ওমানের দুকম সিদ্দা এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাত প্রবাসীসহ আট বাংলাদেশির মরদেহ শনিবার রাতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মরদেহগুলো দেশে আনা হয় এবং চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামানো হয়।
দুর্ঘটনার বিস্তারিত
ঘটনাটি ঘটে ৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে (বাংলাদেশ সময়)। একটি বেসরকারি গাড়িতে থাকা যাত্রীদের গাড়িটিকে একটি দ্রুতগতির মাছবাহী ট্রাক ধাক্কা দেয়। ট্রাকের ধাক্কায় গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সবাই প্রাণ হারান।
নিহতদের মধ্যে সাতজন ছিলেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা এবং একজন রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মরদেহ দেশে ফেরত
শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ওমানের মাসকাট থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-১২২ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একই ফ্লাইটে আটজনের মরদেহ দেশে পৌঁছায়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারের পক্ষ থেকে শোকাহত পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, সব মরদেহ একই বিমানে এসেছে এবং রবিবার সকালে সেগুলো সন্দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হবে।
নিহতদের পরিচয়
নিহতদের পরিচয় জানা গেছে—
- শরিকাইত ইউনিয়নের আমিন মাঝি, মো. আরজু, মো. রকি, সাহাব উদ্দিন ও মো. বাবলু
- রহমতপুর ইউনিয়নের মো. জুয়েল ও মো. রনি
- রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি
জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাংশিনু মারমা জানান, রবিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাদের নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
নিহতদের পরিবার ও সন্দ্বীপের স্থানীয়রা ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং ওমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে মরদেহ দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
#ওমান_দুর্ঘটনা, প্রবাসী_বাংলাদেশি, সন্দ্বীপ, রাউজান, চট্টগ্রাম, মরদেহ_ফেরত, সারাক্ষণ_রিপোর্ট