হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়েছে রপ্তানিযোগ্য তৈরি পোশাক, মূল্যবান কাঁচামাল ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক নমুনা। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক খান ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
রপ্তানি খাতে বড় প্রভাব
বিজিএমইএ নেতার ভাষায়, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে শনিবারের আগুন “অত্যন্ত দুঃখজনক” এবং দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে পোশাক শিল্পকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তিনি বলেন, “আমরা আজ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে দেখেছি কী ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। সাধারণত উচ্চমূল্যের পণ্য ও জরুরি চালান বিমানপথে পাঠানো হয়—এই আগুনে সেসব মূল্যবান পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
পোশাক ও কাঁচামালের ক্ষয়ক্ষতি
এনামুল হক খান জানান, আগুনে ধ্বংস হয়েছে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পোশাক, দামী কাঁচামাল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিভিন্ন নতুন ব্যবসায়িক নমুনা।
তিনি বলেন, “এই নমুনাগুলোই নতুন ক্রেতা ও বাজারের দরজা খুলে দেয়, ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এগুলো অপরিহার্য।”
ক্ষতির হিসাব ও তথ্য সংগ্রহ
বিজিএমইএ ইতিমধ্যে তাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ পাঠিয়েছে। একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ চাওয়া হয়েছে, পাশাপাশি দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য অনলাইন ডেটা পোর্টালও চালু করা হয়েছে।
কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ ধ্বংসচিত্র
সংবাদ সম্মেলনে এনামুল হক খান বলেন, “আমরা ভেতরে গিয়ে যে দৃশ্য দেখেছি, তা একেবারে ভয়াবহ। আমদানি বিভাগের পুরো অংশ পুড়ে গেছে। ভেতরে না গেলে বোঝা যেত না পরিস্থিতি কতটা মারাত্মক। এই অংশটি আবার সচল হতে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগতে পারে।”
এই অগ্নিকাণ্ড দেশের পোশাক খাতের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিজিএমইএ বলছে, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে আরও কিছু সময় লাগবে, তবে ইতিমধ্যেই রপ্তানি বাণিজ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
# শাহজালাল_বিমানবন্দর, অগ্নিকাণ্ড, বিজিএমইএ, পোশাক_শিল্প, রপ্তানি_বাণিজ্য, বাংলাদেশ