি বিমান উড্ডয়নের পর আবার ফিরে আসে।
দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট—বাতিক এয়ারের কুয়ালালামপুরমুখী ও ইন্ডিগোর মুম্বাইগামী বিমান—ঘটনার সময় রানওয়েতে অপেক্ষমাণ অবস্থায় ছিল।
সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযান
বিমানবন্দর মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, আগুন মূল কার্গো এলাকার পাশে একটি সেকশনে শুরু হয়। দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বিশেষ দল ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৩টি স্টেশনের মোট ৩৭টি ইউনিট, ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি ও তদন্ত
অগ্নিকাণ্ডের উৎস এবং ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন পুরোপুরি নেভার পর ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।
#ঢাকা_বিমানবন্দর #অগ্নিকাণ্ড #কার্গো_ভিলেজ #ফ্লাইট_স্থগিত #চট্টগ্রাম_ফ্লাইট #কলকাতা_ফ্লাইট #সেনাবাহিনী #বিমানবাহিনী #ফায়ার_সার্ভিস #সারাক্ষণ_রিপোর্ট