এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তারা ঘোষণা দিয়েছেন—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তিন দফা দাবিতে টানা আন্দোলন
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা সাত দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা। শনিবারও তারা কালো ব্যাজ ধারণ করে বিক্ষোভে অংশ নেন। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে তারা অনশন শুরু করেন, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তাদের মূল তিনটি দাবি হলো—
মূল বেতনের ভিত্তিতে ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রদান,
শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা নির্ধারণ,
উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।
অসুস্থতা বাড়ছে, আন্দোলন বিস্তৃত হচ্ছে
এমপিও শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্যজোটের যুগ্ম সদস্য সচিব শান্ত ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে ৮৪ জন শিক্ষক অনশনে যোগ দেন। শনিবার এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং পাঁচজনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
আরেক আন্দোলনকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
পুলিশের বাধা ও কর্মসূচি স্থগিত
গত মঙ্গলবার সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। বুধবার তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটান। বৃহস্পতিবার ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিলেও পরে তা স্থগিত করা হয়।
সরকারের প্রস্তাব ও শিক্ষকদের প্রত্যাখ্যান
বৃহস্পতিবার সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রদানের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরার গণমাধ্যমকে জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা দিতে পারবে, যার ন্যূনতম পরিমাণ হবে ২,০০০ টাকা। তবে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এর বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। এটি শিক্ষক ও কর্মচারীদের জানানো হলেও তারা রাজি হননি।
আন্দোলনকারীদের নতুন দাবি
শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ১০ শতাংশ বাড়ি ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং পরবর্তী বছরে আরও ১০ শতাংশ বাড়াতে হবে। অন্যথায় তারা অনশনসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
#এমপিও_শিক্ষক #শিক্ষক_আন্দোলন #শিক্ষা_খাত #শহীদ_মিনার #সারাক্ষণ_রিপোর্ট